চাঁদপুর খবর রির্পোট: চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪ নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের কুমড়ারডুগী খান বাড়ীর আবুল বাসার খানের বাসাতে চোরের দল র্দুধষ চুরির কান্ড ঘটেছে ।
জানা গেছে,চোরের দল তিনটি টয়লেটে আর রান্না ঘরের সকল পানির টেপ খুলে নিয়ে গেছে, বেসিনের হোর্স পাইপ খুলে রেখেছে, চাউলের ড্রামের সব চাউল নিয়ে গেছে, ফ্রিজের আইপিএস খুলে তার ভিতরে থাকা তামার তার, ঘরে অব্যবহৃত থাকা পুরো এক কয়েল বিআরবি তারের প্লাষ্টিকের আবরন খসিয়ে তামা খুলে নিযে গেছে, গ্যাসের চুলাতে রান্নার সময় অন্য কারো চোখের নজর এড়াতে চুলার জানালার সামনে টানিয়ে দেয়া হয়েছে ভারী কাঁথা। ঠিক কবে চুরিটি হয়েছে নাকি চোরের দল ঘরে একের অধিক দিন ছিলো তার সঠিক দিন ক্ষন জানাতে পারেননি এই গৃহকর্তা।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকা থেকে বাড়িতে এসে এমন কান্ড দেখে যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ার উপক্রম হয়েছে পরিবারটির।
ক্ষতিগ্রস্থ গৃহকর্তা আবুল বাসার থাঁন জানান, বিল্ডিংয়ের পিছনের প্রমম বারান্ধার লক কাটে তারপর গ্রীলের জানার প্লেপবার কেটে ঘরে ডুকে।
চোরচক্র ফ্রিজের মাংস, সেমাই ও ভাত রান্নাবান্না করে খেয়ে গেছে। বাসায় সব আসবাবপত্র তছনছ করেছে, তিনটি ষ্টীলের আলমারীর দরজা ভেঙ্গে খুলে ফেলেছে, তিনটি টয়লেটে আর রান্না ঘরের সকল পানির টেপ খুলে নিয়ে গেছে, বেসিনের হোর্স পাইপ খুলে রেখেছে, চাউলের ড্রামের সব চাউল নিয়ে গেছে, ফ্রিজের আইপিএস খুলে ভিতরে থাকা তামার তার, ঘরে অব্যবহৃত থাকা পুরো এক কয়েল বিআরবি তারের প্লাষ্টিকের আবরন খসিয়ে তামা খুলে নিযে গেছে, স্বর্ণ দেড় ভরি, স্পার্ট টিভি, জামা কাপড়, মাংস, চিনি, চাল, ডাল, পেঁয়াজ, রসুন, এসব ও নিয়েছে। প্রতিটি রুমের দরজা ভেঙ্গেছে যা মেরামতের অযোগ্য। সব কিছু মিলিয়ে প্রায ৫ লাখ টাকার ক্ষতি করেছে বলে জানান আবুল বাসার খাঁন।
আবুল বাসার খানের মেয়ে জোহরা খান মুক্তা বলেন, মা-বাবা দুজনে ঢাকায় বোনের বাসায় উঠে। সেখানে ডাক্তার দেখিয়ে বাড়ী ফিরেন। তারা এসে বাসার সব দরজা, তালা ভাঙ্গা দেখতে পায়। বাসায় কেউ না থাকায় তারা (চোরেরা) রান্নাবান্না করে খেয়ে গেল। তারা ঘওে থাকা মুদি মালামাল ও চালের বস্তা নিতেও ভুল করেনি। এমন কাজ কোন চোরচক্র কখনও করেনি।
আবুল বাসার খানের স্ত্রী আয়শা বেগম বলেন, বাসার স্ট্রীলের আলমারী, ওয়াড্রপ সব ভেঙ্গে নতুন নতুন জামা-কাপড়গু পর্যন্ত নিয়ে গেছে। এমন নির্দয় চোর আমি আর দেখিনি।
এ বিষয়ে আবুল বাসারের জামাতা নূর আলম পাটোয়ারী জানান, বাবা-মা’কে বাড়িতে নিয়ে এসে দেখি এই অবস্থা। বাবাকে বলেছি আইনের দারস্থ হতে। স্থানীয় ইউপি সদস্য শাহাদাত হোসেন বলেন, খবর পেয়ে আবুল বাসার খাঁনের বাড়িতে দেখতে গিয়েছি। পরিবারের পক্ষ থেকে আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে।