চাঁদপুর খবর রির্পোট: চাঁদপুর সদর মডেল থানায় ছাত্রদের হামলার ঘটনায় ১০জনকে এজাহারনামীয় আসামী করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত আরো ৮০-১০০জনকে আসামী করা হয়।
গতকাল ১১ সেপ্টেম্বর চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলাটি করেন সদর মডেল থানার এসআই মো: আবদুল সামাদ। পেনাল কোডের ১৪৩/৪৪৭/৪৪৮/১৮৬/৩০৭/৩৩২/৩৩৩/৩৫৩/৪২৭/১০৯/৩৪ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়।
এতে এজহার নামীয় আসামীরা হলেন- ১। ফাতেমা আক্তার (২২), পিতা-মোঃ হারুন ছৈয়াল, মাতা-মাছুমা বেগম, ২। মাসুমা বেগম (৪২), স্বামী-মোঃ হারুন ছৈয়াল, উভয় সাং-কোড়ালিয়া রোড, ৮নং ওয়ার্ড, চাঁদপুর পৌরসভা, ৩। তাহসিন হোসেন (১৮), পিতা-মোঃ হারুন ছৈয়াল, মাতা-মাসুমা বেগম, ৪। আল আমিন (২৮), পিতা-আব্দুর রশিদ, সর্ব সাং-কোড়ালিয়া রোড, ৮নং ওয়ার্ড, চাঁদপুর পৌরসভা,
৫। মোঃ রাকিব ভূইয়া (২৩), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-ইচলী, কোল্ড স্টোরের পর (ভূইয়া বাড়ী), বর্তমানে ট্রাক রোড, ওয়ার্ড নং-১১, চাঁদপুর পৌরসভা, ৬। আরফিন আলিফ (২০), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-অজ্ঞাত, ৭। মোঃ সাফায়েত (২২), ৮। সৈয়দ সাকিবুল ইসলাম (২০), ৯। রিফাত (১৯), ১০। মোঃ আরাফাত (১৯), সাং-বাবিলা, সর্বথানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুরসহ অজ্ঞাতনামা ৮০-১০০ জনকে আসামী করা হয়।
এজহার সূত্রে জানা যায়, গত ৮সেপ্টেম্বর ২০২৪খ্রিঃ তারিখ ২নং বিবাদী মাসুমা বেগম (৪২) এর অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত করার ফোর্স সহ কোড়ালিয়া এলাকায় যায় বাদী। তখন মাসুমা বেগম এর সাথে অপর পক্ষের হাতাহাতি ও মারামারির ঘটনা ঘটে। মারামারিতে উত্তেজিত অনেক সাধারণ জনতা ও ছাত্ররা থাকায় এবং আমাদের টিমে ফোর্স স্বল্পতার কারনে আমরা তাৎক্ষনিক ভাবে পুলিশি বাঁশি বাজায়া উভয় পক্ষেকে স্ব-স্ব অবস্থানে পাঠিয়ে দেন। এর প্রেক্ষিতে জণৈক মাসুমা বেগম (৪২) এর লোকজন পুলিশ (বাদীর) উপর ক্ষিপ্ত হয়। পরে বিষয়টি মামলার বাদী (এসআই) সদর থানার অফিসার ইনচার্জ কে অবহিত করে সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ দুপুরের খাবারর জন্য থানায় চলে আসে।
গত ৯সেপ্টেম্বর তার কলেজ পড়ুয়া মেয়ে ১নং আসামী ফাতেমা আক্তার (২২ এর অপরাপর আসামী সহ অজ্ঞাতনামা দুষ্কৃতিকারীদের সাথে পরিচিত থাকার সুবাদে তাহার মা মাসুমা বেগম (৪২) এর কু-পরামর্শ ও প্ররোচনায় দুষ্কৃতিকারীদের কাছে পুলিশের বিরুদ্ধে মিথ্যা তথ্য প্রদান করে তাদের ক্ষিপ্ত করে তুলে।
একপর্যায়ে দুপুর অনুমান ২.৩০ঘটিকার সময় ২নং আসামী মাসুমা বেগম (৪২) এর কু-পরামর্শে ১নং আসামী ফাতেমা আক্তার (২২) সহ ৩-১০ নং আসামীরা ও অজ্ঞাতনামা ৮০/১০০ জন দুষ্কৃতিকারীরা হাতে লোহার রড, কাঠের বাটাম, লাঠিসোটা নিয়া বেআইনী জনতাবদ্ধে থানায় প্রবেশ করে থানা ভবনের সামনে পুলিশ ভুয়া, পুলিশ ভুয়া বলে মিছিল করা শুরু করে।
মিছিলের একপর্যায়ে একই তারিখে এজাহারনামীয় ১নং আসামী সহ ৩-১০ নং আসামীরা ও অজ্ঞাতনামা ৮০/১০০ জন দুষ্কৃতিকারীরা হঠাৎ থানা ভবনে প্রবেশ করিয়া কর্তব্যরত প্রহরী, ডিউটি অফিসার সহ থানার অফিসার ও ফোর্সের সাথে উদ্বাত্বপূর্ণ আচরণ করা শুরু করে।
অফিসার ইনচার্জ তাৎক্ষণিক তার অফিস কক্ষ হতে বাহির হয়ে তাদেরকে শান্ত করার চেষ্টা করে। তখন বাদী (এসআই) খাওয়ার জন্য থানার মেসে অবস্থান করছে। কিন্তু এজাহারনামীয় ১নং আসামী সহ ৩-১০ নং আসামীরা ও অজ্ঞাতনামা ৮০/১০০ জন দুষ্কৃতিকারীরা অফিসার ইনচার্জ এর কথা না শুনে পরস্পর যোগসাজসে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে বে-আইনী জনতাবদ্ধে হয়ে হাতে লোহার রড,
লাঠিসোটা ইত্যাদি নিয়ে ছামাদ দারোগাকে ধর, ছামাদ দারোগাকে ধর বলে চাঁদপুর সদর মডেল থানার চারতলা ভবনের নিচ তলার থানা মেসের ভিতর প্রবেশ করে বলে ঐ যে ছামাদ দারোগা। তখন ১নং আসামী ফাতেমা আক্তার (২২) এর নেতৃত্বে এজাহারনামীয় ৩-১০ নং আসামীরা ও অজ্ঞাতনামা ৮০/১০০ জন দুষ্কৃতিকারীরা বাদী (এসআই ছামাদ)এর উপর অতর্কিত আক্রমন করে।