মো. হোসেন বেপারী : চাঁদপুর : মোহাম্মদ সেলিম, লিটন ও মোহাম্মদ হোসেন। বাবা আব্দুর রব অনেক আগেই মারা গেছে। মাকে নিয়ে তিন ভাইয়ের ১৬ সদস্যের হাসিখুশি একটি পরিবার। তিনজনই কাজ করতেন শ্রমিকের। তবে উজানের পানিতে বাড়তে থাকা বন্যার কবলে পড়ে ছাড়তে হয়েছে বসতভিটা। যেতে হয়েছে আশ্রয়কেন্দ্রে।
চাঁদপুরের হাজীগঞ্জ উপজেলার ১০নং গন্ধর্ব্যপুর ইউনিয়নের কাশিমপুর বড় বাড়ির সেলিম। চার ছেলে এক মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে তার বসবাস। তবে উজানের পানিতে বাড়তে থাকা বন্যা ঘিরে ধরেছে বসত ঘরের চারপাশ। ঘরের ভিতরেই বিচানার উপরে উঠা পানিতে ছাড়তে হয়েছে বসতঘর। গেলো ২৫দিন যাবত আশ্রয় নিয়েছে বাড়ির পাশে কাশিমপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে।
আশ্রয়কেন্দ্রে গেলেও এখন নাওয়া খাওয়া আর সন্তানদের পড়াশোনা নিয়ে পড়েছেন বিপাকে। বসতঘরেই বা কবে ফিরতে পারবেন তাও জানেন না সেলিম।
সেলিমের সাথে বসতভিটা রেখে আশ্রয়কেন্দ্রে উঠেছেন ছোট দুই ভাই লিটন ও মোহাম্মদ হোসেন। মা সহ তাদের দুই পরিবারে ৯ সদস্যের বসবাস। বসতঘরে আর বাহিরে কমর সমান পানি। ধীরে ধীরে পানি নামতে শুরু করলেও বসতভিটা হারানোর শঙ্কায় রয়েছে তারা।
একই পরিস্থিতি ওই গ্রামের পাটোয়ারী বাড়ির দিনমজুর টিটু হোসেনের। স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে তিনি উঠেছেন আশ্রয় কেন্দ্রে। বসতঘরের ভিতরে বাহিরে অথৈ পানি। সাথে বসতভিটায় দেখা দিয়েছে ফাটল। এখন না আমার খাওয়া তো দূরের কথা অসুস্থ্য স্বামী টিটু হোসেনকে নিয়ে বিপাকে পড়েছে স্ত্রী নাজমা বেগম।
এদিকে আশ্রয় কেন্দ্রে উঠা প্রতিটি পরিবারের খোঁজ খবর নেওয়া হচ্ছে উপজেলা প্রশাসন থেকে। কয়েক ধাপে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে বলে জানান হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল।