স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর মডেল থানায় অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে। ছাত্রদের অশোভন আচরণের কারণে মডেল থানার ওসি আলমগীর হোসেন হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়েন।
এছাড়া মডেল থানার এসআই ছামাদ গুরুতর আহত হন । দ্রুত তাকে ছাত্র ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য পাঠানো হয়। এ ঘটনায় থানায় পুলিশে কর্মরতরা নিরাপত্তার অভাব অনুমান করে কর্মবিরতির কথা ভাবছিলেন।এ ঘটনায় মডেল থানার থানার স্বাভাবিক কাযক্রম বন্ধ রয়েছে বলেও একাধিক সূত্র নিশ্চিত করেছে । খবর পেয়ে ছুটে আসেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায়।
তিনি পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানান। ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত রায় বলেছেন, একটা সমস্যা হয়েছে , আমরা তা কাটিয়ে উঠছি। সব ঠিকঠাক হয়ে যাবে।
সূত্র জানায়, চাঁদপুর শহরের কোড়ালিয়া রোডে দুদিন আগে এক আওয়ামী লীগ নেত্রী ও তার মেয়ে স্থানীয় লোকদের হেনস্তার শিকার হন। খবর পেয়ে ওই নেত্রীর মেয়ের সহপাঠীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এ সময় পুলিশের সামনেই হেনস্তাকারীরা ওই ছাত্রদের উপর চড়াও হয়ে হামলা করেন। সোমবার এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে একদল ছাত্র চাঁদপুর মডেল থানায় ছুটে আসেন। ওসি আলমগীর হোসেনের সাথে দুই /তিন ঘণ্টা তাদের আলোচনা হয়। পুলিশ তাদের আটকে অভিযানে বের হলে তারা পালিয়ে যায়।
পুনরায় ছাত্ররা আজ মঙ্গলবার ১০ সেপ্টেম্বর থানায় এসে একই বিষয় নিয়ে হট্টগোল করেন। এসময়ে ওসি আলমগীর হোসেন অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে দ্রুত উদ্ধার করে চাঁদপুর ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। এক পর্যায়ে থানায় কর্মরতরা নিরাপত্তার অভাব অনুমান করে ক্ষোভ প্রকাশ করে। কেউ কেউ কর্ম বিরতিতে যাওয়ার কথা বলেন।
খবর পেয়ে দ্রুত থানায় ছুটে আসেন পুলিশ সুপার। তিনি সাংবাদিকদের জানান, থানার কার্যক্রম স্বাভাবিক রয়েছে। সংকটের পাশাপাশি সমাধানও রয়েছে। তবে পুলিশ বাহিনীকে তার স্বাভাবিক কার্যক্রম পরিচালনায় সবাইকে সহযোগিতা করতে হবে।