কচুয়া প্রতিনিধি : কচুয়ায় সাড়ে ৩ লাখ টাকায় গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা রফাদফার অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার দুপুরে স্থানীয় রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে বিষয়টি মীমাংসা হয়। এদিকে গৃহবধুর মৃত্যুর ঘটনা শালিসের মাধ্যমে ধামাচাপা দেওয়া নিয়ে এলাকায় আলোচনা ও সমালোচনা চলছে।
জানা যায়, সোমবার সন্ধ্যায় দিকে কড়ইয়া ইউনিয়নের কালচোঁ গ্রামে নাদিয়া সুলতানা নিলা আক্তার (২৫) নামের এক গৃহবধূর রহস্যজনক মৃত্যুর খবর পাওয়া যায়। সে কালচোঁ গ্রামের ভূঁইয়া বাড়ীর কৃষক আঃ হান্নানের বড় ছেলে মো. সেলিম (২৭) এর দ্বিতীয় স্ত্রী। তার দুটি ছেলে সন্তান রয়েছে। নিলার গ্রামের বাড়ী একই ইউনিয়নের সাদিপুরা-চাঁদপুর গ্রামের কৃষক আবু তাহের মৃধার মেজো মেয়ে। রাতেই খবর পেয়ে কচুয়া থানার পুলিশ নাদিয়া সুলতানা নিলার লাশ উদ্ধার করে মঙ্গলবার সকালে সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর মর্গে প্রেরণ করে। গৃহবধু নিলার মৃত্যুর ঘটনায় শ^শুড় আঃ হান্নান (৫৫) কে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিলার বড় বোন রেহেনা আক্তার ও ছোট ভাই শুকুর আলম মৃধা জানান, গত ৯ বছর পূর্বে পারিবারিক ভাবে নিলার সাথে কালচোঁ গ্রামের সেলিমের সাথে বিয়ে হয়। বিয়ের পর বিভিন্ন সময় তাকে শাররিক ও মানসিক নির্যাতন করতো বলে সে আমাদেরকে মুঠোফোনে জানাতো। গত রবিবার নাদিয়া সুলতানা নিলা আমাদের জানায়- তার স্বামী সেলিম, শ^াশুড়ি মনোয়ারা বেগম, শ^শুর আঃ হান্নান, ও দেবর জাকির হোসেন সহ তাকে প্রচুর মারধর করে। সোমবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে নিলার স্বামী সেলিম মুঠোফোনে বলে আপনাদের বোনের অবস্থা ভালো না। একটুপরে খবর আসে নিলা আর বেঁচে নেই।
নিলার বাবা আবু তাহের মৃধা জানান, আমার মেয়ে আত্মহত্যা করতে পারে না তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে। যৌতুকের জন্য সেলিম মারধর করে এবং তার জুয়ার টাকা জন্য আমার মেয়ে নিলাকে মানসিক নির্যাতন ও মারধর করতো। নিলা হত্যা কাণ্ডের ঘটনায় কেন মামলা দায়ের করেন নাই কেন? এবং গুঞ্জন উঠেছে সাড়ে ৩ লাখ টাকার বিনিময়ে আঃ হান্নানের পরিবারের সাথে আপস মীমাংসা করেছেন। এব্যাপারে জানতে চাইলে কথা বলতে অপারগতা প্রকাশ করেন নিলার বাবা আবু তাহের মৃধা।
নিলার স্বামী সেলিম ও তার মা ও ভাই ঘটনার পর থেকেই গা ঢাকা দেওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া যায়নি।
এব্যাপারে কচুয়া থানার তদন্ত (ওসি) লিটন দেওয়ান জানান, গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনায় একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বাদী পক্ষ মামলা না করায় ৫৪ ধারায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে চাঁদপুর কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে। এখন বাহিরে কে কি মীমাংসা করলো এটা আমাদের দেখার বিষয় না।