চাঁদপুর জেলা পরিষদের মালি রহিম বেপারীর আলিশান বাড়ি!

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর জেলা পরিষদের একজন সামান্য ফুলের বাগানের মালি আব্দুল রহিম বেপারী আলিশান বাড়ি দেখি হতভাগ এলাকাবাসী। যেন আলাউদ্দিন চেরাগের মত আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ বনে গেছেন।

সদর উপজেলার ৩ নং কল্যাণপুর ইউনিয়নের কল্যান্দী গ্রামের ৪ নং ওয়ার্ডের পাঁচটি প্রকল্প দেখিয়ে কাজ না করে সেই টাকা জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ার সহ বাগানের মালি ভাগ বাটোয়ারা করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

২০১৭ থেকে ২০২৪ সাল পর্যন্ত কল্যাণদী গ্রামে জেলা পরিষদের প্রকল্পের মাধ্যমে কোন ধরনের উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড হয়নি। প্রকল্প দেখিয়ে কাজ না করে সেই টাকার লোপাট করার ঘটনায় স্থানীয় এলাকার জাকির মিজি নামে এক ব্যক্তি জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর অভিযোগ করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্ত টিম গঠন করে ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়। এ সময় চাঁদপুর জেলা পরিষদরে সদস্য মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান মানিক ,সার্ভেয়ার নাসির উদ্দিন, উচ্চমান সহকারী সায়েম পাটোয়ারী তিন সদস্যবিশিষ্ট তদন্ত টিমের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রকল্প কাজ না করানোর সততা পান।

জানা গেছে, কল্যানদি গ্রামের পাঁচটি প্রকল্পের মধ্যে চারটি প্রকল্পের আবেদন করেন জেলা পরিষদের বাগানের মালি আব্দুর রহিম। তার নেতৃত্বে পরিকল্পিতভাবে প্রকল্প কাজ না করে টাকা জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ার সহ টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠে।

জানা গেছে,তদন্ত টিম ঘটনাস্থলে গিয়ে পাঁচটি প্রকল্পের মধ্যে একটিও কাজ করা হয়নি তা দেখতে পান। এ সময় অভিযুক্ত জেলা পরিষদের মালি রহিম বেপারীর কাছে জানতে চাইলে সে বলেন তার নিজ বাড়ি করার জন্য ইঞ্জিনিয়ার এর সহযোগিতায় প্রকল্প দেখিয়ে টাকা এনে বাড়ির নির্মাণের কাজ করা হয়। তবে এই ওয়ার্ডের বাকি প্রকল্পের কাজ ও টাকার ভাগাভাগি বিষয়ে জানে না বলে জানায়। এদিকে সুস্পষ্টভাবে দেখা যায় আব্দুর রহিমের বাড়ির নির্মাণ ও তার পাশে গাইড ওয়াল নির্মাণের জন্য কোন ধরনের প্রকল্প জেলা পরিষদ থেকে দেওয়া হয়নি।
কল্যানদি গ্রামের ৪নং ওয়ার্ডের ৫টি প্রকল্পর টাকার ভাগ পেয়ে জেলা পরিষদের মালি আব্দুর রহিম নিয়ম বহির্ভূতভাবে তার বাড়ির কাজটি করিয়েছে।

এ বিষয়ে চাঁদপুর জেলা পরিষদের তদন্ত কমিটির সদস্য জানান, অভিযোগ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে প্রকল্পের কাজ না কারোর সত্যতা মিলেছে। তদন্ত রিপোর্ট দেওয়ার পর এর সাথে যদি কেউ জড়িত থাকে তাহলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানায়।

অভিযোগকারী জাকির মিজি জানায়, জেলা পরিষদের পাঁচটি প্রকল্পের মধ্যে কল্যান্দি ৪ নং ওয়ার্ডে ব্যাপারী বাড়ির সামনের পুকুরে গাইড ওয়াল নির্মাণ, খোকন বেপারীর বাড়ির সামনে জনস্বার্থে টয়লেট নির্মাণ, দক্ষিণ কল্যানদি রোডের পাশে ঘাটলা নির্মাণ, রহিম বেপারীর বাড়ির মক্তবের সামনে জনস্বার্থে একটি গভীর নলকূপ স্থাপন, ৪ নং ওয়ার্ডে পুকুর পাড়ে গাইড ওয়াল নির্মাণ কাজ করার কথা ছিল। কিন্ত প্রকল্পের কোন কাজ না করিয়ে জেলা পরিষদের ইঞ্জিনিয়ারসহ টাকা আত্মসাৎ করেছে।

এই ঘটনায় যারা জড়িত রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানান।

সম্পর্কিত খবর