অস্থায়ী মেলার আয়োজনে মহামায়া বাজার ব্যবসায়ীদের অসন্তোষ

মাসুদ হোসেন : চাঁদপুর সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী মহামায়া পশ্চিম বাজার সংলগ্ন মাঠে অস্থায়ী কাপড়ের মেলার আয়োজনে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় কাপড় ও প্রসাধনী ব্যবসায়ীরা। এ নিয়ে গত রবিবার (৮ সেপ্টেম্বর) চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ প্রদান করেন তারা।

চাঁদপুর সদর উপজেলার সবচেয়ে বেশি ইজারাকৃত এই মহামায়া বাজারটি আশপাশের কয়েকটি উপজেলার সীমান্তবর্তী একটি ব্যবসায়ীক কেন্দ্র। এ বাজার সংলগ্ন অস্থায়ীভাবে একটি কাপড় ও প্রসাধনী ব্যবসা মেলার আয়োজন করেন দূরদূরান্ত থেকে আগত ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীরা।

এতে প্রায় অর্ধশতাধিক স্থানীয় কাপড় ও প্রসাধনী ব্যবসায়ীর মারাত্মক ক্ষতির কারন হিসেবে দাঁড়িয়েছে। অস্থায়ী এই মেলাটি বন্ধ চেয়ে মহামায়া বাজারের ব্যবসায়ীদের অনুরোধের প্রেক্ষিতে চাঁদপুর সদর ইউএনও শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তাকে দায়িত্ব দেন বিষয়টি গুরুত্বসহকারে দেখার জন্য।

মিজান হাজী, রফিকুল ইসলাম, দেলোয়ার হোসেন দুলু, আব্দুল হক ও শাখাওয়াত হোসেন শামীম সহ মহামায়া বাজারের স্থায়ী কয়েকজন ব্যবসায়ী বলেন, ঐতিহ্যবাহী মহামায়া বাজার থেকে সরকার প্রতি বছর লাখ লাখ টাকা রাজস্ব পেয়ে থাকেন। কিন্তু একটি কুচক্রীমহল এ বাজারটি ধ্বংস করার পায়তারায় লিপ্ত হয়ে নানা ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে।

তারা আরো বলেন, বাজারের অধিকাংশ ব্যবসায়ী লক্ষ লক্ষ টাকা অগ্রীম দিয়ে দোকান নিয়েছেন। আবার অনেকে সম্পত্তি বিক্রি করে কিংবা ঋণ নিয়ে ব্যবসা দিয়েছেন। এই অস্থায়ী মেলাটি চালু হলে বাজারের স্থায়ী ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির মধ্যে পড়বে। অনেক ব্যবসায়ী কিস্তি এবং সংসার চালাতেও বিপাকে পড়তে হবে। তাই অস্থায়ী এই মেলাটি বন্ধ করতে আমরা প্রশাসনের নিকট সুদৃষ্টি কামনা করছি।

অস্থায়ী এই মেলার স্থানের জায়গার মালিক সিদ্দিকুর রহমান বলেন, মুকসুদ হোসেন ও আমার ব্যক্তি মালিকানাধীন এই জায়গাটিতে মার্কেট নির্মাণ করবো। তাই এখানে ক্রেতা সমাগম করার জন্য মেলা কর্তৃপক্ষকে এ স্থানটি এক বছরের জন্য ভাড়া দিয়েছি। কিন্তু ইউএনও স্যার আমাদেরকে তলব করায় সোমবার ওনার সাথে স্বাক্ষাত করেছি। তিনি আমাদেরকে এই মেলাটি বন্ধ রাখতে বলেন। নতুবা মার্কেট করে দোকান পরিচালনার জন্য অনুরোধ করেন। আমরা মেলা কর্তৃপক্ষের সাথে বসে আলোচনা সাপেক্ষে পরবর্তী ব্যবস্থা নিবো। আপাতত প্রতি সপ্তাহে একদিন তারা এখানে বসবেন বলে জানা যায়।

এ বিষয়ে শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মোহাম্মদ কুদ্দুছ আখন্দ রোকন বলেন, মহামায়া বাজার ব্যবসায়ীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ইউএনও মহোদয়ের নির্দেশে আমি মেলার আয়োজকদের সাথে কথা বলেছি। পরবর্তীতে তাদেরকে ইউএনও স্যারের সাথে দেখা করার জন্য বলে দিয়েছি। পরবর্তীতে তারা দেখা করেছে কিনা আমি অবগত নই।

সম্পর্কিত খবর