চাঁদপুরের ইউপি সচিবরা কর্মস্থলে নিরাপত্তাহীনতায় !

চাঁদপুর খবর রিপোর্ট : চাঁদপুরের ইউপি সচিবরা কর্মস্থলে নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছে । মাঠ পর্যায়ে উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েছে সচিবরা । চাঁদপুর জেলায় ৮৭টি ইউপি সচিব রয়েছে এবং চাঁদপুর সদরে রয়েছে ১৪জন ইউপি সচিব ।

অধিকাংশ ইউপি সচিবদের একেই অবস্থা বিরাজ করছে । কর্মস্থলে নানা ধরনের হুমকি-ধামকির মধ্যে নাগরিক সেবা প্রদান করতে অফিসে যেতে হচ্ছে । অধিকাংশ ইউপি চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানরা আত্নগোপনে রয়েছে । চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানদের বিরুদ্ধে থানায় নাশকতা মামলা রয়েছে থানায় ।

তাই জনপ্রতিনিধিরা আত্নগোপনে ,নইলে পলাতক রয়েছে । তাই ইউনিয়ন পরিষদে একধরনের শুন্যতা বিরাজ করছে ৫ আগষ্টের পর থেকে ।

যার ফলে পুরো দায়িত্ব চলে আসে ইউপি সচিবদের উপর । যদিও তাদের দায়িত্ব সীমাবদ্ধ । চেয়ারম্যান ও সচিব যৌথ স্বাক্ষরে পরিষদের যাবতীয় আর্থিক ও অন্যান্য কার্যবলী পরিচালিত হয়ে আসছে । এখন চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানের অনুপস্থিতিতে কাজ করতে পারছে না বিষয়টি ইউপি সচিবগন চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ,ডিডিএলজি ,ইউএনওগন ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে নিরাপত্তাহীনতায় বিষয়টি ইতিপৃর্বে মৌখিকভাবে জানিয়েছে । জেলা বিএনপির তরফ থেকে আশ^স্ত করা হয়েছে মাঠ পর্যায়ে বিষয়টি দেখা হবে । সুনিদিষ্ট কোন অভিযোগ থাকলে জেলা বিএনপির র্শীষ পযায়ে জানানোর জন্য হোয়ারসপে ।

ইউপি সচিব সমিতির নেতৃবৃন্দকে এমনই কথা বলা হয়েছে জেলা বিএনপি। এই মুহুর্তে নাগরিক সেবা নিশ্চিত করণে চেয়ারম্যানদের অনুপস্থিতিতে প্রশাসকের দায়িত্ব ইউএনও ও এসিল্যান্ডদের রাখার দাবী জানিয়েছে নাগরিক সমাজ ।

চাঁদপুর জেলা ইউপি সচিব সমিতির সাথে যোগাযোগ করা হলে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নেতা দৈনিক চাঁদপুর খবরকে জানান, কর্মস্থলে নিরাপত্তাহীনতায় দিন কাটাচ্ছি । যে কেউ,যখন,তখন এসে আমাদের কাজে বাঁধা প্রদান করছে,হুমকি-ধামকি দিচ্ছে ।

কর্মস্থলে কাজ করতে পারছি না । বিষয়টি আমরা চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ,ডিডিএলজি ,ইউএনওগন ও চাঁদপুর জেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দকে নিরাপত্তাহীনতায় বিষয়টি ইতিপৃর্বে মৌখিকভাবে জানিয়েছি । আমাদের আশ^স্ত করা হয়েছে মাঠ পর্যায়ে বিষয়টি দেখবে ।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয়ে নতুন এক প্রজ্ঞাপনে জানা গেছে, চেয়ারম্যান কিংবা প্যানেল চেয়ারম্যানের অনুপস্থিত থাকলে ইউএনও ও এসিল্যান্ড দায়িত্ব পালন করবেন । এটি দ্রুত বাস্তবায়ন করা হলে নাগরিকদের বর্তমান দুভোর্গ কিছুটা হলেও লাগব হবে বলে মনে করছেন নাগরিক সমাজ । সেই সাথে মাঠ পর্যায়ে কর্মরত ইউপি সচিবদের নিরাপত্তা বিধানে যৌথবাহিনীর টহল জোরদার করাও জরুরী হয়ে পড়েছে ।

 

সম্পর্কিত খবর