মতলবে মাদক বিক্রিতে বাঁধা দেওয়ায় ব্যবসায়ীর দোকান ভাংচুর ও লুটপাট

স্টাফ রিপোর্টার : মাদক বিক্রিতে বাঁধা দেওয়ায় চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণের মোঃ বারেক প্রধানীয়া নামের এক ব্যবসায়ীর ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে এলাকার চিন্তিত এক মাদক ব্যবসায়ী পরিবারের বিরুদ্ধে।

এই ঘটনায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে গত ১১ আগষ্ট মতলব দক্ষিণ থানার অফিসার ইনচার্জ বরাবর অভিযোগ দায়ের করেন ভুক্তভোগীর পিতা মোঃ বাচ্চু প্রধান। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৬ ও ৭ আগষ্ট (মঙ্গল ও বুধবার) মতলব দক্ষিণের ৫নং উপাদী উত্তর ইউনিয়নের বহরী নেছার আড়ং বাজারে।

ঘটনার বিবরণে ভুক্তভোগী মোঃ বারেক প্রধানীয়া জানান, তিনি বহরী নেছার আড়ং বাজারের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি দায়িত্ব পালনকালে বিভিন্ন সময়ে চিন্তিত মাদক ব্যবসায়ী জহির মিজি ওরফে পিচ্চি জহির রাতের বেলায় বাজারে মাদক বিক্রিতে বাঁধা প্রদান করি। মাদক বিক্রিতে বাঁধা দেওয়ার কারনে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তন্নী হার্ডওয়্যার ট্রেডার্সে দোকানে মাদক ব্যবসায়ী পিচ্চি জহির, তার ভাই মনির মিজি, সাজু মিজি, তাফু মিজি, কাইয়ুম মিজি, কবির কাজী, ইব্রাহিম মিজি, ইউছুফ মিজি, রাফিত মিজি, বাচ্চু পাটওয়ারী, মাসুদ কাজী, শামীম গাজী সহ ১০ থেকে ২০ জন সঙ্গবদ্ধ চক্রটি অতর্কিত হামলা করে দোকানের সমস্ত হার্ডওয়ারের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। এসময় দোকানে আমার বাবাকে মারধর করে ক্যাশে থাকা নগদ ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এছাড়াও আমার আরেকটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ১ টন রড (যার বাজার মূল্য ১ লক্ষ টাকা) ও ১৫০ বস্তা সিমেন্ট জোর পূর্বক নিয়ে যায়।

এসময় ভুক্তভোগী বারেক প্রধানীয়ার পিতা মোঃ বাচ্চু প্রধান জানান হামলাকারীরা ধারালো অস্ত্র নিয়ে তাদের বসত বাড়িতে গিয়েও ব্যাপক হামলা ও ভাংচুর চালায়।

এসময় হামলার কারন সম্পর্কে জানতে চাইলে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক কয়েকজন ব্যবসায়ীরা জানান জহির মিজি ওরফে পিচ্চি জহির ও তার পরিবারের সবাই এলাকার চিন্তিত মাদক ব্যবসায়ী। ঘটনার দিন হঠাৎ করে ১৫ থেকে ২০ জন এসে আমাদের বাজারে সভাপতির দোকানে ভাংচুর ও লুটতরাজ চালিয়েছি তা খুবই দুঃখজনক ঘটনা। বহরি নেছার আড়ং বাজারে এর পূর্বে আর কখনো এই ধরনের হামলা ঘটনা ঘটেনি। আমরা এই ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই। ভবিষ্যতে যাতে এই ধরনের ঘটনা না ঘটতে পারে এবং চিন্তিত মাদক ব্যবসায়ী পিচ্চি জহির শাস্তি কামনা করে আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

ভুক্তভোগী বারেক প্রধান আরো জানান গত দুই বছর পূর্বে পুলিশের হাতে ২০০পিছ ইয়াবা নিয়ে আটক হন পিচ্চি জহির। প্রায় ৬ মাসের মত জেল খেটেছে। তার বিরুদ্ধে ব্যাংক ডাকাতির মামলা চলমান আছে।

সম্পর্কিত খবর