শাহমাহমুদপুর ইউপিতে হামলা ও নাশকতার ঘটনায় ২৫০ জনের বিরুদ্ধে মামলা

চাঁদপুর খবর রির্পোট: চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদে হামলা, ভাঙ্গচুর ও নাশকতা ঘটনায় ২৮জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ২০০থেকে ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-২৪ তারিখ: ২৭-৮-২০২৪ ইং। বিষয়টি নিশ্চিত করেন চাঁদপুর সদর মডেল থানা সূত্রে নিশ্চিত হওয়া যায়।

এ ব্যাপারে চাঁদপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত ওসি মীর রাজ্জাক গতকাল ২৮ আগষ্ট দৈনিক চাঁদপুর খবরকে জানান, ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদে হামলা, ভাঙ্গচুর ও নাশকতা ঘটনায় ২৮জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ২০০থেকে ২৫০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলা নং-২৪ তারিখ: ২৭-৮-২০২৪ ইং। আসামীদের গ্রেফতারে দ্রুত অভিযান শুরু হবে ।

গত ২৭আগস্ট (মঙ্গলবার) চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের গ্রাম পুলিশ মোঃ আলী হোসেন তপাদার। গত ৪আগস্ট শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদে ভাঙ্গচুর, লুটপাট ও নাশকতার অভিযোগে এ মামলা দায়ের করা হয়।

মামলায়, ১নং আসামী করা হয় শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের আওয়ামীলীগের সেক্রেটারী মোঃ কামাল হাজী (৫০) পিতা- মোঃ হারুন গাজী ২। ইউনিয়ন ‍যুবলীগের নেতা মোঃ রফিকুল ইসলাম তুষার হাজী (৩৫), পিতা- মোঃ মোস্তফা হাজী ৩। ইউনিয়ন ‍যুবলীগের মোঃ আরিফুর রহমান সুজন (৪২), পিতাঃ মোঃ দুদু মিয়া ৪। মোঃ মেহেদী হাসান তাজ (৩৫), পিতা মৃত কাঞ্চন বেপারী ৫। ৪নং ওয়াড(শাহতলী) আওয়ামীলীগের সভাপতি মোঃ সোহেল কারী (৩৮), পিতা মোঃ দেলু কারী, সাং-বড় শাহতলী, চাঁদপুর সদর চাঁদপুর ,৬নং আসামী মোঃ রূপক বেপারী (৩৮), পিতা-অজ্ঞাত ৭। মোঃ মিন্টু হাজী (৪৬), পিতা- মোঃ হারুন হাজী

৮। মোঃ জামাল হাজী (৪২), পিতা মোঃ হারুন হাজী ৯। মোঃ মানিক হাজী (২৭), পিতা- মোঃ কামাল হাজী, সর্ব সাং- লোধেরগাঁও, চাঁদপুর সদর, চাঁদপুর, ১০। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের নেতা মোঃ নোমান পাটওয়ারী (৩৫), পিতা-মৃত, ইলিয়াছ পাটওয়ারী, সাং-ভাটেরগাঁও, ১১। ইউনিয়ন ‍যুবলীগের নেতা মোঃ আবুল বাশার রনি (৩৫), পিতা- মোঃ জামাল মোল্লা ১২। মোঃ শাহজাহান হাওলাদার (৫৫), পিতা-মৃত, মোশারফ হাওলাদার, উভয় সাং কৃষ্ণপুর, ১৩। মোঃ আল-হেলাল ইনু (৩২) পিতা- মোঃ বিল্লাল হোসেন পাটওয়ারী সাং-মান্দারী,

১৪। মোঃ ফারুক মিয়া (৩৫), পিতা-মোঃ জাকির হোসেন মিজি, সাং-কুমারডুগী, ১৫ মোঃ মশিউর রহমান খান (মিন্টু) (৪৮), পিতা মৃত সৈয়দ আহমেদ খান, সাং-কেতুয়া ১৬। ইউনিয়ন ‍যুবলীগের নেতা মোঃ মনির কারী (৩২), পিতা- মো: দেলু কারী, সাং-বড় শাহতলী, ১৭। ইউনিয়ন ‍যুবলীগের নেতা মোঃ রুবেল কারী (৩৫), পিতা-আবদুল বারেক ক্বারী, সাং-শাহতলী, ১৮। কাউছার খান (৩৮), পিতা- মোঃ সামছল খান, সাং- ভাটেরগাঁও, ১৯। মোঃ আবদুল মান্নান খান (৪৯), পিতা, মৃত আবদুর রহমান খান, সাং ভাটেরগাঁও

২০। মোঃ সামছুল হক খান (৫৬), পিতা-মৃত রহিম উদ্দিন খান, সাং-ভাটেরগাঁও ২১। মোঃ আক্তার খান বেপারী (৩৮), পিতা-মৃত মোহাম্মদ খান, সাং-ভাটেরগাঁও, ২২। মোঃ মেহেদী হাসান (২৭), পিতা-মৃত, মহিম বেপারী, সাং-ভাটেরগাঁও, ২৩। মোঃ ফরহাদ গাজী (৩৪), পিতা- মোঃ আবিদ গাজী, সাং-মান্দারী, ২৪। মোঃ আলমগীর খান (৫০), পিতা-মৃত মোছ্যব্বর খান, সাং-পাইকদী, ২৫। মোঃ জামাল খান (৪০), পিতা-মৃত, আকবর আলী খান, সাং-পাইকদী ২৬। মোঃ রাজন পাটওয়ারী (৩৮), পিতা-মৃত লালু পাটওয়ারী, সাং-ভাটেরগাঁও,।

২৭। মোঃ শরিফ খান (৩৮), পিতা- মোস্তফা খান, সাং-পাইকদী, ২৮। মোঃ রিপন খান (৩২), পিতা-মৃত সামছল হক খান, উভয় সাং-পাইকদী, সর্ব উপজেলা-চাঁদপুর সদর, জেলা চাঁদপুর।

মামলার বিবরণ থেকে জানা যায় , বাদী মোঃ আলী হোসেন তপাদার (৩৫), পিতা-সামছুল হক তপাদার, সাং-ভাটেরগাঁও, থানা-চাঁদপুর সদর, জেলা-চাঁদপুর আমি চাঁদপুর সদর থানাধীন পল্লী বিদ্যুৎ সাকিনস্থ ০৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ হিসেবে ঘটনার দিন রাতে নাইটগার্ড হিসেবে কর্মরত ছিলাম। আমি আপনার থানায় হাজির হইয়া এই মর্মে এজাহার দায়ের করিতেছি যে, আমি কর্মরত থাকাবস্থায়

৪আগস্ট রাত অনুমান ৯ ঘটিকার সময় ১নং আসামীর নেতৃত্বে অপরাপর আসামীগন প্রায় ২০০/২৫০ জন সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক ইউনিয়ন পরিষদের ভিতর অনধিকার প্রবেশ করে দেশীয় অস্ত্র-শস্ত্র অর্থাৎ রামদা, ছেনী, লোহার রড, জি.আই পাইপ, শাবল, কুড়াল, হকিস্টিক সহ ইত্যাদি যাবতীয় অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে ইউনিয়ন পরিষদের তালা ভেঙ্গে ভিতরে ঢুকে ভবনে থাকা বিভিন্ন মালামাল ভাঙ্গচুর করে। পরিষদের কম্পিউটার, ল্যাপটপ, সিসি ক্যামেরা, প্রজেক্টর সেট, আলমিরা, প্রিন্টার, লেমিনেটিং মেশিন, ফটোকপি মেশিন সহ সর্বমোট ৩৭ প্রকার বিভিন্ন মূল্যবান মালামাল লুটপাট করে নিয়ে যায়।

২-৫নং আসামী ৫টি কম্পিউটার সেট নিয়া যায়, যাহার মূল্য ২,০০,০০০টাকা। ৬- ৯নং আসামী ৪টি ল্যাপটপ সেট নিয়া যায়, যার মূল্য ২,০০,০০০ টাকা, ১০-১৪নং আসামী ১৬টি সি.সি ক্যামেরা নিয়া যায় যার মূল্য ১,৫০,০০০টাকা। ১৫-১৭নং আসামী ৬টি টেলিফোন সেট নিয়া যায়, মূল্য ৫০,০০০টাকা। ১৮/১৯নং আসামী প্রজেক্টর সেট ১টি নিয়ে যায়। যার মূল্য ১,০০,০০০টাকা। ২০-২৪নং আসামী ৫টি প্রিন্টার নিয়া যায়, মূল্য ১,২৫,০০০টাকা।

২৫-২৭নং আসামী স্টালের ফাইল কেবিনেট নিয়া যায়, যার মূল্য অনুমান ১,০০,০০০টাকা। ২৮নং আসামী ১টি ফটোকপি মেশিন নিয়ে যায়, যার মূল্য ১.৫০,০০০টাকা। বিবাদী বাধা দিলে আসামীগণ বাদীকে গালিগালাজ এবং অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে খুন জখম করবে বলে ভয়-ভীতি দেখায়। অপরাপর অজ্ঞাতনামা আসামীরা জোরপূর্বক লুটপাট করিয়া নিয়া যায় এবং পরিষদের ভিতরে থাকা পেনাল কোড অন্যান্য আসবাবপত্র যেমন চেয়ার, টেবিল, এছাড়াও গ্রাম আদালতের এজলাস সেট সহ বিভিন্ন রুমে ব্যাপক ভাংচুর করিয়া সর্বমোট ৩৭,৭৭,০০০টাকা ক্ষতিসাধন করে।

সম্পর্কিত খবর