শাহরাস্তি ২ জন মৎস্য চাষীর ৩০ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে

মোঃ ইসমাইলঃ চলমান বন্যা পরিস্থিতি ভয়াবহ রুপ নিয়ে দেশের ১১ টি জেলায় পানিতে তলিয়ে গেছে, যার কারনে চাঁদপুর জেলার নিন্মাঞ্চলের কয়েকটি এলাকায় বন্যার প্রভাব পরেছে। গত কদিন যাবত জেলার শাহরাস্তি উপজেলার প্রতান্ত কয়েকটি গ্রাম সহ পৌর এলাকার কয়েকটি ওয়ার্ডে বৃষ্টির পানির সাথে জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে মৎস্য চাষিদের মাছের পুকুর গুলি, ফলে লাখ লাখ টাকা ক্ষতি গ্রস্হ হয়েছে।

সরজমিন বুধবার গিয়ে দেখা যায় শাহরাস্তি পৌরসভার ২ নং ওয়ার্ড সুয়াপাড়া এলাকায় পানি আর পানি,থৈ থৈ করছে, চাঁদপুর জেলা সিএনজি মালিক সমিতির সভাপতি নিজেই ওই এলাকা সহ পাশের দোয়াভাঙা গেইট মিলে প্রায় ৬-৮ টি ছোট বড় পুকুরে মাছ চাষ শুরু করেন বিগত ১০ থেকে ১২ বছর আগ থেকে। কিন্তু চলতি বন্যায় হঠাৎ করে রাঁতের অন্ধকারে পানি প্রভাহিত হয়ে সব কটি পুকুরে প্রবেশ করে আশপাশের জমি ডোবা নালায় বিভিন্ন প্রজাতির চাষের মাছ ভেসে যায়, ফলে লাখ লাখ টাকার ক্ষতিগ্রস্ত হয়,

এ বিষয়ে মৎস্য চাষি উদ্যেক্তা আবুল হোসেন মজুমদার বলেন , আসলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই বন্যার পানি প্রবেশ করে আমার মাছ ভেসে যায়, সকালে আশপাশের মানুষজন আমাকে ফোন করে জানালে আমি এসে পুকুরের মাছ রক্ষা করতে পারি নাই, ভেবেছিলাম দু এক মাস পরে মাছ ধরে বিক্রি করে, আবার নতুন রেনু ছারবো। কিন্তু হঠাৎ বন্যার পানি আমার সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে, তবে আমার প্রায় ২০ লাখ টাকার মাছ ভেসে গেছে, আমি সরকারি ভাবে সহযোগিতা না পেলে খাদ্যের দোকানের লাখ লাখ টাকা সহ পুকুরে লিজকৃত টাকা পরিশোধ করতে পারবো না, তাই জেলা প্রশাসক সহ শাহারাস্তি মৎস্য কর্মকর্তার কাছে দাবি করছি তিনি যেনো আমাদের এই ক্ষতিপূরণ করতে আর্থিক সহযোগিতা করেন।

অপর দিকে একই কারনে মারাক্তক ভাবে আর্থিক ক্ষতি গ্রস্হ হয়েছে আরেক মৎস্য চাষি, তিনিও প্রায় ১০-১২ লাখ টাকার মত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন, এ বিষয়ে ক্ষতি গ্রস্হ মৎস্য চাষি মোঃ আব্দুল খালেক জমদার, পিতা মৃত নাজিম উদ্দীন পূর্ব উপলতা জমদার বাড়ি ৫ নং ওয়ার্ড শাহারাস্তি পৌরসভা তিনি বলেন আমি ২ বছর দরে রেল গেট সংলগ্ন ৪ শ বর্গ ফুট ২ টি পুকুরে বিগত ৪ মাস পূর্বে ৫ লাখ টাকার রেনু পোনা ছেরে বিগত দিনে মাছের খাবার হিসেবে প্রায় ২ লাখ টাকা এবং ঘেরের পরিচর্যা সহ নেট জালে আরো ১ লাখ টাকা ব্যয় করেছে।

৮ লাখ টাকা খরচ করে ১০-১২ লাখ টাকা বিক্রি আসলেও তাহা বন্যার পানিতে ভেঁসে গেছে। ফলে আব্দুল খালেকের ১০-১২ লাখা টাকার মত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এতে করে তিনি দিশেহারা হয়ে পরেছে। বর্তমানে তিনি দার দেনার টাকা পরিশোধ করতে নিরুপায় হয়ে পরেছে, তাই সরকারি ভাবে সহযোগিতা করার দাবি করে মৎস্য চাষি খালেক আরো বলেন শাহারাস্তি মৎস্য কর্মকর্তা আমাদের ক্ষতিপূরণের আর্থিক সহযোগিতা করার আহবান জানান তিনি।

আমরা মনে করি দেশের উদ্যেক্তাদের বাঁচিয়ে রাখতে দেশ মাছের চাষ বৃদ্ধি করতে এই ক্ষতি গ্রস্হদের সরকারি ভাবে আর্থিক সহযোগিতা করা প্রয়োজন।

সম্পর্কিত খবর