মতলবে মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পে ব্যাপক জলাবদ্ধতা

শামীম আহম্মেদ জয় : দেশের অন্যতম বাঁধ মতলব উত্তরের মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্প বন্যা নিয়ন্ত্রণ বেড়ীবাঁধের ভিতর কয়েক দিনের টানা বর্ষনে ব্যাপক জলাবদ্ধতা। কৃষকের সদ্য রোপাকৃত আমন ধানের চারা প্রায় জায়গাতেই তলিয়ে গেছে।

গত ২৩ আগষ্ট মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের সিপাই কান্দি, ঠেটালীয়া, ফতেপুর, পশ্চিম বাইশপুর, গাজীপুর, উদ্দমদী চরমাছুয়া, এনায়েত নগর, ভাটি রসুলপুর, বিনন্দপুর, টরকী , আম্মা কান্দা শীবপুর এসমস্ত জায়গা ঘুরে দেখা যায়, কোন কোন ফসলী জমির মাঠে ব্যাপক জলাবদ্ধতা। বর্তমান ভাদ্র মাস আমন মৌসুম, কৃষকের প্রায় ৬০ শতাংশ জমিতে চারা রোপন করা সম্পন্ন হয়েছে।

এ আগষ্ট মাসে ( বাংলায় ভাদ্র মাস গনগা করে কৃষকরা আউশ ধানের চারা রোপন করতে কার্যক্রম শুরু করেন। এটাই কৃষকের আউশ ধানের চারা রোপন করার উপযুক্ত সময়। আবার আবহাওয়াবিদরা বলছেন এ আগষ্ট মাসে বেশী সময় দরেই বৃষ্টি পাত হয়ে যাকে। বৃষ্টি পাত যতই হউক পানি নিষ্কাশন এর ব্যবস্থা থাকলে কোন যত বড় ধরনের বৃষ্টি পাত হউক পানি আটকা থাকার কথা না। পানি নিষ্কাশনের জন্য বড় দুটি পাম্প হাউজ স্থাপন করা হয়।

এখন ও দুটি পাম্প হাউজ দিয়ে পানি নিষ্কাশন করা হচ্ছে প্রচুর পানি বাহির হইতেছে সরজমিনে দেখা যায়। পকল্পে জলাবদ্ধতা হওয়ার কারন হিসাবে সরেজমিনে জানা যায়, পূর্বের পানি নিষ্কাশন খাল গুলি সংস্কার না হওয়ার কারনে মাঠে জলাবদ্ধতা, ঐ সমস্ত খালগুলোতে জঙ্গল আর জঙ্গল। একটি তিল ধারনের জায়গা নাই।

খাল গুলি যে যেমননি ইচ্ছা তেমনি মাটি ফেলে ভরাট করে ফেলছে স্বার্থন্বেশী মহল, অপরিকল্পিত ভাবে যেখানে সেখানে তৈরী হচ্ছে বাড়ি ঘর। এতে করে পানি নিষ্কাশন ব্যাহত হচ্ছে। অবৈধ স্থাপনাতো আছেই।

আরও একটি বিষয় জানা গেল, মেঘনা ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের ভিতরে ৩০ টি পানি ব্যবস্থাপনা দল গঠন করা হয়। এখানে প্রশ্ন থাকে এদের কাজটি কি? এ দলের দায়িত্ব অনেক, তারা যদি যার যার এলাকা ভিত্তিক পানি নিষ্কাশন সমস্যা গুলো চিহ্নিত করে এর ব্যবস্থা নেওয়া হতো তাহা হলে আর প্রকল্প বাসী ও কৃষকের এ দূর্ভোগ পোহাতে হতোনা। পানি ব্যবস্থাপনা দলগুলো প্রত্যেক বছর ইরি/সেচ মৌসুমে তারা তাদের স্বার্থ হাসিল করা শেষ আর মাঠেই থাকছেনা।

এ বিষয় গুলি সরজমিন তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান এলাকা বাসি।

সম্পর্কিত খবর