কচুয়ার সাবেক দুই এমপিসহ ৫৮৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা

ইসমাইল হোসেন বিপ্লব,কচুয়া : আওয়ামী লীগ সরকারের ২০২২সালে বিএনপির ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানে ভাংচুর ও চাঁদা দাবীর ঘটনায় ৮৯জনের নামীয় ও অজ্ঞাত নামা ৫’শ জনের নামে কচুয়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে।

সোমবার (২৬ আগস্ট) রাতে উপজেলার গোহট দক্ষিণ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের জিন্নাত আলীর ছেলে মতিউর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলায় সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মহীউদ্দীন খান আলমগীর ও সাবেক এমপি ড. সেলিম মাহমুদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মাহবুব আলম ও সাবেক মেয়র নাজমুল আলম স্বপনসহ ৮৯জনকে এজাহার নামীয় ও অজ্ঞাত ৫শত জনকে বিবাদী করা হয়। মামলা নং ৬/১২৭। মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান।

এজহার মর্মে জানা গেছে, ২০২২ সালের ২৫এপ্রিল কচুয়া সদর দক্ষিণ ইউনিয়নের বদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে স্থানীয় বিএনপি ইফতার ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। বিকাল সাড়ে ৫টার সময় উক্ত অনুষ্ঠানে যাওয়ার পথে বদরপুর এলাকায় সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ.ন.ম. এহসানুল হক মিলন ও তাঁর স্ত্রী কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সহ-সভাপতি নাজমুন নাহার বেবী পৌছলে আওয়ামী লীগের ৪০/৫০ জন যুবক তাদের গাড়ি ও অনুষ্ঠানের প্যান্ডেল ভাংচুর করে এবং ২০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী করে। এ সময় অতর্কিত হামলা চালিয়ে মারধর করে এবং আসামীগন অস্ত্র, পিস্তল, রিভলবার ও শর্টগান দিয়ে আক্রমন করে ২৭জনকে জখম করে।

আহতরা গৌরিপুর, মতলব ও হাজীগঞ্জ সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা গ্রহন করে। ঘটনারপর কচুয়া থানায় অভিযোগ করতে গেলে মামলা নেওয়া হয়নি। গত ৫ আগস্ট বৈষম্য বিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনে বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ন্যায় বিচার পাওয়ার আশায় মামলা দায়ের করেন বলে এজহারে উল্লেখ করা হয়। উক্ত মামলার স্বাক্ষী হিসেবে রয়েছেন ১৬জন।

তন্মধ্যে সাবেক শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ড. আ.ন.ম. এহসানুল হক মিলন ও তাঁর স্ত্রী কেন্দ্রীয় মহিলা দলের সহ-সভাপতি নাজমুন নাহার বেবী, আতাউল করিম, ওলিউল্যাহ, শিব্বির আহমেদ, কবির হোসেন, ওবায়েদ মুন্সি, জাকির হোসেন প্রমুখ।

সম্পর্কিত খবর