চাঁদপুর সদরে সমাজসেবা অফিসের ফিল্ড সুপারভাইজার রবিউল এখন কোটিপতি!

স্টাফ রিপোর্টার: চাঁদপুর সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসের ফিল্ড সুপারভাইজার রবিউল হোসেন যেন এখন কোটিপতি রবিউল। সামান্য ২১ হাজার টাকা বেতন যেন তার অনেকটা ভাগ্য বদলে দিয়েছে।

যারফলে চাঁদপুর শহরেই একে একে দুই দুটি ৫তলা ফাউন্ডেশনের দ্বিতল ভবন করেছেন ।এছাড়া নামে বেনামে একাধিক সম্পদের অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

জানাযায়, হাইমচর উপজেলার এক দারিদ্র্য পরিবারে জন্মগ্রহন করেন রবিউল। এসএসসির পর এক সময় দারিদ্র্যতার কারনে ঢাকায় চলে যান।এক পর্যায়ে সমাজসেবায় ফিল্ড অফিসার হিসেবে চাকুরি পায়।আর এটিই যেন তার কাছে আলাদীনের চেরাগের মতো ভাগ্যকে বদলে দেয়।স্ত্রী পান্না রহমানকেও একই পদে সমাজসেবায় চাকুরী পাইয়ে দেন ।

বিশেষ করে রবিউল চাঁদপুর সদর উপজেলায় নিজের একটি শক্ত অবস্থান গড়ে তোলেন। যারফলে তাকে যেখানেই বদলী করা হয় ঘুরেফিরে আবার চাঁদপুর সদরেই চলে আসেন।পুরো সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিস যেন তার নিয়ন্ত্রণে চলে।

তিনি অফিসের একক কর্তাব্যক্তি হয়ে উঠেন।এমন অভিযোগও রয়েছে যে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তাও তার ইশিরায় চলে।ফলে এমন সুযোগ কাজে লাগাতে মোটেও ভুল করেনি রবিউল। যারফলে পুরো অফিসকে নিজের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নীরবে মোটা অংকের টাকা কামিয়ে যাচ্ছেন রবিউল ।এরফলে চাঁদপুর শহরেই একে একে গড়ে তোলেছেন দুই দুটি ৫তলা ফাউন্ডেশনের বাড়ি ।

শহরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন ( পলাশ ভবনের পাশই) একটি ও তরপুচন্ডি ইউনিয়নের তেঁতুলতলায় আরো একটি ৫ তলা ফাউন্ডেশনের বাড়ি রয়েছে রবিউলের।এছাড়াও নামে বেনামে তার ও তার স্ত্রী পান্না রহমানের নামে একাধিক সম্পদের অভিযোগ রয়েছে। এই সমাজকর্মী নিয়মিত ফেসবুকে বিভিন্ন ওয়াজ দোয়া কালামসহ হাদিস পাঠ করেন।দেখলে মনেহয় বড় কোন মাওলানা।

এবিষয়ে চাঁদপুর সদর উপজেলা সমাজসেবা অফিসের ফিল্ড সুপারভাইজার রবিউল হোসেন বলেন, আমার মাও চাকুরী করতো এবং আমার স্ত্রীও চাকুরী করে।আমি অনেক দেনা করে এই বাড়ির কাজ করতেছি। এখনোও অফিস থেকে ১ লাখ টাকা লোন চেয়েছি।নিচ তলায় মসজিদ করেছি।

চাঁদপুর সদর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন বলেন, আমার জানামতে সে ২০২০ সাল থেকে এখানে আছে।মাঝখানে মতলব বদলী হয়েছিল তারপর আবার চলে আসছে।আমার অফিসে বাড়তি কোন ইনকামের সুযোগ নেই।সে কিভাবে কি করছে সেটা তার কাছ থেকে জানলে ভালো হয়।

সম্পর্কিত খবর