চাঁদপুরে বিভিন্ন দপ্তরে রদবদল জরুরী : বছরের পর বছর পদ আকড়ে রেখেছেন কর্মকর্তারা

চাঁদপুর খবর রিপোর্ট : চাঁদপুর জেলার সরকারি -বেসরকারী বিভিন্ন দপ্তরে বিগত সরকারের আমলের বিভাগীয় কমকর্তা-কর্মচারীরা এখনো পদ আকড়ে রেখেছেন। অর্ন্তবতী সরকারের প্রশাসনের সংস্কারের যে উদ্যোগ নিয়েছেন তার আঁচ চাঁদপুরের প্রশাসনে তেমন দেখা যায়নি।

৫ আগষ্ট আওয়ামীলীগ সরকার পতনের পর সম্প্রতি চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের রুটিন বদলী করা হয়েছে। বিগত পতিত সরকারের আমলে প্রশাসন ও বিভিন্ন দপ্তরে কর্মরত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বছরের পর বছর চাঁদপুরে একেই স্টেশনে চাকুরী করছেন। এমনি ২/৩ বছর হলে চাকুরী বিধি অনুযায়ী বদলীর করার কথা থাকলেও অধিকাংশরা বদলী হচ্ছে না। চাঁদপুরে উর্ধ্বতন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা পদ আকড়ে রেখেেেছন। প্রশাসন, পুলিশ বিভাগে তেমন কোন পরিবর্তন লক্ষ্য যায়নি এখনো ।

বিগত আওয়ামীলীগ সরকারের আমলে নিয়োগ পাওয়া অফিসাররা এখনো বহাল তবিয়তে আছেন। প্রতিটি সেক্টরে রদবদল জরুরী হয়ে পড়ছে । জানা গেছে, চাঁদপুর জেলা পুলিশ বিভাগে সম্প্রতি এসআই ও এএসআই পদে ব্যাপক রদবদল করা হয়েছে । চাঁদপুর মডেল থানার ওসি শেখ মুহসীনকে ৫ আগষ্টের আগেই বদলী করা হয়েছে।

দু’একদিনের মধ্যে তিনি চলে যাবেন। মতলব দক্ষিণ থানার ওসি তদন্ত সালাউদ্দিনকে ওসির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। গত ২৪ আগষ্ট বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে চাঁদপুর ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উপপরিচালক মো:রুহুল আমিন চাকুরী থেকে পদত্যাগ করেছেন। চাঁদপুর জেলা পরিষদের বির্তকিত সহকারী প্রকৌশলী (চ:দা:) মো:ইকবাল হোসেন সাড়ে ৯বছর পদ আকড়ে কিংবা দখলে রেখেছেন।

চাঁদপুর সদর হাসপাতালের অনেক ডাক্তার এখনো কর্মস্থলে যোগদান করেননি । চাঁদপুরের অনেক বড় বড় অফিসে গড়হাজির থাকছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। পুরানবাজার ডিগ্রী কলেজের অবসরে যাওয়ার পরও সম্পুর্ন বেআইনীভাবে চুক্তিভিত্তিক নিয়োগপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রতন কুমার মজুমদার বৈষম্য ছাত্র আন্দোলনের দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে সম্প্রতি স্বেচ্ছায় পদত্যাগ করেছেন । চাঁদপুর সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ অসিত কুমার আত্নগোপনে রয়েছেন ।

তার পদত্যাগ দাবী করে আসছে বৈষম্য ছাত্র আন্দোলের ছাত্ররা । চাঁদপুর বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ^বিদ্যালয় ড.নাসিমকে দীর্ঘদিন যাবত পদত্যাগের দাবীতে আন্দোলন করে আসছে ছাত্ররা । বাবুরহাট কলেজের অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন আত্নগোপনে রয়েছেন । চাঁদপুরের এখনোও প্রশাসন ও বিভিন্ন দপ্তরে কার্যক্রম এখনো স্বাভাবিক হয়নি ।

জনগন আশানুরুপ সেবা পাচ্ছে না । জেলার প্রতিটি ইউনিয়নে ভিজিটি কাডের্র চাল পাচ্ছে না ,অসহায় এসব নাগরিক সেবা গ্রহীতারা মানববেতর জীবন যাপন করছে। কারণ সদরের ১৩ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও প্যানেল চেয়ারম্যানরা আত্নগোপনে রয়েছেন । তাই ইউনিয়ন পরিষদের সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন ।

যদিও চাঁদপুর জেলা প্রশাসক ও ইউএনও মহোদয়রা ইউনিয়ন পরিষদের জনগনের সেবা নিশ্চিত করতে আপ্রান চেষ্টা করছেন । এ ব্যাপারে চাঁদপুরের উর্দ্ধতন কর্মকর্তরা মুখ খুলতে চাচ্ছেন না। চাঁদপুরের প্রশাসনের প্রতিটি সেক্টরে রদবদলের দাবী জানিয়েছেন চাঁদপুরের নাগরিক সমাজ ।

সম্পর্কিত খবর