চাঁদপুরে চাঞ্চল্যকর শাহীন হত্যা মামলার প্রধান আসামী শান্ত দাস গ্রেফতার

চাঁদপুর খবর রির্পোট: চাঁদপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, বিপিএম, পিপিএম-বার এর দিক নির্দেশনায় চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ শেখ মুহসীন আলম এর তত্ত্বাবধানের চাঁদপুরে চাঞ্চল্যকর শাহীন হত্যা মামলার এজাহারনামীয় ১নং আসামী শান্ত দাসকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গতকাল২৪ আগস্ট (শনিবার) চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশের অভিযানে এজহারনামীয় ১নং আসামী শান্ত দাসকে গ্রেফতার করা হয়।

২৪আগস্ট নিহত মো. শাহীনের মাতা সাজেদা বেগম বাদী হয়ে খুনী শান্ত দাসকে ১নং আসামী করে ৬জন সহ অজ্ঞাতনামা ১০/১২ জনের বিরুদ্ধে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলা নং-২২/৫৮২, তাং-২৪/০৮/২০২৪ইং, ধারা-৩৪১/৩২৬/৩০৭/৩০২/৩৪ পেনাল কোড রুজু করা হয়। চাঁদপুর সদর মডেল থানা সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।

থানা সূত্রে জানা যায়, মামলা দায়েরের পর চাঁদপুর মডেল থানার এসআই(নিঃ) মোঃ ফেরদৌস হোসেন সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান পরিচালনা করে মামলার ১নং আসামী শান্ত দাস (১৯), পিতা-অজয় চন্দ্র দাস, মাতা-কবিতা রানী দাস, সাং-ব্যাংক কলোনী, থানা ও জেলা-চাঁদপুর কে চাঁদপুর বাস টার্মিনাল এলাকায় থেকে গ্রেফতার করা হয়। পরে আসামীকে যথাযথ পুলিশ প্রহরার মাধ্যমে বিজ্ঞ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

জানা যায়, নিহত শাকিল পেশায় রাজমেস্ত্রী ও অটোচালক। ২/৩ দিন পূর্বে চাঁদপুর পৌরসভাস্থ ব্যাংক কলোনী খেলার মাঠে ফুটবল খেলাকে কেন্দ্র করিয়া সাজেদা বেগম এর ছেলে ভিকটিম মোঃ ইব্রাহিম খলিল প্রকাশ শাহীন এর সাথে ১। শান্ত দাস (১৯), পিতা-অজয় চন্দ্র দাস, মাতা-কবিতা রানী দাস, সাং-ব্যাংক কলোনী, চাঁদপুর ২। মোঃ শামীম (১৯), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-ব্যাংক কলোনী, ৩। রাতিম (১৯), পিতা-মোঃ নাছির, সাং-বিষ্ণুদি, খান ভিলার গলির ভিতরে, ৪। মোঃ সামির (১৯), পিতা-অজ্ঞাত, সাং-বিষ্ণুদি, ঢালী মসজিদের সামনে, ৫। সামি (১৯), পিতা-মোঃ মনির, মাতা-মনি বেগম, ৬। মোঃ সাকিল (২১), পিতা-মোঃ আলমগীর, মাতা-হালিমা বেগম, উভয় সাং-ব্যাংক কলোনী গাজী বাড়ী, সর্বথানা-চাঁদপুর সদর এর সাথে বিরোধ সৃষ্টি হয়।

বিরোধের জের ধরে ২৩আগস্ট রাত ৮টায় ভিকটিম মোঃ ইব্রাহিম খলিল প্রকাশ শাহীন বাসা থেকে বাসস্ট্যান্ড এর দিকে যাওয়ার সময় বিবাদীগণ ভিকটিম মোঃ ইব্রাহিম খলিল প্রকাশ শাহীন এর পথরোধ করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে এলোপাথারি ভাবে কোপিয়ে নিহত করে।

১নং বিবাদী শান্ত দাস তাহার ধারালো চাপাতি দিয়ে ভিকটিম মোঃ ইব্রাহিম খলিল প্রকাশ শাহীন কে হত্যার উদ্দেশ্যে সজোরে কোপ দিলে ভিকটিমের মাথার পিছনের অংশসহ বাম কানের নিচে লেগে গুরুতর কাটা রক্তাক্ত জখম হয়।

উক্ত ঘটনা দেখে সাক্ষী মোঃ ফাহিম তাকে বাঁচাতে ওলে ২নং বিবাদী মোঃ শামীম তার হাতে থাকা ধারালো চাপাতি দিয়ে এবং ৩নং বিবাদী রাতিম তাহার হাতে থাকা ধারালো ছোরা দিয়া সাক্ষী মোঃ ফাহিম কে এলোপাথারি কোপ মারে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা রক্তাক্ত গুরুতর জখম করে। অন্যান্য বিবাদীগণসহ অজ্ঞাতনামা বিবাদীগন তাহাকে ধারালো অস্ত্র দ্বারা এলোপাথারি কোপাইয়া তাহার শরীরের বিভিন্ন স্থানে কাটা রক্তাক্ত জখম করে। তাদের ডাক চিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া গেলে বিবাদীরা দ্রুত ঘটনাস্থল ত্যাগ করে।

পরে উপস্থিত লোকজনের সহায়তায় সাজেদা বেগম এর ছেলে ও সাক্ষী মোঃ ফাহিম কে উদ্ধার করিয়া চিকিৎসার জন্য চাঁদপুর সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার সাজেদা বেগম এর ছেলে ভিকটিম মোঃ ইব্রাহিম খলিল প্রকাশ শাহীন কে পরীক্ষা নিরীক্ষা করিয়া মৃত ঘোষণা করেন।

ঘটনান সাক্ষী মোঃ ফাহিম এর আঘাতের অবস্থা আশংকা জনক হওয়ায় তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল রেফার্ড করেন।

সম্পর্কিত খবর