মেঘনার পানি বিপদসীমার ৩০সেমি. নিচে রয়েছে : আতংকিত হবেন না

মহসিন হোসাইন: চাঁদপুরের মেঘনা নদীর পানি এখনও বিপৎসীমার ৩০ সেন্টিমিটার নিচে রয়েছে। তাই কেউ কোনো ধরনের আতঙ্কিত বা গুজবে কান না দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন, চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম।

শুক্রবার (২৩ আগস্ট) রাত ৯টায় বিষয়টি নিশ্চিত করেন, পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জহুরুল ইসলাম।

এর আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে ‘চাঁদপুরে মাইকিং হচ্ছে, মেঘনা নদীর পানি বিপৎসীমার উপরে। যে কোনো সময়ে বাঁধ ভেঙে যেতে পারে। সবাই সতর্ক হোন।’ পরে এই বিষয়টি চাঁদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষকে অবগত করলে, দপ্তরটির নির্বাহী প্রকৌশলী এটি স্রেফ গুজব বলে দৈনিক চাঁদপুর খবর কে নিশ্চিত করেছেন।

জহুরুল ইসলাম আরও বলেন, বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধের চর বাগাদীতে কয়েকটি স্থানে ছোট ছোট গর্ত হয়েছে। তা সংস্কার করা হয়েছে। কুমিল্লার পানি চাঁদপুরের মেঘনা দিয়ে নামলেও হয়তো পানির লেভেল কিছুটা বাড়তে পারে, তবে এখনো এ জেলা শঙ্কামুক্ত রয়েছে।

এ ছাড়া ফরিদগঞ্জ, কচুয়া ও হাইমচরসহ অন্যান্য স্থান বৃষ্টির কারণে জলাবদ্ধতায় মানুষ ব্যাপক বিপাকে রয়েছে বলে তিনি জানান। সেটিও বন্যার পানি নয়। আমরা অন্য নদীগুলোর পানির লেভেল পরিমাপ না করলেও সেটিও চাঁদপুরের জন্য বিপজ্জনক নয় বলে খবরাখবর রাখছি।

এছাড়া চাঁদপুরে প্লাবিত এলাকার মধ্যে ফরিদগঞ্জ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে অতিবৃষ্টিতে পানি বেড়ে যাওয়ায় মাছের ঘের নষ্ট হয়েছে এবং হাইমচরের শেষের দিকে চরভৈরবী ও হায়দরগঞ্জ এলাকায় কিছু পানের বরজ নষ্ট হতে দেখা গেছে। তবে আগামী এক দুইদিন বৃষ্টি কম থাকলে পানি থাকবেনা বলে জানান এই কর্মকর্তা।

এদিকে মাইকিং করার বিষয়টি খোঁজ-খবর নিয়ে জানা যায়, আবহাওয়া ও ত্রুটিজনিত কারণে শনিবার চাঁদপুর শহর ও হাইমচরে সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত বিদ্যুৎ থাকবে না- সেটিই সংশ্লিষ্ট বিভাগ জনসাধারণকে মাইকিং করে ঘুরে ঘুরে জানিয়েছে।

সম্পর্কিত খবর