বিশেষ প্রতিনিধি : চাঁদপুর শহরের পুরাণ বাজার মেঘনা পাড় হরিসভা এলাকায় রাসেলস ভাইপার সাপেড় কামড়ে গুরুতর আহত হয়েছেন।
বুধবার (২১ আগস্ট) দিনগত রাতে ওই এলাকার মেঘনা পাড়ে তিনি নিজ ঘরেই সাপের কামড়ের শিকার হন। তিনি ওই এলাকার সঞ্জয় চক্রবর্তীর স্ত্রী এবং দুই সন্তানের জননী। তিনি বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
সাপে কামড়ালে পরে সাপটি উদ্ধার করে এটি রাসেল ভাইপার বলে চিকিৎসকদের নিশ্চিত করেন আহতের স্বজনরা।
বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) দুপুরে হাসপাতালে গিয়ে ওই গৃহবধুর স্বজনদের সাথে কথা বলে এসব তথ্য জানাগেছে।
তারা জানান, এই গৃহবধূ রাতে নিজের ঘুমানোর ঘরে বাতি জ্বালাতে গিয়েছিলেন। এরপর তার পায়ে সাপে কামড়িয়ে পালিয়ে যাচ্ছে বুঝতে পেরে তিনি চিৎকার দিতে থাকেন। ততক্ষণে সাপ ঘরের অন্য কক্ষে গিয়ে লুকিয়ে যায়। পরে তাকে দ্রুত ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। তখন চিকিৎসক কোন সাপে কামড়িয়েছে তা নিশ্চিত হতে না পেরে চিকিৎসা দিতে সময় নিচ্ছিলেন। এ কথা শুনে স্বজনরা ওই ঘরে এসে সেই সাপ খুঁজে বের করে দেখেন এটি রাসেল ভাইপার।
সাপের কামড়ে আহত নারীর স্বামী সঞ্জয় চক্রবর্তী বলেন, আমিসহ এলাকার লোকজন দ্রুত আমার স্ত্রীকে হাসপাতালে নিয়ে যাই। পরে চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কোন সাপে কেটেছে তা নিশ্চিত না হতে পেরে অ্যান্টিভেনম দিতে কিছুটা সময় নেয়। তখন আমি আমার ছোট ভাইকে বিষয়টি জানালে সে দৌড়ে গিয়ে লোকজনসহ সাপ খুঁজে বের করে। সাপটি ছিলো রাসেল ভাইপার। পরে এটাকে আধ মরা করে পলিথিন ব্যাগে নিয়ে হাসপাতালে ছুটে আসে। এটি রাসেল ভাইপার বুঝতে পেরে চিকিৎসক দ্রুত সে সাপের অ্যান্টিভেনম রোগীকে দিয়ে দেন। বর্তমানে ওই নারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ওই নারীর দেবর রবিন চক্রবর্তী বলেন, হরিসভা মন্দিরের পিছনে আমাদের বাড়ি। বাড়ির পাশে একটি খাল রয়েছে। যা পাশের মেঘনা নদীতে গিয়ে মিলেছে। কয়েক মাস আগে আমরা একটি বড় রাসেল ভাইপার সাপকে পিটিয়ে মেরে ফেলেছিলাম। এরপর এখন এই সাপ আমার বৌদিকে কামড়িয়েছে। আমাদের পরিবারসহ এলাকার সবাই এখন সাপ আতঙ্কে রয়েছে। ঘরে আরও রাসেল ভাইপার সাপ লুকিয়ে আছে কিনা এই ভয়ে সবাই বাহিরে পাহারা দিচ্ছি।
চাঁদপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ কে এম মাহবুবুর রহমান বলেন, রোগীকে অ্যান্টিভেনম চিকিৎসা দিয়ে পুরোপুরি নিরাপদ মনে না করা পর্যন্ত পর্যবেক্ষণে রাখতে হাসপাতালে ভর্তি রাখা হয়েছে।