সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী : চলমান প্রেক্ষাপট নিয়ে বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরতে চাঁদপুর সদর ইউএনও’র সাথে মতবিনিময় করেছে বৈশম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা।
সোমবার (১৯ আগস্ট) বিকেল ৩ টায় উপজেলার ডিজিটাল কনফারেন্স কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় শিক্ষার্থীরা বলেন, সারা দেশের ন্যায় চাঁদপুরেও সাধারণ শিক্ষার্থীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে অংশ নিয়েছে। বর্তমানে সাধারণ শিক্ষার্থীরা চাঁদপুরে সকল প্রকার অনিয়ম-অপরাধ রোধে কাজ করে যাচ্ছে। এ অবস্থায় চাঁদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভাবমূর্তি বিনষ্ট করতে একটি চক্র নানা অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পড়ছে।
এই মুহূর্ত থেকে চাঁদপুরের মানুষের সম্পদ রক্ষার দায়িত্ব আমাদের সবার। আমরা সকল সম্প্রদায়ের মানুষজনের জানমাল রক্ষার্থে সর্বদা প্রস্তুত আছি। যেখানেই এ ধরনের সংবাদ পাবো, সেখানেই আমাদের টিমের সদস্যদের পাঠিয়ে দিয়ে সার্বিক সহযোগিতা করবো। ছাত্ররা নদী ভাঙ্গন রোধ, নৌ পথে এবং সড়ক পথে যাতায়াতে অতিরিক্ত টাকা আদায় বন্ধ করা, চাঁদাবাজি বন্ধ করা, হাসপাতালে চিকিৎসার সেবা বৃদ্ধি করা, সরকারি দপ্তরগুলোতে হয়রানি বন্ধ করে সেবার মান বৃদ্ধির দাবি জানান।
শিক্ষার্থীরা বলেন, আমরা যানজট নিরসন, চাঁদাবাজী, বাজার মনিটরিংসহ অন্যান্য যে কোন অনিয়ম প্রতিরোধে (যোক্তিকভাবে) প্রশাসনের সহযোগীতা কামনা করছি।
ইউএনও সাখাওয়াত জামিল সৈকত বলেন, আমি একজন শিক্ষার্থী ছিলাম। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে না থাকলে আমিও শিক্ষার্থীদের কাতারে থাকতাম। বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের সাথে পরিকল্পনা করে এ উপজেলার সাধারণ মানুষের সার্বিক নিরাপত্তা দেওয়া হবে। নদী ভাঙ্গন রোধে জেলা প্রশাসক মহোদয়কে অবগত করা হয়েছে। চিকিৎসা সেবা, যাত্রী সেবাসহ সমাজের অসঙ্গতিগুলো ছাত্রদের সাথে নিয়েই নিরসন করা হবে।
সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দলনে অংশ নেয়া সাধারণ শিক্ষার্থীদের পক্ষে বক্তব্য রাখেন, নাদিম পাটওয়ারী, আব্দুল্লাহ আল কাফী, ঐশর্য, সিয়াম পাটওয়ারী, আনাস ইবনে আলমগীর, মো. যোবায়ের ইসলাম আসিফ, মো. মানজুরুল এহসান পারভেজ, ফয়সাল খান, সাগর হোসেন, ইফরান কাদের রুহিন, মেজবাহ উদ্দিন, সৈয়দ সাকিবুল ইসলাম, মো. হাবিবুর রহমান, জাহিদ হাসান, ইসরাত জাহান, ফারিয়া নিশাত, সামিয়া আফরোজ, সামিয়া সানজু। এরা চাঁদপুর সরকারি কলেজ, চাঁদপুর পুরাণ বাজার ডিগ্রি কলেজসহ বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কাওমী মাদ্রাসার শিক্ষার্থী।
মতবিনিময় সভা শেষে বৈশম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ভাবমূর্তি বিনষ্টকারীদের আইনের আওতায় আনার বিষয়ে চাঁদপুর সদর ইউএনও সাখাওয়াত জামিল সৈকত বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ জমা দেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা।