স্টাফ রিপোর্টার: চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের কাছে ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৬ নং রুপসা (দঃ) ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শরীফের দুর্নীতি বিরুদ্ধে স্মারকলিপি পেশ করেছে গৃদকালিন্দিয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজ।
রোববার দুপুরে জেলা প্রশাসকের কক্ষে জেলা প্রশাসকের কাছে গৃদকালিন্দিয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজ লিখিত স্মারকলিপি পেশ করেন।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, ফরিদগঞ্জ উপজেলার ১৬ নং রুপসা (দঃ) ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান শরীফ হোসেন স্থানীয় সংসদ সদস্যর একজন প্রভাবশালী প্রতিনিধি। তিনি বিভিন্ন সময় বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক বরাদ্দকৃত বি.জি.ডি, বি.জি.এফ হত দরিদ্রের ৩০ কেজি চাল, টিসিবির ঢাল, ডাল, চিনি ও তৈল এবং দুর্যোগ ব্যবস্থাপনার কম্বল সহ বিভিন্ন সামগ্রী এবং ভীতিকর বিস্ফোরক দ্রব্য সামগ্রী তার বাড়িতে আত্মসাৎ এর উদ্দেশ্যে গোপন আস্থানায় গচ্ছিত রাখেন এবং সরকারী চাল-ডাল তার নিজস্ব মাছের খামারে খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করেন।
তাছাড়া তার ব্যাক্তিগত মালিকানাধীন “খাঁন ভোজন” নামক হোটেল টি সি বি পন্য ও সরকারী চাল ব্যবহার করে। এছাড়া ও বিস্ফোরক দ্রব্য ব্যবহার করে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে। তার নিকট ২ (দুইটি) আগ্রেপ্ত সহ দেশীয় অস্ত্র সশ্র রইহিয়াছে। যে কোন সময় যে কোন বিপর্যয় গঠতে পারে। গত ৮ আগষ্ট স্থানীয় সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বিল্লাল হোসেন খাঁন বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে অবগত করলে বর্তমান চেয়ারম্যান শরীফ হোসেন গোপনীয় ভাবে ঐদিন ইউনিয়ন পরিষদ হইতে গচ্ছিত অবৈধ মালামাল অন্যত্রে সরিয়ে নেওয়ার সময় স্থানীয় ছাত্র জনতা প্রতিরোধ সৃষ্টি করে।
তারা স্বারকলিপিতে আরও উল্লেখ করেন, গত ৬ আগষ্ট চেয়ারম্যান শরীফ হোসেন এর বড় ভাই আবুল খায়ের মেম্বার এর মাধ্যমে রাত্র আনুমানিক ২ঘটিকার সময় ইউনিয়ন পরিষদ হইতে বিপুল পরিমান চাল, ডাল, চিনি ও তৈল অন্যত্র সরিয়ে নেয়। যাহা অদ্যবদি উদ্ধার সম্ভব হয়নি।
পরবর্তীতে অবস্থার অবনতির আশংকায় চাঁদপুর হইতে সেনাবাহিনীর উপ-অধিনায়ক মেজর মোয়াজ্জেম হোসেনের নেতৃত্বে তার ইউনিয়ন পরিষদ ও তার বাড়িতে তল্লাশি করিয়া ইউনিয়ন পরিষদে অবৈধ গচ্ছিত ২১০ বস্তা চাল ও বাড়িতে ৯০০শ কেজি বি.জি.ডি চাল ১২শ কেজি টি.সি.বি চাল ৭২ লিটার টি.সি.বি তৈল ৮০ কেজি টি.সি.বি ডাল ও ৫ কেজি টি.সি.বি চিনি এবং ২২০ পিচ দূর্যোগ ব্যবস্থাপনার কম্বল। ৫০ পিচ ককটেল তার বাড়ির গোপন আস্থানা হইতে উদ্ধার করা হয়।
গৃদকালিন্দিয়া বৈষম্য বিরোধী ছাত্র সমাজেরর পক্ষে আমিনুল ইসলাম জানান, ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে প্রশাসন প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন না করায় ছাত্র সমাজ ও স্থানীয় জনতা উচিৎ বিচার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে আশংকা প্রকাশ করতেছে।
তার দুর্নীতির কারনে তাহার পদ হইতে অপসারণ করে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে।
স্বারকলিপি পেশকালে জেলা প্রশাসক সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে জানান।