নিজস্ব প্রতিনিধি : কচুয়া উপজেলার উত্তর কচুয়া ইউনিয়নের তেতৈয়া গ্রামে জায়গা সম্পত্তি নিয়ে বিরোধের জের ধরে বাবাকে মারধর ও বসতঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। ২১ জুলাই ওই গ্রামের উত্তর ভূঁইয়া বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় বৃদ্ধ বাবা মিছির আলী (ভূঁইয়া) বাদী হয়ে বড় ছেলে মিজানুর রহমান (৫০) ও ছেলের বউ হাওয়া বেগম জোৎস্না (৪২)কে বিবাদী করে কচুয়া থানাতে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাগেছে,জায়গা সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বৃদ্ধ বাবা মিছির আলী তার বড় ছেলে মিজানুর রহমানের সাথে বিরোধ চলে আসছে।
গত ২১ জুলাই মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী হাওয়া বেগম জ্যোৎস্না সঙ্গবদ্ধভাবে মেঝো ছেলে প্রবাসী মজিবুর রহমানের বসতঘর ভাংচুর করে ঘরে থাকা জায়গা জমির দলিল ও বিভিন্ন প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যায় এবং তার বাবা মিছির আলীকে মারধর করেন। পরবর্তীতে এলাকার স্থানীয় সালিশদের উপস্থিতিতে মুজিবুর রহমান তার বাবা থেকে ক্রয় করা সম্পত্তির উপর ঘর নির্মাণ করতে গেলে বড় ছেলে মিজানুর রহমান বাধা প্রদান করেন।
ভুক্তভোগী মিছির আলী জানান, আমার সকল সম্পত্তি ৩ ছেলে ৮ মেয়েদের মাঝে বন্টন করে দেই। বড় ছেলে মিজানুর রহমান বিভিন্ন সময় আমাকে শারীরভাবে অত্যাচার এবং বিভিন্ন ধরণের অশ্লীল ভাষায় গালমন্দ করে থাকে। আমার মেঝো ছেলে প্রবাসী মজিবুর রহমানের সাথে বসবাস করে আসছি । বড় ছেলে মিজানুর রহমান প্রায় আমার মেঝো ছেলের ঘরে আক্রমনসহ ভাংচুর করে থাকেন। মিজানুর রহমান জোর খাটিয়ে বাড়ির পুকুরের মাছ বিক্রি ও গাছপালা কেঁটে নিয়ে যায়। সে স্থানীয় সালিশদের বিচার-আচার কোনটাই মানে না।
গত ২১ শে জুলাই সকালে মিজানুর রহমান ও তার স্ত্রী হাওয়া বেগম জ্যোৎস্না সঙ্গবদ্ধভাবে মেঝো ছেলে মজিবুর রহমানের বসতঘর ভাঙচুর ও ঘর নির্মানের মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। আমি বাধা প্রদান করলে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে এলোপাতারী মারধর করেন। পরে মেঝো ছেলের বউ ট্রিফল নাইনে ফোন করলে কচুয়া থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে মিজানুর রহমান পালিয়ে যায়। পরে আশপাশের লোকজন আহত অবস্থায় উদ্ধার করে আমাকে কচুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করান।
তিনি আরো জানান, আমার মেজো ছেলে মজিবুর রহমানকে ২০১২ সালে আমার কাছ থেকে ১২ শতক জমি ক্রয় করে। ওই জায়গার উপর মুজিবুর রহমান ঘর নির্মান করতে দিচ্ছে না মিজানুর রহমান। ছেলে মিজানুর রহমান আমাকে কোন ভরনপোষণ দেয় না। আমি প্রশাসনের কাছে বিচার চাই।
বিবাদী মিজানুর রহমান জানান,বাবার সম্পত্তি অন্য ভাই-বোনদের মাঝে বন্টন করে দিলেও আমাকে কোন সম্পত্তি দেয়নি বাবা।
দেশে চলমান পরিস্থিতির কারনে কচুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।