চাঁদপুর পুলিশ সুপারের সাথে শহর জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময়

স্টাফ রিপোর্টার : বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর চাঁদপুর শহর শাখার উদ্যোগে জেলা পুলিশ সুপার, সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ও সিভিল সার্জনের সাথে পৃথক পৃথক মতবিনিময় সভা ও সদর হাসপাতালে ২টি হুইল চেয়ার বিতরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

গতকাল ১৫ আগস্ট বৃহস্পতিবার সকাল ১১টা থেকে দুপুর পযর্ন্ত পৃথক পৃথক অফিসে এই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাঃ এ কে এম মাহাবুবুর রহমান, জেলা সিভিল সার্জন ডা. মোঃ সাহাদাৎ হোসেনের সাথে জামায়াতে ইসলামীর মতবিনিময় সভা ও সদর হাসপাতালে রোগীদের জন্য হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরার সদস্য ও জেলা জামায়াতের আমীর মাওলানা আবদুর রহিম পাটওয়ারী, কেন্দ্রীয় মজলিশের শুরার সদস্য ও জেলা জামায়াতের নায়েবে আমীর মাওলানা বিল্লাল হোসেন মিয়াজী, সেক্রেটারী অ্যাডভোকেট মাসুদুল ইসলাম বুলবুল, সদর উপজেলার সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ও জয়েন্ট সেক্রেটারী অ্যাড. মো. শাহজাহান মিয়া, শহর জামায়াতের আমির অ্যাডভোকেট মো. শাহজাহান খান, সেক্রেটারী মো. বেলায়েত হোসেন, জামায়াত নেতা আব্দুশ শুক্কুর মোস্তান, সাইফুল ইসলাম সবুজ, সুলতান মাহমুদ, ইসলামী ছাত্র শিবির চাঁদপুর শহর শাখার সেক্রেটারী জাহিদুল ইসলাম প্রমূখ।

জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর বলেন, যারা জালিমের হাতে মৃত্যুবরণ করলেন আল্লাহ তাদের শহীদের মর্যাদা দান করুন। প্রশাসনের নিকট অনুরোধ রইলো, যারা লুটতরাজ, চাঁদাবাজি করতে আসবে তাদেরকে কোনো ছাড় দিবেন না। ছাড় দেওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। এবার জনগণ প্রমাণ করে দিয়েছে তারা অন্যায়ের সঙ্গে কোনো আপস করে না। তারা বুকের তাজা রক্ত দিয়ে প্রমাণ করলো তারা দেশে শান্তি চায়। আমরা যেন দেশে শান্তি ফিরিয়ে আনতে পারি আল্লাহ আমাদের সেই তৌফিক দান করুন। সরকার পতনের পর যারা বিভিন্ন অপকর্মে লিপ্ত হয়েছে তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যারা এসব অপকর্মে জড়িত হচ্ছেন তাদের বিনয়ের সঙ্গে বলবো আপনারা শিক্ষা নেন, এখনো মানুষের বুকের চাপা কষ্ট দূর হয়নি। বাড়াবাড়ি যারাই করবেন জনগণ তাদের উচিত শিক্ষা দেবে।

জামায়াত নেতার বলেন, তারা জানান অতিতে যা হয়েছে আমরা সব ভুলে গিয়েছি। এখন থেকে পুলিশকে দল মতের উর্দ্ধে উঠে কাজ করতে হবে। মাদকের বিরুদ্ধে জিরু টলারেন্স থাকতে হবে। উপরের ফোনে কোন অন্যায়কে চার দেওয়া যাবে না। কোন নিরপরাধ মানুষ যেন মিথ্যা মামলায় সাজা না পায় সে দিকে খেয়াল রাখতে হবে।

পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম জামায়াত নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, পুলিশের কর্মবিরতির সময় আইন শৃঙ্খলা যাতে চরম অবনিত না হয়, আপনারা রাস্তায় থেকে এবং এলাকায় এলাকায় পাহারা দিয়ে পুলিশের কাজটি করে দিয়েছেন, সেজন্য জেলা পুলিশের প্রত্যেক সদস্যের পক্ষ থেকে আপনাদেরকে ধন্যবাদ জানাই। একই সাথে আপনারা সংখ্যালুঘুদের স্থাপনা ও বাড়িঘর পাহারা দিয়েছেন। এগুলো আমাদেরই কাজ ছিলো, কিন্তু সেকাজগুলো আপনারা করেছেন।

তিনি আরও বলেন, পুলিশ নির্বাহী আদেশের অংশ। যখন যে সরকার ক্ষমতায় থাকে এবং সে সরকারের নির্দেশে পুলিশ দায়িত্ব পালন করে। বাংলাদেশের ইতিহাস পর্যালোচনা করলে দেখবেন, যখন যে সরকার ক্ষমতায় ছিলে, তাদের নির্দেশে পুলিশ সর্বোচ্চ শক্তি দিয়ে দায়িত্ব পালন করেছে।

সভায় জামায়াতে ইসলামীরে নেতারা চাঁদপুরের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি ভাল রাখার জন্য দলের পক্ষ থেকে পুলিশকে সার্বিক সহযোগিতা দিবেন বলে জানান। একই সাথে আর যাতে কোন ধরণের সহিংসতার ঘটনা না ঘাটে এবং চেষ্টা না করতে পারে সে বিষয়ে সকলের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার বিষয় বক্তব্যে গুরুত্বসহ তুলে ধরেন।

পুলিশ কর্মকর্তাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এণ্ড অবস্) রাশেদুল হক চৌধুরী, পুলিশের বিশেষ শাখার পুলিশ পরিদর্শক (ডিআইও-১) মো. মনিরুল ইসলাম।
সভার শুরুতে পুলিশ সুপারকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানানো হয় এবং জামায়াত নেতাদের সাথে পরিচিতি হন এসপিসহ পুলিশ কর্মকর্তারা।

সম্পর্কিত খবর