চাঁদপুর খবর রির্পোট: চাঁদপুর জেলা পরিষদ, উপজেলা পরিষদ, পৌরসভার ও সদর উপজেলার ১৪ ইউনিয়ন পরিষদসহ ১৬ জনপ্রতিনিধি ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা প্রধানমন্ত্রী পদ থেকে পদত্যাগের পরে আত্মগোপনে রয়েছেন।
তবে লক্ষ্মীপুর মডেল ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সেলিম খান ৫ আগষ্ট সন্ধ্যায় গণপিটুনিতে নিহত হন। এসব জনপ্রতিনিধিদের বিষয়ে নানা গুঞ্জন থাকলেও তাদের দপ্তরে গিয়ে পাওয়া যায়নি। তবে তাদের অনুপস্থিতিতে নাগরিক সেবা ব্যাহত হচ্ছে বলে সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন।
গত দুদিন ধরে সদর উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও সদরের বেশ কয়েকটি ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যানদের কক্ষ তালাবদ্ধ পাওয়া গেছে। ইউনিয়ন পরিষদ এর একাধিক প্রশাসনিক কর্মকর্তা চেয়ারম্যানরা আত্মগোপনে আছে স্বীকার না করলেও নিরাপদ অবস্থানে আছেন বলে জানান।
গত ৫ আগস্টের পর আত্মগোপনে আছেন চাঁদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওসমান গণি পাটওয়ারী, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান হুমায়ুন কবির সুমন ও পৌরসভার মেয়র অ্যাড. জিল্লুর রহমান জুয়েল। তবে চাঁদপুর জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ওসমান গণি পাটওয়ারী অফিসে উপস্থিত না হলেও অফিসের দৈনন্দিন কাজে কাগজপত্রে নিয়মিত স্বাক্ষর করছেন বলে নিভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে ।
ইউনিয়নের মধ্যে বিষ্ণুপুর ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাছির উদ্দিন খান, আশিকাটি ইউপি চেয়ারম্যান মো. বিল্লাল হোসেন পাটওয়ারী, কল্যাণপুর ইউপি চেয়ারম্যান সাখাওয়াত হোসেন রনি, শাহমাহমুদপুর ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদুর রহমান নান্টু, রামপুর ইউপি চেয়ারম্যান আল-মামুন পাটওয়ারী, মৈশাদী ইউপি চেয়ারম্যান মো: নুরুল ইসলাম পাটওয়ারী, তরপুরচন্ডী ইউপি চেয়ারম্যান ইমাম হাসান রাসেল, বাগাদী ইউপি চেয়ারম্যান মো. বেলায়েত হোসেন, বালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রফিকুল্যা পাটওয়ারী, লক্ষিপুর মডেল ইউপি চেয়ারম্যান সেলিম খান (গণপিটুনিতে নিহত), ইব্রাহীমপুর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী আবুল কাশেম খান, চান্দ্রা ইউপি চেয়ারম্যান খান জাহান আলী কালু পাটওয়ারী, হানারচর ইউপি চেয়ারম্যান ছাত্তার রাঢ়ি ও রাজরাজেশ্বর ইউপি চেয়ারম্যান হাজী হজরত আলী ব্যাপারী।
বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা তাছলিমা আক্তার বলেন, ৫ আগস্টের পর চেয়ারম্যান পরিষদে আসেননি। আমরা সেবামূলক কাজ প্রস্তুত করে রেখেছি। কিন্তু উনার স্বাক্ষর ছাড়া দিতে পারছি না।
আশিকাটি ইউনিয়ন পরিষদ প্রশাসনিক কর্মকর্তা আবু বকর মানিক বলেন, শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর আমাদের পরিষদে ভাঙচুর হয়েছে। এরপর থেকে চেয়ারম্যান আত্মগোপনে আছেন। পরিষদে আসেন না।
চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাখাওয়াত জামিল সৈকত বলেন, ইউনিয়ন পরিষদগুলোতে সেবা প্রত্যাশীরা কোন দুর্ভোগে না পড়েন সে বিষয়ে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। যেসব জনপ্রতিনিধি উপস্থিত নেই তাদের বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
এদিকে চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র ৫ আগস্টের আগ থেকেই আত্মগোপনে এবং তার বাড়িতে আগুন দেয়া হয়েছে। মেয়রের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরও বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে পৌরসভার জরুরি সেবামূলক কার্যক্রম চলমান আছে।