চাঁদপুর খবর রির্পোট: চাঁদপুর সদর উপজেলার ৬নং মৈশাদী ইউনিয়ন বিএনপির নেতাকর্মীদের সাথে আইন শৃঙ্খলা রক্ষা, হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
সম্প্রতি ৬নং মৈশাদীতে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা, হিন্দু সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সভায় বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় কুমিল্লা বিভাগীয় কৃষকদলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও চাঁদপুর জেলা কৃষকদলের সভাপতি মুহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ খোকন।তার বক্তব্য একটা ভিডিও ইতিমধ্যে ছড়িয়ে পড়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ।
ভিডিওতে চাঁদপুর জেলা কৃষকদলের সভাপতি মুহাম্মদ এনায়েত উল্লাহ খোকন বলেন, এলাকায় নতুন নেতা পয়দা হয়েছে। পাজারো গাড়ি নিয়ে এসে আওয়ামীলীগ নেতা জুয়েল ঢালী একজনের কাছ থেকে প্রতি মাসে ৪৫হাজার টাকা করে চাঁদা নিয়ে গেছে। এজন্য তাদের উপর বিক্ষুদ্ধ ছাত্র জনতা ক্ষেপে উঠছে। আমরা এদের জন্য রাস্তা দিয়ে নিরাপদে হাটতে পারি না। একটা কথা বলে দেই আপনাদেরকে স্পষ্ট করে। কোন অবস্থাতেই এই পরাজিত শক্তিকে প্রশ্রয় দেওয়া যাবেনা। আমরা গেছি জানাযা দিতাম, রাস্তা দিয়ে নিরাপদে হাটতে পারিনা। এ দালালরা জানাযা দিয়ে আসার পথে আমাদেরকে আক্রমন করছে। কিছু ভুলি না।
জুয়েল ঢালীসহ ৫থেকে ৬জন আওয়ামীলীগ নেতা মৈশাদী ইউনিয়নের রাজনীতি ও সম্প্রিতি ধ্বংস করেছেন। ঘরে ঘরে ঝগড়া লাগিয়েছেন, ভাইয়ে ভাইয়ে ঝগড়া লাগিয়েছেন, লুট করেছেন একটু আপনারা তওবা করেন। আপনাদের দায়িত্ব মৈশাদী ইউনিয়ন বিএনপি নিতে পারবে না। জনগণ আপনাদের বিরুদ্ধে ক্ষেপে উঠলে মৈশাদী ইউনিয়ন বিএনপি দায়িত্ব নিবে না নিবে না। বন্ধুরা আপনাদের কাছে অনুরোধ থাকবে আইন কেউ নিজের হাতে তুলে নিবেন না।
তিনি ভিডিওতে আক্ষেপ করে আরও বলেন, পরিকল্পনা করে যারা রাতের অন্ধকারে হিন্দুবাড়িতে আক্রমন করে বা কোন হিন্দু বাড়ি আক্রমনের স্বীকার হয় তাহলে আওয়ামীলীগের ওই সাতজন দায়ী থাকবে। তাদেরকে ঘর থেকে নিয়ে এসে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে সোপর্দ করা হবে। সবাই সতর্ক থাকবেন মৈশাদীতে আর কিশোর গ্যাং এর জন্ম দিব না। কিশোর গ্যাং এর অস্ত্রের যন্ত্রনা মৈশাদীতে চলবে না। এখনো শুনি মৈশাদীতে আপনারা ছাত্রলীগের গুন্ডাদের প্রশয় দেন। আমরা ভালো দেখে আইনশৃঙ্খলার অবনতি যেন না হয়, লাল সালাম যাতে বিক্ষুব্দ জনতা না দেয় এজন্য রাতভরে জেগে থাকি।
কেউ সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিবেন না। এরা নির্মম, এরা ভয়ঙ্কর। তারা খুবই অমানবিক, তারা নির্মমতার সব্বোর্চ্চ স্থানে পৌছেছে। তারা আমার আপনার ছোট ছোট ছেলেদের নির্মমভাবে রড, লাঠি দিয়ে পিটাতে একটুও দ্বিদাবোধ করে না। এ মৈশাদী থেকে ৩জন, ৪জন নির্মমভাবে বাসস্টেন ছাত্র আন্দোলনে ছাত্রদের মেরেছেন, মৈশাদীর কারা করেছেন আমরা জানি। মৈশাদীতে কোন সন্ত্রাসীদের জায়গা নেই।
এটা শান্তির মৈশাদী থাকবে, ১৫বছর কথা বলতে পারি না, স্বাধীনভাবে মানুষের সাথে কথা বলতে পারি না। নির্মমতার কত নিষ্ঠুর পর্যায় আপনারা আওয়ামীলীগরা গিয়েছেন মনে আছে। এ প্যাসিবাদের পতন হয়েছে। এ যুদ্ধে যারা শহীদ হয়েছ, যারা আহত হয়েছে তাদের জন্য আজকের এ দোয়ার আয়োজন করেছি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, ৬নং মৈশাদী ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুর রহমান স্বপন,বিএনপি,যুবদল,ছাত্রদলসহ নেতা-কর্মীগণ উপস্থিত ছিলেন।