গাজী মোঃ ইমাম হাসানঃ চাঁদপুর জেলা ইমাম পরিষদের উদ্যোগে বর্তমান প্রেক্ষাপটে ইমাম-মুয়াজ্জিনদের করনীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সোমবার ১২ জুলাই বাদ জোহর ঐতিহাসিক বেগম জামে মসজিদে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন চাঁদপুর সদর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শেখ মোঃ মহসীন আলম। বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের জেলা সভাপতি ও সংগঠনের উপদেষ্টা মাওঃ লিয়াকত হোসাইন, জেলা জাতীয় ইমাম সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাওঃ আব্দুস সালাম।
জেলা ইমাম পরিষদের সভাপতি মুফতি মাহবুবুর রহমানের সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি মাওঃ মোঃ হাবিবুর রহমান, মাওঃ মোস্তফা আল হাসান, সাধারণ সম্পাদক
মাওঃ মোঃ ইলিয়াস ফরিদী, চাঁদপুর সরকারি কলেজ জামে মসজিদের খতিব হাফেজ মাওঃ নিজামুল হক, পুরান বাজার ঐতিহাসিক বড় মসজিদের খতিব মাওঃ ইব্রাহিম খলিল মাদানী, সংগঠনের কোষাধ্যক্ষ মুফতি জাফর আহমেদ, সহ-প্রচার সম্পাদক মুফতি নূরে আলম প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে জাফরাবাদ মাদ্রাসার শিক্ষা সচিব ও সংগঠনের প্রশিক্ষণ সম্পাদক মুফতি ত্বোহা খান দোয়া মোনাজাত করেন।
সংগঠনের প্রচার সম্পাদক হাফেজ মাওঃ ওবায়দুল্লাহ এর সঞ্চালনায় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ এবং বিভিন্ন মসজিদের ইমাম ও খতিবগণ।
ওসি শেখ মোঃ মহসীন আলম বলেন, ইমাম সাহেবগণ ধর্মীয় নেতা। সমাজের সব শ্রেণির মানুষ জুমার দিন ইমাম সাহেবের কথা গুরুত্ব দিয়ে শুনেন। তিনি আরো বলেন, কিছু দূষ্ট লোক গুজব ছড়াতে মসজিদের মাইক ব্যবহার করতে না পারে সে ব্যাপারে ইমামদের সচেতন থাকতে। হবে। কোন বিষয়ে ঘোষণা দিতে হলে বুঝে শুনে সততা যাচাই করে দিবেন। কারণ মানুষ আলেম ওলামাদের কথা বিশ্বাস করেন।
মুফতি মাহবুবুর রহমান সভাপতির বক্তব্যে বলেন, ইসলাম নিয়ে দাঙ্গা লাগানোর গভীর ষড়যন্ত্র চলছে। খুব সাবধান থাকতে হবে। আজ মাদ্রাসার ছাত্ররা হিন্দুদের মন্দির পাহাড়া দিচ্ছে। সেটি মিডিয়ায় প্রচার হচ্ছে না। তিনি আরো বলেন, অথচ একদল বলে বেড়ায় বাংলাদেশে হিন্দুদের মন্দির ভাংচুর হচ্ছে। এই ভূল আওয়াজের প্রতিহত করতে আপনারা ইমামরাও মাঝে মাঝে মন্দিরের খোঁজ খবর নিবেন।