কেউ কোন অপকর্ম করতে চাইলে, তাকে আইনের হাতে তুলে দিন : লায়ন হারুনুর রশিদ

প্রেস বিজ্ঞপ্তি: বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম,ছাত্র-জনতার রক্তে ভেজা অভূতপূর্ব বিজয়ে আমি সকল বীর সন্তানদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। যাদের মরণপন সংগ্রাম করে এই অসম্ভবকে সম্ভব করেছেন। শতশত শহীদদের জানাই শ্রদ্ধা প্রতি জানাচ্ছি বিনম্র শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা।

চলমান পরিস্থিতিতে আমার নির্বাচনী এলাকা ফরিদগঞ্জ উপজেলা, পৌর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের সর্বস্তরের নেতাকর্মীদের প্রতি উদাত্ত আহবান জানাচ্ছি “একটি সুন্দর বাংলাদেশ বিনির্মানে আমাদের সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।”

আমাদের প্রানপ্রিয় নেতা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান বলেছেন, ০৫ আগস্ট ২০২৪ “বিজয়ের এই আনন্দঘন সময় শান্তভাবে উদযাপন করুন। অনুগ্রহপূর্বক কেউ প্রতিশোধ বা প্রতিহিংসা পরায়ন হবেন না। কেউ নিজের হাতে দয়া করে আইন তুলে নিবেন না।”

“ধর্মীয় কিংবা রাজনৈতিক কারণে কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর প্রতি প্রতিশোধ কিংবা প্রতিহিংসা পরায়ন হবেন না। সংখ্যালঘু জনগোষ্টী কোনভাবেই যেন হেনস্থার শিকার না হন, সেটি নিশ্চিত করা আপনার আমাদের সবার দায়িত্ব।”
“বিএনপি’র নাম ব্যবহার করে কোন অপকর্ম করতে চাইলে, তাকে ধরে আইনের হাতে তুলে দিন।”

আমার অনুরোধ, ফরিদগঞ্জ উপজেলা ১৫টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভার প্রতিটি পাড়ায় মহল্লায় মহল্লায় আপনারা দিন-রাত পাহারা দিয়ে রাখুন। কারো বাড়িঘরে কেউ যেন হামলা-চুরি-ডাকাতি বা জুলুম নির্যাতন করতে না পারে। বিএনপি ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সবার দল। হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিষ্টান ধর্মে আমাদের যেসব ভাইবোনেরা রয়েছেন, তাঁদের পরিবারকে দেখে রাখাও আমাদের সকলের দায়িত্ব। আমাদেরকে ধৈর্য্যধারণ করতে হবে, শান্ত থাকতে হবে। মিছিল-মিটিং করেন, কিন্তু শান্তিপূর্ণ ভাবে করতে হবে। কাউকে অত্যাচার-অনাচার করা যাবে না। সাধারন জনগন ও রাষ্ট্রীয় সম্পত্তি বিএনপি’র প্রত্যেক নেতা-কর্মীকে পাহারা দিয়ে রাখতে হবে। ভোট ডাকাতরা আবার জনগনের জানমাল চুরি-ডাকাতি করার মাধ্যমে নতুন ষড়যন্ত্রের জাল বুনছেন। এগুলো প্রতিহত করতে হবে।

বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্লোগান ছিলো ‘টেইক ব্যাক বাংলাদেশ’। বাংলাদেশ এখন সেই জায়গায় ফিরে এসেছে। এখন একটি সুষ্ঠ নির্বাচন অনুষ্ঠানই আমাদের দাবি। কারো যাতে জানমালের ক্ষয়ক্ষতি না হয় সেব্যাপারে সকল নেতাকর্মী শান্তিপূর্ণভাবে সবার পাশে থাকবেন। আমাদের দীর্ঘদিনের আন্দোলন-সংগ্রাম, জেল-জুলুম-নির্যাতনের কষ্ট, গুম, খুন, অত্যাচারের অবসান হয়েছে। এখন আমরা যাতে একটি সুন্দর গন্তব্যের দিকে এগোতে পারি সেজন্য সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে সবার পাশে থাকতে হবে। ছাত্র-জনতার আন্দোলনের এ বিজয়ের শক্তিকে শান্তিতে রূপান্তরিত করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে। যাহারা নিহত-আহত হয়েছেন তাদের খোঁজখবর রাখতে হবে।

কেউ দলীয় শৃঙ্খলা বিরোধী কর্মকান্ডে লিপ্ত হবেন না। বিএনপি-আওয়ামীলীগের পার্থক্যটা জাতির সামনে তুলে ধরুন। সকলে ভালো থাকুন। প্রতিবেশীকে ভালো রাখুন।
আল্লাহ হাফেজ।
লায়ন মোঃ হারুনুর রশিদ
সাবেক এমপি, চাঁদপুর-৪ (ফরিদগঞ্জ)
ব্যাংকিং ও রাজস্ব বিষয়ক সম্পাদক, জাতীয় নির্বাহী কমিটি-বিএনপি।

সম্পর্কিত খবর