বিশেষ প্রতিনিধি : চাঁদপুর পাসপোর্ট অফিসের অনিয়মের ছবি তোলায় ৩জন যুবকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে এ ্্অফিসের কর্মকর্তারা তাদের আটক করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
এরপর পাসপোর্ট অফিসের অর্থাৎ চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মো. ইউসুফ, কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেনসহ পরিকল্পনা করে তাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা সাজানোর পরিকল্পনা করছে বলে জানা গেছে। এ অফিস থেকে গত জুন মাসে অনিয়ম ও দূনীতির অভিযোগে কুমিল্লা র্যাব-১১,অভিযান চালিয়ে ১৬জনকে আটক করে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছিল।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে,এ পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা সাজিয়েছে, চাঁদপুরে জেলা বিএনপির সভাপতির নাম বলে আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে চাঁদাবাজি করতে গিয়েছে মো: মামুন গাজী (৩২), ফজলু (২৩) ও তপু (২৮) নামে ৩জন যুবককে আটক করেন পার্সপোট অফিসের আনসার ব্যাটিলিয়ানরা।
বৃহস্পতিবার (৮ আগস্ট) দুপুরে চাঁদপুর পাসপোর্ট অফিসের ভেতরে এ ঘটনা ঘটে। আটক মামুন শহরের চেয়ারম্যানঘাট জিটি রোড দক্ষিণ এলাকার মোস্তফা গাজীর ছেলে। ফজলু ও তপু, মামুন গাজীর বন্ধু ও একই এলাকার বাসিন্দা।
পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তা মো. ফারুক হোসেন জানান, সকাল থেকে আমরা পাসপোর্ট সেবা প্রার্থীদের জন্য কাজ করছিলাম। এসময় মামুনসহ তিনজন অফিসের নিচতলায় মোবাইল ফোন দিয়ে ভিডিও ধারণ করছিলেন এবং মামুন উচ্চস্বরে বলতে থাকে, এখানে আমাদের এতদিন ঢুকতে দেওয়া হয়নি। এখানকার কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে অনেক অভিযোগ আছে। এসময় মামুন টাকা দাবি করে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সুষ্টি করে।
তিনি বলেন, আমি মামুনকে দ্বিতীয়তলায় একটি কক্ষে এনে জিজ্ঞাসা করলাম, তোমার সমস্যা কি? কোন কাজ থাকলে বলো। সে সঠিক কোনো উত্তর দিতে পারেনি। তার সঙ্গী কাউকে ফোন করে আমাদের বোঝানোর চেষ্টা করে যে সে জেলা বিএনপির সভাপতিকে ফোন দিচ্ছে। আসলে তা’ সঠিক নয়। তখন তাদের একজন বলে যে উনি তো তোমাদের ভিডিও করছে।
চাঁদপুর আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের উপ-পরিচালক মো. ইউসুফ বলেন, অফিসে উচ্চস্বরে কথাবার্তা শুনে আমি গিয়ে দেখি, মামুনসহ তিনজনকে আটকে রাখা হয়েছে। তখন মামুনের কাছে আমি জানতে চাই, কার বিরুদ্ধে অভিযোগ আমাকে বলেন, আমি ব্যবস্থা নেব। তিনি বলতে পারেননি। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় তাকে আটক করে রাখা হয়। এখানে আমাদের আনসার সদস্যরা আছেন। তার বিরুদ্ধে আমি অভিযোগ লিখে প্রস্তুত করছি। দায়িত্বরত সেনাবাহিনীর কর্মকর্তার কাছে তাকে সোপর্দ করা হবে ।
এ বিষয়ে আটকদের সাথে কথা বলতে না দেওয়ায় তাদের বক্তব্য নেওয়া সম্বব হয়নি।
চাঁদপুর জেলা বিএনপির সভাপতি শেখ ফরিদ আহমেদ মানিক বলেন, দেশের এমন পরিস্থিতিতে আমি প্রশাসন ও সেনাবাহিনীর কর্মকর্তাকে বলেছি, আমার দলের হবে আগে শুদ্ধি অভিযান। আমার নাম বলে কেউ পার পাবে না। আমাকে তথ্য দেবেন। কোনো দুর্বৃত্তকে ছাড় দেওয়া হবে না।