স্টাফ রিপোর্টার : ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পদত্যাগ ঘোষনা পাওয়ার পর থেকে চাঁদপুরের রাস্তা নেমে আসে লাখো জনতা। স্লোগানে স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে শহর গ্রাম অঞ্চলের রাস্তাঘাট। নারী-পুরুষ আবাল বৃদ্ধ বণিতা সবাই বিজয়ের চিহ্ন দেখায়।
অনেকেই বাড়ির বারান্দায় দাঁড়িয়ে উল্লাস কারীদের হাত নেড়ে একাত্মক পোষণ করছেন।
বিকাল পাঁচটায় সেনাবাহিনীর একটি বহর শহরে প্রবেশ করে। শহরের জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সামনে আসলে হাজার হাজার জনতা জাতীয় পতাকা নিয়ে তাদেরকে স্বাগত জানায়। এ সময়ে গাড়িবহরে থাকা অফিসার ও সৈনিকরা আমজনতার সাথে করমর্দন করতে করতে এগিয়ে যান।
চাঁদপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সমবেত হয় বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শিক্ষার্থীরা ।
প্রাণহানি ও আন্দোলন সংগ্রামের পর বিজয় অর্জিত হওয়ায় তারা সাধারণ জনতাকে ধন্যবাদ জানান। ছাত্রলীগ-যুবলীগের সশস্ত্র হামলায় আহত শিক্ষার্থীরাও হাতে-পায়ে, মাথায় ব্যান্ডেজ নিয়ে রাস্তায় নেমে আসেন। একে অপরকে জড়িয়ে ধরে আনন্দ অশ্রুতে হাউমাউ করে কেঁদে ওঠেন। শিক্ষার্থীদের সাথে যোগ দিয়েছেন তাদের শিক্ষক ও অভিভাবক।
এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত পুরা জেলা জুড়ে চলছে লাখো জনতা উল্লাস। বিজয় মিছিল। সবার হাতে উড়ছে জাতীয় পতাকা।
শিক্ষার্থীরা জানান, এ বিজয় এদেশের আপামর জনতার বিজয়। ৬৯, ৫২, ৭১ ও ৯০ মতোই ২৪এর রক্ত বৃথা যায়নি। ছাত্র আন্দোলনের মুখে কোন স্বৈরাচারী যে টিকতে পারেনি এবারও বাংলাদেশ তা দেখলো।
নিহতদের স্মরণে তারা শহীদ মিনারে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন। একই সাথে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন করেন।