চাঁদপুর খবর রির্পোট: চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের ৪নং ওয়াডের পূর্ব শাহতলী হিফজুল কুরআন হাফিজীয়া মাদরাসা ও এতিমখানার শিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীদের শারীরিক ও মানসিকভাবে নির্যাতনের সংবাদ গতকাল ৩আগষ্ট দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকায় প্রকাশিত হওয়ার পর এলাকায় প্রতিবাদের ঝড় বইছে । পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশের পর থেকে ছাত্ররা মুখ খুলতে শুরু করেছে ।
অত্র দ্বীনি প্রতিষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের ঘন্টার পর ঘন্টা চেঙ্গী, কান ধরে উঠবস , বেত দিয়ে প্রহার ,শারিরীক ও মানষিকভাবে নিযাতন চালানো হয় ।
এদিকে এব ঘটনায় অবিলম্বে অভিযুক্ত হাফেজ মাওলানা শাহাদাত হোসাইন ও সহকারি শিক্ষক হাফেজ রাকিবকে বরখাস্তের দাবী করেছে এলাকাবাসী ও ভোক্তভোগী কোমলমতী নিযাতিত ছাত্ররা । এলাকাবাসী দাবী করেছে ব্যক্তির দায় প্রতিষ্ঠান নিবে না । হাফিজীয়া মাদরাসা ও এতিমখানাটি এলাকবাসীর প্রানের দ্বিনী প্রতিষ্ঠান । কিন্তু এতিমখানার অভিযুক্ত হাফেজ মাওলানা শাহাদাত হোসাইন ও সহকারি শিক্ষক হাফেজ রাকিবকে বরখাস্ত করে উক্ত পদসমূহে নতুন নিয়োগের দাবী উঠেছে । আজকের এতিমখানায় কাযকরী কমিটির সভায় এমন ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী করেছে এলাকবাসী ।
কমিটির উপদেষ্টা সাইফুল কবির চৌধুরী ও এলাকাবাসীর সহযোগিতায় নিরলসভাবে এই মাদরাসা ও এতিমখানাটি প্রতিষ্ঠা করেন । এখন কমিটির উপদেষ্টা সাইফুল কবির চৌধুরীর নিকট অভিযুক্ত মাওলানা শাহাদাত হোসাইন ও সহকারি শিক্ষক হাফেজ রাকিবকে বরখাস্তসহ ব্যবস্থা গ্রহনের দাবী করেছে ।
জানা গেছে, মাদরাসা ও এতিমখানায় নিরবে শিশুদের নিরবে পাসন্ড শিক্ষক মাওলানা শাহাদাত হোসাইন ও সহকারি শিক্ষক হাফেজ রাকিব দীঘদিন যাবত শারিরীক ও মানষিক নিযাতন চালিয়ে যাচ্ছে । যদিও এ নিয়াতনের খবর কেউ জানতো । বিশেষ করে কমিটির লোকজন জানতো না । ভয়ে শিক্ষাথীরাও মুখ খুলেনি । কেউ মুখ খুললেই তার উপর নিযাতনের মাত্রা বেড়ে যেতো।
শুক্রবার মাদরাসার নির্যাতনের স্বীকার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই শিক্ষার্থী দৈনিক চাঁদপুর খবরকে এ তথ্য জানানা। শিক্ষার্থীরা জানায়, মাদরাসার তাদের মানষিক শারীরিকভাবে আঘাত ও মানসিক নির্যাতন করে। তাদের সহ অনেক শিক্ষার্থীকে প্রতিনিয়ত চেঙ্গী, কান ধরে উঠবস করায়। আমরা আর এ মাদরাসায় পড়তে চাই না।
পূর্ব শাহতলী হিফজুল কুরআন হাফিজীয়া মাদরাসা ও এতিমখানার পরিচালনার সভাপতি হানিফ চৌধুরী ও উপদেষ্টা ঢাকাস্থ ডিবির কমকতা সাইফুল কবির চৌধুরীর সাথে দৈনিক চাঁদপুর খবর পত্রিকার পক্ষ থেকে শুক্রবার যোগাযোগ করলে তারা জানান, বিষয়টি এই মাত্র জানলাম । আবশ্যই গুরুত্বের সাথে তদন্তে করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে । কোন ভাবেই কোমলমতী ছাত্রদের সাথে শারিরীক ও মানষিক নিযাতন করা যাবে না । আমাদের এতিমখানার একটা সুনাম রয়েছে ।
এলাকার সবার সহযোগিতায় এই এতিমখানা চলে । সেই সব শিক্ষকরা নিযাতনের সাথে জড়িত ও অভিযুক্ত হবেন তাদেরকে চাকুরী থেকে বরখাস্ত করা হবে । এ ব্যাপারে আগামী রবিবার এ ব্যাপারে সভা ডাকা হয়েছে । সেখানেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে ।
মাদরাসার পরিচালক হাফেজ মাওলানা শাহাদাত হোসাইন এর সাথে দৈনিক চাঁদপুর খবর এর পক্ষ থেকে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, বিষয়টি দেখছি । ছাত্রদের নিযাতণ করিনী । তবে মাঝে মধ্যে ছাত্রদের লেখপড়ার জন্য বেত্রাঘাত করা হয় ।
বিষয়টি চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক ,পুলিশ সুপার , উপজেলা নিবাহী অফিসার,চাঁদপুর গোয়েন্দা বিভাগ ও মডেল থানা ওসির সুদৃষ্টি কামনা করেছেন ভোক্তভোগী কোমলমতী নিযাতিত ছাত্ররা।