হাইমচরে বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে জখম : কথিত কর্মচারী তাজুল ইসলামসহ ৪জন কারাগারে

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার ৩নং দক্ষিণ আলগী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের স্থানীয় বাসিন্দা মোঃ আনোয়ার হোসেন(মরন ভূইয়া)ও তাহার বড় ছেলে জসিম ভূইয়া কে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। মসজিদ থেকে নামাজ শেষে বাড়ি যাওয়ার পথে হাইচর উপজেলা পরিষদের কথিত কর্মচারী তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া সন্ত্রাসী ভূমিকায় দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালিয়ে বাবা ও ছেলেকে কুপিয়ে জখম করে।

সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে কথিত কর্মচারী তাজুল ইসলামসহ চারজনের বিরুদ্ধে হাইমচর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। যার মামলা নং ৭৪, তারিখ: ২০/৫/২০২৪ ।

আসামি পক্ষরা হাইকোর্ট থেকে জামিন পেলেও ২৯ জুলাই সোমবার নিম্নকোর্টে আত্মসমর্পণ করার পর আদালত মামলার প্রধান আসামি হাইমচর উপজেলার পরিষদের কথিত কর্মচারী তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া তার ভাই মোহাম্মদ শরীফ হোসেন, লিটন ও আলমগীরের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন।

আসামিদের কারাগারে প্রেরণ করার পর ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের পরিবারবর্গ বাদীপক্ষকে প্রাণনাশের হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সন্ত্রাসী হামলায় শিকার হওয়া বাবা আনোয়ার হোসেন ও তার ছেলে জসিম ভূঁইয়া চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সন্ত্রাসী হামলা শিকার হওয়া দক্ষিণ আলগি ইউনিয়নের মেম্বার প্রার্থী জসিম ভূঁইয়ার এক হাত ভেঙে দেওয়ায় তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করে ডাক্তার।

গত ১২ মে রবিবার বিকাল ৫ টায় দক্ষিণ আলগী ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ড মসজিদ সংলগ্ন ভূঁইয়া বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে।
হামলায় আহত মরন ভূইয়া ও জসিম ভূইয়া বলেন, হাইমচর উপজেলা পরিষদের আউটসোর্সিংয়ে দৈনিক হাজিরা হিসাবে কাজ করে তাজুল ইসলাম ভূঁইয়া। সে ক্ষমতার প্রভাব খাটিয়ে ভুয়া দলিল তৈরি করে মানুষের সম্পত্তি জবরদখল করে।পূর্বে তাঁদের সাথে ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে দন্দ ও মামলা মোকদ্দমা চলছিলো।

তার বিরুদ্ধে পুলিশ সুপার কার্যালয় জেলা প্রশাসক ও সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাতে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ঘটনার দিন তাজুল ইসলাম ভূঁইয়ার ভাই লিটন ভুইয়া, আলমগীর ভূঁইয়া,শ্যালক শরিফুল ইসলাম মিজি, সিদ্দিক মাঝি, রুবেল বেপারী সহ বহিরাগত সন্ত্রাসীদের এনে অতর্কিত হামলা চালায়। বাবাকে হামলার করার খবর শুনে ছেলে জসিম ভূঁইয়া এগিয়ে আসলে তার উপর দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।

৩ নং দক্ষিণ আলগি ইউনিয়নের ৪ নং ওয়ার্ডে মেম্বার প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলে তাজুল ইসলাম সহ তার দলবল এর পূর্বেও হামলা চালিয়েছে। এই তাজুল ইসলাম সামান্য হাইমচর উপজেলা নির্বাহী পরিষদে আউটসোর্সিং এর কাজ করে ক্ষমতা দেখিয়ে অনেক মানুষের জায়গা দখল করেছে। এতে প্রতিবাদ করলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে বাবা কে কুপিয়ে জখম করে পরে বাবাকে বাঁচাতে আসলে তারা অতর্কিত হামলা চালায়।
এই ঘটনায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করার জোর দাবি জানান হামলার শিকার হওয়া বাবা ও ছেলে।

সম্পর্কিত খবর