অংকুর কচি-কাঁচার মেলার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান

স্টাফ রিপোর্টার : জাতীয় শিশু-কিশোর সংগঠন চাঁদপুর অংকুর কচি-কাঁচার মেলার ৬৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী ও রোকনুজ্জামান খান দাদা ভাইয়ের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত ৩ দিনব্যাপী ছবি আঁকা, একক আবৃত্তি ও দেশাত্মবোধক সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় মেধাস্থান পাওয়া প্রতিযোগী ভাইবোনদের মাঝে পুরস্কার হিসেবে সনদপত্র ও ক্রেস্ট বিতরণ করা হয়েছে।

২৬ জুলাই শুক্রবার বিকেল ৫টায় জেলা শিল্পকলা একাডেমি মিলনায়তনে সংক্ষিপ্ত আলোচনা শেষে বিজয়ীদের মাঝে সনদপত্র ও ক্রেস্ট তুলে দেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি চাঁদপুর পৌরসভার মেয়র মোঃ জিল্লুর রহমান জুয়েল। এ সময় সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি শাহাদাত হোসেন শান্ত এবং চাঁদপুর প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি নাট্যজন শরীফ চৌধুরী ও মেলার উপদেষ্টা আবুল কাশেম সাইমন।

মেলার সাধারণ সম্পাদক (সংগঠক) শহীদ পাটোয়ারীর সভাপতিত্বে সঞ্চালনায় ছিলেন মেলার সাথী ভাই এম আর ইসলাম বাবু। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন অংকুর কচি-কাঁচার মেলার যুগ্ম সংগঠক ওমর ফারুক, সাথী ভাই জাকির হোসেন ও আহ্বায়িকা তাসনিয়া তাসনিম তানি।
অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মেয়র জিল্লুর রহমান জুয়েল তার বক্তব্যে বলেন, আমরা যখন শিশু ছিলাম তখন কচি-কাঁচার মেলার সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম। শিশু সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থাকলে শিশুদের মন মানসিকতার বিকাশ ঘটে। খেলাধুলা এবং সংস্কৃতিচর্চা শিশুদের মনকে সতেজ রাখে। শুধু লেখাপড়ার মধ্যে শিশুদের আবদ্ধ রাখলেই হবে না, দেশপ্রেম সম্পর্কেও তাদেরকে ধারণা দিতে হবে। কারন, আজকের শিশুরাই আগামী দিনের কর্ণধার। শিশুদের প্রতি যত্নবান হতে হবে।

তিনি আরো বলেন, এই চাঁদপুরে এক সময় কচি-কাঁচার মেলা ও খেলাঘর আসরের শিশুদের কলকাকলিতে মুখরিত ছিলো। বর্তমানে সে রকম অবস্থা লক্ষ্য করা যায়নি। শিশু সংগঠনগুলো যাতে শিশুদের কল্যাণে কাজ করে, সে চেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে। তিনি আরো বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিশুদেরকে ভালোবাসতেন। সে জন্য তিনি শিশুদের কল্যাণে স্বাধীন বাংলাদেশে শিশু একাডেমি প্রতিষ্ঠা করেন। অভিভাবকদের দৃষ্টি রাখতে হবে এ সকল শিশু সংগঠনের প্রতি। শিশু সংগঠনের সাথে সম্পৃক্ত থাকলে, ভবিষ্যতে সু নাগরিক হিসেবে গড়ে উঠবে।

মেয়র আরো বলেন, অতি সম্প্রতি আমাদের দেশে কোটা আন্দোলনের মাঝে একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় থেকে আন্দোলনকে ভিন্নখাতে নিতে দেশের রাষ্ট্রীয় সম্পদ ক্ষতি সাধন করে। এরা কখনোই দেশপ্রেমিক হতে পারে না। কোটা সংস্কারের পক্ষে বর্তমান সরকারই হাইকোর্টে রিট করে। সুতরাং অতি উৎসাহী রাজনৈতিক দলের ছত্রছায়ায় জঙ্গী কায়দায় দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করে উন্নয়নকে বাঁধাগ্রস্ত করেছে। এ ব্যাপারে সবাইকে সজাগ থাকতে হবে। এরা দেশের উন্নয়ন চায় না। মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষের অপশক্তি এখনো এদেশে বিরাজ করছে।

সম্পর্কিত খবর