সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী : বিদ্যুতের প্রিপেইড মিটারের চরম ভোগান্তিতে চাঁদপুরের হাজার হাজার মানুষ। – আটদিন বিকাশসহ মোবাইল ব্যাংকিংয়ের সেবা বন্ধ থাকায় প্রিপেইড মিটারের – টাকা রিচার্জ করতে না পারায় বিপাকে পড়েন গ্রাহকরা। মিটারের টাকা রিচার্জ করার জন্য তারা বিদ্যুৎ অফিসে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টাকা রিচার্জ করেন। আটদিনে প্রায় ১০ হাজার গ্রাহককে সেবা দিয়েছে বিক্রয় ও বিপণী বিভাগ চাঁদপুর।
জানা গেছে, সরকারি চাকরিতে কোটা বাতিলের দাবিতে আন্দোলনকারী ছাত্রদের সঙ্গে দুষ্কৃতকারীরা যুক্ত হয়ে সারাদেশের সঙ্গে ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে চাঁদপুর শহর জুড়ে। এ ঘটনায় সারাদেশের সঙ্গে চাঁদপুরেও মোবাইল ব্যাংকিং সেবা বন্ধ হয়ে যায়। এতে চরম বিপাকে পড়েন চাঁদপুরের প্রিপেইড মিটারের গ্রাহকরা। অনেকের মিটারের টাকা শেষ হয়ে যায়। কোনো উপায় না পেয়ে তারা বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে ঘণ্টার পর ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে টাকা রিচার্জ করে নেন।
হোসেন নামে একজন গ্রাহক জানান, ‘আমরা প্রিপেইড মিটারের যন্ত্রণায় ভুগছি। সংযোগ নেওয়ার পর থেকেই বিভিন্ন সময় টাকা কেটে নিয়ে গেছে। ডিমান্ড চার্জসহ বিভিন্ন চার্জে অনেক টাকা নিয়ে গেছে। মিটারের টাকা দিতে গিয়ে বিভিন্ন সময় সমস্যায় পড়তে হয়। রিচার্জের জন্য বিদ্যুৎ অফিসে সকালে এসেছি। আমরা এ মিটার চাই না। পুরাতন মিটার চাই।’
আয়েশা নামে এক নারী জানান, ‘মিটারের টাকা শেষ হয়ে গেছে। ঘরে কারেন্ট নেই। বিকাশ কাজ করে না। বাধ্য হয়ে অফিসে এসেছেন। এসে দেখেন অনেক মানুষের ভিড়। লাইনে দাঁড়িয়ে টাকা রিচার্জ করলাম। এত ভোগান্তি ভালো লাগে না। আমরা এ মিটার ব্যবহার করতে চাই না।’
বিক্রয় ও বিপণী বিভাগ চাঁদপুরের নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেদী হাসান ভূইয়া বলেন, ‘প্রিপেইড মিটারের টাকা রিচার্জের জন্য প্রতিদিন সকাল থেকে শত শত মানুষ অফিসে আসছে। লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে রিচার্জ করতে হচ্ছে। এতে করে মানুষের কিছুটা কষ্ট হচ্ছে। আমরা আমাদের সাধ্যমতো দ্রুত সেবা দিয়ে যাচ্ছি।’