চাঁদপুর মেঘনা নদীতে গাছের ট্রলার থেকে চাঁদা আদায়ের সময় চাঁদাবাজ আটক

স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর সদর উপজেলার ১১ নং ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নের চরফতেজংপুর গ্রামের পূর্ব পার্শ্বে মেঘনার শাখা নদীতে গাছের ট্রলার থেকে চাঁদাবাজি করার সময় এক চাঁদাবাজকে আটক করেছে নৌ পুলিশ।

শনিবার ভোরে আলুর বাজার নৌ পুলিশ ফাঁড়ি এসআই দুলাল হোসেন সঙ্গীও ফোর্স নিয়ে মেঘনা নদীতে অভিযান চালায়। এ সময় টলার থেকে চাঁদা নেওয়ার সময় হাতেনাতে চরফতেজংপুর গ্রামের -মোঃ রহমত উল্ল্যা মিজির ছেলে ফারুক টাকাসহ আটক করে।

এ সময় তার সহযোগী মোঃ নুরুল হক পাটোয়ারী (৪৫), মোঃ সুরুজ বকাউল (৩৫), মোঃ সাদ্দাম মিজি (২৮) পুলিশের উপস্থিতিতে পালিয়ে যায়।

এই ঘটনায় টলার শ্রমিক জসিম বেপারী বাদী হয়ে চারজনের বিরুদ্ধে চাঁদপুর মডেল থানায় একটি চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন।
মামলার বাদি জানান, ইঞ্জিন চালিত একটি ট্রলার যাহার নাম থ্রি স্টার যোগে মেহগুনি গাছ ভর্তি করিয়া অন্যান্য গাছ ভর্তি ট্রলারসহ চাঁদপুর সদর থানাধীন ১১ নং ইব্রাহিমপুর ইউনিয়নস্থ চরফতেজংপুর গ্রামের পূর্ব পার্শ্বে মেঘনার শাখা নদীতে ভিড়াইয়া রাত্রীযাপনের জন্য অবস্থান করে। এ সময় একটি কাঠের নৌকা যোগে ০৪ (চার) জন ব্যক্তি আমাদের নিকট আসিয়া ভয়, ভীতি হুমকি প্রদর্শন করে এবং নগদ টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদার টাকা না দিলে আমাদেরকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

এ সময় মোবাইল ফোনে আলুর বাজার নৌ পুলিশ ফাঁড়ী, চাঁদপুরে কর্মরত এসআই মোঃ দুলাল হোসেনকে অবগত করে। তৎক্ষনিক ভাবে এসআই ( মোঃ দুলাল হোসেন ফাঁড়ীর অফিসার ও ফোর্স স্পীডবোট যোগে ঘটনাস্থলে পৌছাইলে পুলিশের উপিস্থিত টের পাইয়া আসামী ৩জন পালিয়ে গেলেও চাঁদাবাজ ফারুক মিজিকে হাতে নাতে গ্রেফতার করা হয়।

নদীতে প্রতিনিয়তই টলার থেকে এ সকল চাঁদাবাজ চক্ররা ভয়ভীতি প্রদর্শন করে চাঁদা তুলে থাকে। পুলিশ অবশেষে এই চাঁদাবাজকে আটক করার কারণে কিছুটা হলেও নদীতে চাঁদাবাজি বন্ধ হয়েছে।

সম্পর্কিত খবর