চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কর্মবিরতি

এম.এম কামাল: গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী ও বিদ্যুৎ বিভাগের নির্দেশনা অমান্য করে পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড কতৃক পল্লী বিদ্যুত সমিতি সমূহে শোষণ, নির্ষাতন, নিপীড়ন অব্যাহত রাখা, গুনগত মানহীন মালামাল ক্রয় করে গ্রাহক ভোগান্তি বৃদ্ধি করার প্রতিবাদে এবং স্মর্ট ও টেকসই বাংলাদেশ বিনির্মানে BREB-PBS একীভূতকরণ সহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন ও সকল চুক্তি/অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকরি নিয়মিত করনের দাবিত সহ বিভিন্ন স্লোগানকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির বৈষম্য দূরীকরণ ও অভিন্ন সার্ভিস কোড চালুসহ বিভিন্ন যৌক্তিক দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কর্মবিরতি শুরু করেছে চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -২ এর কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা।

বুধবার (৩ জুলাই ) সকাল ৯ টা থেকে বেলা ২টা পর্যন্ত শহরতলীর বাবুরহাট সংলগ্ন কালি ভাংতি চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি -২ এর নিজস্ব কার্যালয়ের সামনে এ কর্মবিরতি পালন করেন তারা। বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক ও নাগরিক সুবিধা চালু রেখে এ কর্মসূচি পালন করেন তারা।

চাঁদপুরে কর্মসূচি চলাকালে কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা তাদের বিভিন্ন দাবি-দাওয়ার পক্ষে নানা স্লোগান দিতে দেখা যায়। এ সমিতির অন্তর্ভুক্ত প্রায় ৫শত কর্মকর্তা—কর্মচারী অংশ গ্রহণ করেন।
তাদের বিভিন্ন ব্যানার ফেস্টুনে বিভিন্ন দাবিদাওয়া উল্লেখের মধ্যে ছিল, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর “ওয়ার্কশপ“ মেকানিক্সদের অধিকার আদায়ের দাবিতে কর্মবিরতি বেনারটিতে উল্লেখ্য ছিল, ১। চাকরি নিয়মিত করন ২। ওয়ার্কশপ কর্মরত শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটি ও সরকারি বিশেষ ছুটি সহ ৩০ দিন হাজিরা চাই, ৩। বেশিক নির্ধারন ঈদ বোনাস ও সার্বিস বেনিফিট প্রধান করতে হবে, ৪। মানসিক হিসাবে বেতন প্রদান, ৫। সরকারি বিধি মোতাবেক উৎসব বোনাস প্রদান, ৬। ডিওরত অবস্থায় কোন প্রকার দূর্ঘটনা ঘটলে মেডিকেল বিল প্রদান করতে হবে, চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ এর “ওয়ার্কশপ“ কর্মচারী কল্যাণ সংঘ। (বিদ্যুৎ ব্যবস্থা ও জরুরি গ্রহক সেবা সচল রেখে) কর্ম বিরতিতেঅংশগ্রহণ করেন চাঁদপুর পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২এর সকল কর্মকর্তা ও কর্মচারী।

সম্পর্কিত খবর