শাহমাহমুদপুরে গ্যাসের দালাল প্রতারক জসিম খানের বিরুদ্ধে পুলিশের অভিযান

চাঁদপুর খবর রির্পোট: চাঁদপুর সদর উপজেলার ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নে গ্যাসের সংযোগ দিবে বলে গ্যাস কোম্পানির কথা বলে দালাল জসিম খানের প্রতারনা ও অথ আত্নসাতের অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে চাঁদপুর সদর মডেল থানার এসআই আব্দুল কুদ্দুস । প্রাথমিকভাবে তদন্তে ঘটনার সত্যতা পেয়েছে পুলিশ । দ্রুত থানায় হাজির হওয়ার নিদেশ দিয়েছেন পুলিশ ।

এ ব্যাপারে এসআই আব্দুল কুদ্দুস গতকাল রাতে দৈনিক চাঁদপুর খবরকে জানান, ৪নং শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের আসামী প্রতারক দালাল জসিম খানের বিরুদ্ধে তদন্তে সত্যতা পেয়েছি । তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে । সেই সাথে বিবাদী জসিম খানকে থানায় হাজির হওয়ার নিদেশ দিয়েছি ।

জানা গেছে, গত ২৭ জুন রাতে শাহমাহমুদপুর ইউনিয়নের বড় শাহতলী গ্রামের মোঃ আল-আমিন (৩৩), পিতা আঃ রাজ্জাক গাজী বাদী হয়ে গ্যাসের প্রতারক মো: জসিম খান, পিতা-মো: ইব্রাহিম খান, গ্রাম-লোধেরগাঁও, মহামায়া, চাঁদপুর সদর এর বিরুদ্ধে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, চাঁদপুর সদর মডেল থানাধীন বাদীর বসত বাড়ীর সম্মুখে এ ঘটনা ঘটে।

অভিযোগ সূত্রে বাদী বড় শাহতলী গ্রামের মোঃ আল-আমিন দৈনিক চাঁদপুর খবরকে জানান,বিবাদী উৎশৃঙ্খল, প্রতারক, ঠকবাজ, টাকা আত্মসাতকারী ও আইন অমান্যকারী প্রকৃতির লোক হয়। বিবাদী আমার পূর্ব পরিচিত। বিবাদী আমাকে এবং আমার মাধ্যমে এলাকার অসংখ্য গ্রাহকদের গ্যাস রাইজার এনে দিবে বলে প্রস্তাব করলে, আমি সরল বিশ্বাসে বিবাদীর কথামত রাজি হই। বিবাদী গত ১৯নভেম্বর ২০১৫ইং তারিখে ৩০০ টাকা লিখিত সম্পাদিত ষ্ট্যাম্প মূলে গ্যাংস সংযোগ এনে দিবে বলে চুক্তিনামা প্রদান করে। ১৯নভেম্বর ২০১৬ইং তারিখে ৬মাসের মধ্যে গ্যাস সংযোগসহ গ্যাস রাইজার এনে দিবে।

গ্যাংস সংযোগ আনার জন্য বিবাদীকে ১,৬০,০০০টাকা নগদে পরিশোধ করি। বিবাদী উক্ত টাকাগুলি গুনে বুঝে নিয়ে ৬ মাস সময়ের মধ্যে গ্যাস সংযোগ এনে দিবে বলে। ছয়মাসের মধ্যে আমাকে একটি বাখরাবাদ গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানী লিঃ হতে আমাকে একটি চাহিদা পত্র ও ডিমান্ডের কাগজ প্রদান করে। কিন্তু গ্যাস সংযোগ দিতে ব্যথ হয় , এক ধরনের প্রতারনার আশ্রয় নেয় ও আমার কাছ থেকে স্ট্যাম্পের মাধ্যমে নেওয়া আমার ও গ্রাহকদের ১লাখ ৬০হাজার টাকা আত্নসাত করে । এছাড়াও পরবতীতে চাপ প্রয়োগ করে প্রতারনার মাধ্যমে আমার কাছ থেকে ষ্ট্যাম্প ও ডিমান্ড কাগজ জোর পৃবক নিয়ে যায় ।

এ ব্যাপারে অামি চাঁদপুর পুলিশ সুপার ও মডেল থানার ওসির হস্তক্ষেপ কামনা করছি ।

সম্পর্কিত খবর