
বিশেষ প্রতিনিধি : চাঁদপুরে ট্রেনের টিকেট কালো বাজারে বিক্রি কালে চাঁদপুর স্টেশনসহ স্টেশন এলাকায় দায়িত্বরত রেলওয়ে নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা ৮টি আন্ত:নগর ঈদ স্পেশাল-২, ট্রেনের টিকেট যাত্রীদের কাছে বিক্রিকালে রেলকর্মচারী পোটার পারভেজকে যাতীরা আটক করার পর তাৎক্ষনিক তাদের হাত থেকে হাতে-নাতে আটক করতে সক্ষম হয়েছে। বাংলাদেশ রেলওয়ের চট্রগ্রাম বিভাগীয় (পূর্ব অঞ্চল) মহাব্যবস্থাপক এর নির্দেশে, চট্রগ্রাম রেলওয়ের (ডিআরএম) চট্রগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন এ ঘটনা উৎঘাটনের জন্য।
৩ সদস্যের তদন্ত কমিটির সদস্যরা হচ্ছে,চট্রগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ের বানিজ্যিক কর্মকর্তা মো: মেহেদী হাসান, বিভাগীয় রেলওয়ে পরিবহন কর্মকর্তা মো: ফেরদৌস রাজিব ও রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনীর চট্রগ্রাম বিভাগীয় সহকারী কমান্ডেন্ট (ইনেসপেক্টর) মো: রেজানুল রহমান। এ কমিটি আগামী ৭ কার্য দিবসের মধ্যে রিপোট পেশ করার জন্য বলা হয়েছে।
এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশ রেলওয়ের চট্রগ্রাম বিভাগীয় উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে গঠিত ৩ সদস্যের তদন্তকারী কমিটি চাঁদপুরস্থ দায়িত্বে থাকা নিরাপত্তার বাহিনীর নিরাপত্তা হাবিলদার মো: ইমাম হোসেন,নিরাপত্তা প্রহরী আবুল কালাম ও মো: তারিকুল ইসলামসহ ৩ জন, ও কালোবাজারি পোটার পারভেজসহ ৪জনকে কেøাজ করে। এদের মধ্যে নিরাপত্তার সদস্যদেরকে রেলওয়ের চট্রগ্রামস্থ নিরাপত্তা একাডেমিতে ক্লোজ করেন ও পোটার পারভেজকে চট্রগ্রামস্থ (ডিসি) বানিজ্যিক কর্মকর্তার দপ্তরে ক্øোজ করে নিয়ে যান এবং সাময়িক বরখাস্ত করেছে বলে জানা গেছে।
এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন, চট্রগ্রাম বিভাগীয় রেলওয়ে বিভাগীয় ম্যানেজার (ডিআরএম) এ’কার্যালয়ের দপ্তর। এ ৪জনকে ক্লোজ ও সাময়িক বরখাস্ত নিয়ে বিভিন্ন মহলে ও সকল দপ্তরে আলোচনার ঝড় বইছে। প্রশ্ন উঠেছে,টিকেট কালোবাজারী পারভেজ যেহেতু টিকেট বিক্রির মত ঘটনা করে অপরাধ করেছে। সেহেতু তার বিরুদ্ধে শাস্তিযোগ্য ব্যবস্থা গ্রহন করা যেতে পারে। কিন্তু নিরাপত্তা বাহিনীর যে ৩জনকে ক্লোজ করা ও সাময়িক বরখাস্ত করা হলো তাদের কি অপরাধ ছিল। তারা তাদের সঠিক দায়িত্ব পারন করে অপরাধিকে আটক করায় পুরস্কার পাওয়ার দাবীদার। সেখানে তাদেরকে ক্øোজ ও সাময়িক বরখাস্ত করা এটি একটি অমানবিক কাজ করছেন বলে অভিজ্ঞ মহলের কাছে প্রতিয়মান হচ্ছে।
অপরদিকে,চট্রগ্রাম বিভাগীয় তদন্ত কমিটি তাদের তদন্তকালে গতকাল বুধবার (২৬জুন) পর্যন্ত নিরাপত্তার চাঁদপুরস্থ হাবিলদার মো: ইমাম হোসেন,প্রহরী আবুল কালাম,মো: তারিকুল ইসলামকে তদন্ত কমিটির মুখোমূখি হয়েছেন। তারা তদন্ত কমিটির মুখোমূখি হয়ে গত শনিবার(২২জুন) দিবাগত রাতে চাঁদপুরে ঘটে যাওয়া পোটার পারভেজ কর্তৃক কালোবাজারে টিকেট বিক্রির ঘটনা সম্পর্ক তাদের বক্তব্য উপস্থাপন করেন।
আরো জানা গেছে,গত শনিবার (২২জুন) রাতে চাঁদপুরস্থ পোটার পারভেজ কালোবাজারে টিকেট বিক্রিকালে আটক হয়ে রেলওয়ে পুলিশের কাছে তাকে সোপর্দ করা হলেও পারভেজ রেলকর্মচারী হওয়ায় তাকে গ্রেফতার না দেখিয়ে রেলওয়ে ডিপাটমেন্টার বিভাগীয় তদন্তের মুখোমূখি করার জন্য চট্রগ্রামে তার দপ্তরে কেøাজ করা হয়।
এ ঘটনার সময় লাকসামে কর্মরত টিটি ইনেসপেক্টর ড; আমিনুল হক চাঁদপুরে থাকায় পোটার পারভেজ পুলিশের গ্রেফতার থেকে রক্ষা পেয়েছিল। এরই মধ্যে চট্রগ্রামে ক্লোজ অবস্থায় থাকা পোটার পারভেজ তদন্ত কমিটির মুখোমুখি হয়ে তার বক্তব্য প্রদান করেছে বলে এ প্রতিবেদককে জানান। এ ছাড়া এ ঘটনায় চট্রগ্রাম বিভাগীয় তদন্ত কমিটির মুখামূখি হয়েছেন, লাকসামে কর্মরত টিটি ইনেসপেক্টর (জেআরআই) ড; আমিনুল হক ও চাঁদপুরস্থ স্টেশন মাস্টার শোহেবুল শিকদার। তারা চাঁদপুরে শনিবার (২২জুন) দিবাগত রাতে যা’হয়েছে সে সম্পর্কি তদন্ত কমিটিকে জানালে তা’লিখিত আকারে ধারন করে রাখা হূেয়ছে বলে জানা গেছে। আগামী যে কোন সময় চাঁদপুর রেলওয়ে থানার ্অফিসার ইনচার্জ মো: মাসুদ আলম তদন্ত কমিটির মুখোমূখি হয়ে চাঁদপুরে ২২জুন দিবাগত রাতে টিকেট কালো বাজারি সর্ম্পকে তার বক্তব্য উপস্থাপন করবেন। এ কমিটি এ ঘটনা তদন্ত করার প্রয়োজনে চাঁদপুরে ঘটনাস্থলে আসবেন বলে রেলওয়ের নির্ভরযোগ্য সুত্রে জানা গেছে।
উল্লেখ্য,রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, চ্াঁদপুর থেকে চট্রগ্রামগামী ঈদ স্পেশাল-২, ট্রেনের টিকেট কালো বাজারে বিক্রিকালে রেল কর্মচারী (পোটার) পারভেজ জনতা হাতেনাতে আটক হয়ে গনপিটুনীর শিকার হয়। তখন চাঁদপুরস্থ নিরাপত্তা বাহিনীর এএসআই শাদাদাত হোসেন এর নেতৃত্বে নিরাপত্তা বাহিনী সদস্যরা পোটার পারভেজকে গনপিটুনি থেকে উদ্ধার করে রেলওয়ে থানায় নিয়ে যায়।
তাৎক্ষনিক (জেআরআই) লাকসাম ড: আমিনুল হক ঘটনা সম্পর্কে চট্রগ্রাম বিভাগীয় উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবগত করেন। সেই আলোকে চট্রগ্রাম রেলওয়ের বিভাগীয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় চাঁদপুরস্থ পোটার পারভেজকে কেøাজ করে চট্রগ্রামে হেড কোয়াটারে তলব করে নিয়ে আসে।
এ সংক্রান্ত একটি রিপোট দৈনিক চাঁদপুর খবরসহ বিভিন্ন পত্রিকায় ২৪জুন প্রকাশিক হয়েছিল।