হাজীগঞ্জে সরকারি চাল জব্দের ঘটনায় ইউপি চেয়ারম্যানসহ ৪জনকে আসামী করে মামলা

চাঁদপুর খবর রির্পোট: চাঁদপুরের হাজীগঞ্জের উপজেলার ১০নং গর্ন্ধব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে পৃথক দুইটি স্থান থেকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলা প্রশাসন ও পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে সরকারি ৮৩ বস্তা চাউল ও খালি আরো ৮টি বস্তা উদ্ধারের ঘটনায় সরকারি চাল আত্মসাতের অভিযোগে হাজীগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছে।

মঙ্গলবার রাতে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীলের নির্দেশক্রমে উপজেলা প্রকল্পবাস্তবায়ন কর্মকর্তা প্রকৌশলী জাকির হোসেন এ অভিযোগ দায়ের করে।

মামলায় অভিযুক্তরা হলো ১০নং গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি গিয়াস উদ্দিন বাচ্চু (৬০), পিতা-মৃত মুসলিম, সাং-কাশিমপুর, চেয়ারম্যান বাড়ী, ৬নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও ইউনিয়ন বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক আমির মুন্সী (৫০), পিতা-মৃত আব্দুস সামাদ মুন্সী, সাং-কাশিমপুর, ১০নং গন্ধর্ব্যপুর দক্ষিন ইউনিয়ন,

৩। আবুল খায়ের প্রকাশ কালু (৬০), পিতা-মৃত সুজ্জত আলী, সাং-দেশগাঁও, পূর্ব আটিয়া বাড়ী, ০৭নং ওয়ার্ড, ৪। মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেন (৫৫), পিতা-মৃত লিয়াকত আলী, সাং-দেশগাঁও, মাইজের বাড়ী, ০৮নং ওয়ার্ড, সর্বথানা-হাজীগঞ্জ, জেলা-চাঁদপুরসহ অজ্ঞাতনামা ১/২ জন কোরবানির ঈদে গরীবের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের ১০ কেজি চাল স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন বাচ্চু গরীবের মাঝে বিলি না করে কৌশলে বিক্রয় করে দেয়। পরে স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার (২৪ জুন) রাতে হাজীগঞ্জ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রিফাত জাহান ও হাজীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ তদন্ত মিন্টু দত্ত ইউনিয়নের দেশগাঁও মাইজের বাড়ি ও আটিয়া বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করে চালগুলো জব্দ করে থানায় নিয়ে আসেন।

এ ঘটনায় এলাকার সাধারণ মানুষের মাঝে তীব্র ক্ষোভ ও অসন্তোষ বিরাজ করছে। চাউল উদ্ধারের ঘটনায় গা ঢাকা দিয়েছে ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন বাচ্চু ও ওয়ার্ড মেম্বার আমির মুন্সি।

অভিযানের সময় উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা জাকির হোসাইনসহ পুলিশের একাধিক টিম উপস্থিত ছিল।

স্থানীয়রা ক্ষুব্দ হয়ে জানান কোরবানির পূর্বে প্রত্যেক গরীব মানুষকে ১০ কেজি চাউল দেয়ার কথা থাকলেও চেয়ারম্যান ট্যাগ অফিসারের যোগসাজসে আমাদেরকে মাত্র ৫/৬ কেজি করে চাউল দিয়ে বাকী চাউল আত্মসাত করেছে। আজ চোর ধরা খাইছে।

এ ঘটনায় জড়িত ইউপি চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন বলেন, এ চাউল গুলো কাবিখার। স্থানীয় মেম্বার এ চাউল গুলো গ্রামের লোকদের কাছে বিক্রয় করেছে।
হাজীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাপস শীল জানান, তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ হওয়ার পর জানা যাবে চাউল গুলো জিআর এর কিনা।

সম্পর্কিত খবর