বিশেষ প্রতিনিধি : অসহায়,দু:স্থ মানুষের মূখে হাঁসি ফুটাতে ও তারা পবিত্র ঈদের দিন যেন এক টুকরো গোশত দিনে ভাত খেয়ে স্বাদ পেতে, গোশত দিয়ে ভাত খেয়ে প্রান জুড়াতে ও খোদার আদেশকে প্রতিফলন ঘটাতে দেশের শীর্ষ করদাতা, প্রবীণ ব্যবসায়ী ,দানবীর ও সমাজসেবক হাজী মো. কাউছ মিয়া বিগত বছরের ন্যয় এবারও চাঁদপুরে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে অসহায় ও গরীবদের জন্য ২৩ টি পশু কোরবানি দিয়েছেন।
কোরবানীর সে শতশত মন গোশত চাঁদপুর শহরের মুখার্জি ঘাট, রাজরাজেশ্বর চর ও তরপুরচন্ডী আনন্দবাজার পুরুন্ডুপুরে এসব পশু কুরবানীর গোশতো ওইসব স্থানের শতশত অসহায় ও গরীব মানুষের মাঝে বিতরণ করে তাদের মূখে হাঁসি ফুটিয়ে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন।
সোমবার (১৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহার দিনে ও ১৮ জুন মঙ্গলবার দিনভর চাঁদপুর শহর ও চরাঞ্চলে এসব পশু কোরবানি করে গরীবদের মাঝে বিলিয়ে দেয়া হয়। এসব তথ্য গণমাধ্যমকে জানান হাজী কাউছ মিয়ার ছেলে হাজী মানিক মিয়া।
পরিবারের পক্ষে এসব পশু কোরবানির সার্বিক ব্যবস্থাপনায় ছিলেন, হাজী মানিক মিয়া। তিনি বলেন, ২৩টির মধ্যে চাঁদপুর শহরের মুখার্জি ঘাট পুরাতন বাড়িতে ১০টি, রাজরাজেশ্বর চর এলাকায় ৮টি ও তরপুরচন্ডী আনন্দবাজার পুরুন্ডুপুরে ৫টি গরু কোরবানি দেন।
৯৪ বছর বয়সে হাজী কাউছ মিয়ার বার্ধক্য জনিত রোগে ভুগছেন। তার বড় পরিচয় তিনি চাঁদপুরের কৃতি সন্তান। বয়সের কারণে তিনি পুরাতন ঢাকার নিজ বাসভবনে বর্তমানে শয্যাশায়ী।
তার স্বজনরা জানান, গেল রমজান মাসে বার্ধক্য জনিত কারণে খুবই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। পরে কাউছ মিয়াকে তার সন্তানরা বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শে জরুরি ভিত্তিতে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুর মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে প্রায় মাসখানিক চিকিৎসাধীন থাকার পর শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে কিছুদিন আগে দেশে আনা হয়। হাজী কাউছ মিয়ার এখন রাজধানীর আরমানীটোলার বাড়িতেই আছেন।
এমন অসুস্থতার মধ্যেও চাঁদপুরের অসহায় মানুষের কথা ভুলে যাননি কাউছ মিয়া। প্রতিবছরের ন্যায় এবারও আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে গরিবের জন্য চাঁদপুরে ২৩টি পশু কোরবানি দিয়েছেন তিনি।