
স্টাফ রিপোর্টার: চাঁদপুর সদর উপজেলা ১নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন ধনপদ্দি গ্রামের সরদার বাড়ির গ্রাম পুলিশ আবুল হোসেনের বড় ছেলে প্রতিবন্ধী বিল্লাল হোসেন সরদাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার জন্য প্রতিবন্ধী বিল্লাল হোসেন সরদারের স্ত্রী নাজমা বেগম ও মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র নাছিমকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার ২০ জুন সকাল ১১ টায় ১নং বিষ্ণুপুর ইউনিয়ন ধনপদ্দি গ্রামের সরদার বাড়ির সামনে এই ঘটনা ঘটে। আহত বিল্লাল হোসেন সরদার (৩৪) বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী নাজমা (২৪),ছেলে মাদ্রাসা পড়ুয়া ছাত্র নাছিম(১৫)। বর্তমানে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
এই বিষয় বিল্লাল হোসেন বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় ছোট তিন ভাই ও ছোট ভাইয়ের বউয়ের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযুক্তরা হলেন,জালাল হোসেন সরদার(২৯) আলাউদ্দিন সরদার (২৬), রিয়াজ হোসেন সরদার (২২), জালাল হোসেন সরদারের স্ত্রী নাছরিন বেগম (২৩)।
প্রতিবন্ধী বিল্লালের স্ত্রী নাজমা বেগম জানান, আমার স্বামী প্রতিবন্ধী আমি অনেক কষ্টে দিন যাপন পার করছি। আমার শশুর নতুন জমিতে মাটি ভরাট করলে আমি সেই জমিতে ঘর ও টয়লেট নির্মাণ করি এর পর থেকে তিন দেবর মিলে বিভিন্ন অজুহাত উসিলা ধরে আমাকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার জন্য আমার ওপর দফায় দফায় মারধর করেন।
আমার স্বামী বিল্লাল হোসেন এলাকার লোকজনের কাছে বিচার চাইলে তার উপরেও আমার দেবররা ক্ষিপ্ত হয়ে আমাকে গালমন্দ এবং খারাপ ব্যাবহার করে আমাদেরকে বেদম পিটাতে থাকে। আমাদেরকে মাটিতে ফেলে জবাই করে দেওয়ার চেষ্টা করে। আশপাশের লোকজন আমাদেরকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করায়।
আহত বিল্লাল হোসেন সরদার বলেন, কয়েকদিন আগে আমার স্ত্রী সংসারের কাজ নিয়ে দুই বইয়ের মধ্যে ঝড়গা সৃষ্টি হয়। আমি বাড়িতে গেলে শুনতে পারি আমার বউয়ের উপর মারধরও করে। আমি এলাকার মানুষের কাছে বিচার দরবার চাইলে আমার ছোট ভাইয়েরা আমার উপর আরো ক্ষিপ্ত হয়ে মারধর করে। আমার মাথা ও বুকে ধারালো অস্র দিয়ে আঘাত করে। আমি মাটিতে লৃটিয়ে পড়লে তারা লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে আমার হাত ভেঙ্গে ফেলে।
আমার মাথায় ধারালো অস্র দিয়ো কোপ দিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। আমার ছোট ছেলে ও তাদের হাত থেকে বাঁচতে পারেনি। ছেলেটি এগিয়ে আসলে তাকে ছুরে পেলে তার হাতও ভেঙ্গে ফেলে। আমার ভাইয়েরা এর আগেও কয়েকবার তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্ত্রীকে পিটিয়ে আহত করেছে। এলাকার ময়-মুরুব্বী কাউকেই বাদ-বিচার করে না। নানা ভাবে জুলুম নির্যাতন করে আসছে। আমি প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি। এই ঘটনায় আমি চাঁদপুর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেছি।




