চাঁদপুর জেলা জুড়ে যথাযথ ধর্মীয় মর্যাদা, ভাবগাম্ভীর্য ও উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে পালিত হলো পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজ।
পৌরসভার ব্যবস্থাপনায় সোমবার (১৭ জুন) সকাল সোয়া ৭টায় শহরের পৌর ঈদগাহ মাঠে পবিত্র ঈদুল আজহার নামাজের এই প্রধান জামাত অনুষ্ঠিত হয়।
নামাজের ইমামতি করেন উপ-মহাদেশের প্রখ্যাত আলেমেদীন বাহাদুরপুরের পীর মরহুম হাজী শরীয়ত উল্লাহ্ বংশধর সপ্তম পুরুষ পীর হযরত মাওলানা হাফেজ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ হাসান।
নামাজ আদায় পূর্বে চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) কামরুল হাসান সকলের উদ্দেশ্যে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন,আজকে পবিত্র ঈদুল আযহার দিনে যারা পৌর ঈদগাহে নামাজ পড়ার জন্য উপস্থিত সবাইকে জানাই ঈদের শুভেচ্ছা ও ঈদ মোবারক। আমাদেরকে মনে রাখতে হবে আমরা যেন কোরবানীর পশুর রক্ত ও মলমূত্র যেখানে সেখানে ফেলে শহরের ও সকল মহল্লা পবিত্রতা নষ্ট করবো না। এ শহর আমাদের সকলের তাই এর পরিস্কার পরিচ্ছতার পবিত্র দায়িত্ব আমাদেরকে পালন করতে হবে। আমাদের দায়িত্ব কোরবানী পশুর রক্ত নিজ নিজ আঙিনা থেকে পরিস্কার করে পরিচ্ছন্য রাখতে হবে।
তিনি শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে করে বলেনম সবাইকে সঠিকভাবে ভাল মানের শিক্ষা অর্জন করতে হবে। শুধুমাত্র উচ্চতর ডিগ্রি নিলে হবে না। সুশিক্ষায় শিক্ষিত হতে হবে।
তিনি বলেন, পবিত্র ঈদুল আযহা হচ্ছে আত্মত্যাগ ও মহিমার। এটি হচ্ছে ওয়াজিব নামাজ। তবু এ নামাজের অনেক গুরুত্ব। তিনি সকল ধর্ম প্রান মুসলমানকে কোরবানির চামড়া সঠিকভাবে সংরক্ষন করার পরামর্শ দেন।
ডিসি বলেন, এ চামড়ার মাধ্যমে আমরা বৈদেশীক মুদ্রা অর্জন করে থাকি। এ চামড়া আমাদের আয়ের একটি প্রধান খাত। এই চামড়াকে সঠিক ভাবে সংরক্ষন করতে হবে। এ চামড়া মাদ্রাসায় দেন অথবা বিক্রি করার দায়িত্ব আপনার। তাই তিনি বিক্রি পুর্বে চামড়া ভাল রাখার ক্ষেত্রে নিজ দায়িত্বে লবন দিয়ে চামড়া সংরক্ষন করার জন্য সকলের নিকট আহবান জানান। তিনি মুসলিম উম্মার শান্তি কামনা করেন।
প্রধান এই জামায়াতে পৌর মেয়র মো. জিল্লুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বশির আহমেদ, চাঁদপুর সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: শাখায়াত জামিল সৈকত, এডভোকেট ইকবাল-বন-বাশার, কাজী শাহাদাত, চাঁদপুর প্রেস ক্লাবের সাধারন সম্পাদক মো: মাহবুবুর রহমান সুমন, সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ শওকত আলী, চাঁদপুর পৌর কর্মচারী কল্যান এসোসিয়েশনের সভাপতি মো: মফিজুর রহমান হাওলাদার,পালবাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি মো: হারুন-অ-রশিদ পাটওয়ারীসহ সমাজের গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহন করেন।
নামাজ শেষে মুনাজাতে পীর সাহেব বলেন, এ নামাজ লোকদেখান নামাজ ও কুরবানি নয়। এ নামাজ ও কোরবানি হতে হবে শুধুমাত্র মহান আল্লাহ্ পাকের সন্তুষ্টির জন্য। শুধু তাই নয়, আমাদের এ কুরবানি,নামাজ, রোজা, জীবন, মরন সবই হচ্ছে,আল্লাহ্ সোবাহানাতালার জন্য তার সন্তুষ্টির জন্য।