সমির ভট্রাচার্য্য : অটোচালকদের কাছে জিম্মি হচ্ছেন চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ষাটনল লঞ্চঘাট ব্যবহারকারী যাত্রীরা। প্রতিদিন ষাটনল- নারায়ণগঞ্জ ও নারায়ণগঞ্জ-ষাটনলগামী কয়েক হাজার যাত্রী এই নৌরুটে নিয়মিত যাতায়াত করেন।
দূরত্ব ও সময় বাঁচাতে মতলব উত্তর উপজেলার যেকোনো প্রান্তে যাতায়াত সুবিধার কথা মাথায় রেখে ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ থেকে এ পথে বিপুল পরিমাণ যাত্রী নৌযান ব্যবহার করে যাতায়াত করেন। বিপুলসংখ্যক যাত্রীদের যাতায়াত কেন্দ্র করে এলাকাটির অটোরিকশা চালকরা বিভিন্ন প্রান্তের যাত্রীদের কাছ থেকে আদায় করেন অতিরিক্ত ভাড়া।
সরেজমিনে দেখা যায় লঞ্চঘাট এলাকায় সারি সারি অটোরিকশা।যাত্রী নামলেই শুরু হতে থাকে দামদর, একজন চালকের সাথে চাহিদামত ভাড়ার মিল নাহলে অন্য চালকরাও ২০ থেকে সর্বোচ্চ ৫০ টাকার বেবদানে ভাড়া হাঁকান। এতে অনেকটাই বাধ্য হয়ে চালকদের দাবিকৃত ভাড়ায় বাড়ি পৌঁছাতে হয় যাত্রীদের। যেখানে নারায়ণগঞ্জ থেকে ষাটনল লঞ্চঘাট পর্যন্ত নৌযানগুলোর জনপ্রতি ভাড়া ৭০ থেকে ৯০ টাকা। সেখানে যাত্রীদের ষাটনল লঞ্চঘাট থেকে বাড়ি পৌঁছাতে খরচ হয় ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা।
ঈদ সহ বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবকে কেন্দ্র এসব চালকরা হয়ে উঠে আরো বেপরোয়া। সিন্ডিকেট করে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া আদায় করে যাত্রীদের কাছ থেকে। আসন্ন ঈদ উল আযহা কে কেন্দ্র করে লঞ্চঘাটটিতে ভিড় করছে ঢাকা নারায়ণগঞ্জ থেকে আগত যাত্রীরা। বৃহস্পতিবার বিকেল ৫:৩০ এ নারায়ণগঞ্জ থেকে পৌঁছানো জগুনা লঞ্চটিতে আসেন বঙ্গবন্ধু শিশু কিশোর মেলার সভাপতি আবু সাইফ, তিনি অভিযোগ করে বলেন,ঘাট থেকে লুধুয়া যাওয়ার জন্য মিশুক ও অটোরিকশা চালকরা ৪০০ টাকা ভাড়া হাঁকান।
যেখানে ভাড়া সর্বোচ্চ ২০০ টাকা। ষাটনল থেকে ছেঙ্গারচর বাজারে যেতে ১৫০ টাকা ভাড়া দাবি করতে দেখা যায় বিভিন্ন অটোরিকশা চালকদের। সন্ধ্যা ৭টা ৩০ মিনিটে পৌঁছানো একটি লঞ্চের যাত্রী সুজন ও তার সঙ্গীরা জানান, এই ঘাট থেকে চলাচলকারী অটোরিকশা চালকরা সবসময় অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করে যাত্রীদের জিম্মি করেন।
বিকল্প উপায় না থাকায় এই রুটের যাত্রীদের ভোগান্তি কমছেনা। ঈদ যাত্রাকে কেন্দ্র করে যাত্রী ভোগান্তি বন্ধে যে কোন আইনী ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন বলে জানিয়েছেন মতলব উত্তর থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর রনি। বিষয়টি সম্পর্কে মতলব উত্তর উপজেলা নির্বাহী অফিসার একি মিত্র চাকমার সরকারি মুঠোফোনে কল দিলে তিনি কলটি কেটে দেন।