প্রেস বিজ্ঞপ্তি : সাহিত্য একাডেমির সকল সাধারণ সদস্য( যারা জীবিত) বহাল রাখা, দ্বিতীয় দফায় প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহের বিজ্ঞপ্তি আহবান, খোদ সাহিত্যকর্মী দ্বারা সাহিত্য একাডেমি পরিচালনা করা, গঠনতন্ত্র অনুসরণপূর্বক কমিটি গঠনের প্রক্রিয়া ও সাহিত্য একাডেমি পরিচালনা করা, সক্রিয় সাহিত্যকর্মীদের বিবেচনায় এনে সাহিত্য একাডেমির সৃজনশীল কাজগুলোতে সম্পৃক্ত করে নেয়ার ৫ দফা দাবিতে চাঁদপুর লেখক পরিষদ এর নেতৃবৃন্দ চাঁদপুর জেলা প্রশাসক কামরুল হাসানের নিকট ১৩ জুন,বৃহস্পতিবার, দুপুর ১ টায় স্মারকলিপি প্রদান করেন।
চাঁদপুর লেখক পরিষদের সভাপতি কবি,প্রাবন্ধিক ও গবেষক জাহাঙ্গীর হোসেন এবং সাধারণ সম্পাদক, কবি ও আবৃত্তিশিল্পী খোকন চন্দ্র মজুমদারের নেতৃত্বে এ সময় সংগঠনের পক্ষ থেকে উপস্হিত ছিলেন দপ্তর সম্পাদক মুহাম্মদ নূরুল ইসলাম রাজিব, প্রচার সম্পাদক সাইফুল খান রাজিব ও সদস্য প্রাবন্ধিক আবদুল গনি।
এ সময় জেলা প্রশাসক স্মারকলিপিটি মনোযোগসহকারে পড়ায় এবং স্মারকলিপিটি সাদরে গ্রহণ করায় নেতৃবৃন্দ তাকে ধন্যবাদ জানান।
স্মারকলিপির শুরুতে উল্লেখ আছে, চাঁদপুর লেখক পরিষদ চাঁদপুর শহরে ২০০৫ সালের ৩০ জানুয়ারি প্রতিষ্ঠিত হয়। সাহিত্য একাডেমি অন্যত্র দিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে চাঁদপুর লেখক পরিষদ ২০০৯ সালে তৎকালীন জেলা প্রশাসককে স্মারকলিপি পেশ করেন। অবশেষে সাহিত্য একাডেমি সাহিত্যকর্মীদের কাছেই থেকে যায়।
স্মারকলিপির অপর এক অংশে লেখা আছে,চাঁদপুর জেলার সাহিত্যকর্মীদের প্রাণের সংগঠন সাহিত্য একাডেমি। প্রতিষ্ঠানটি গঠনতন্ত্র মোতাবেক পরিচালিত হয়নি ২০১২ সাল থেকে অন্তত ১০ বছর যাবৎ । ২০১২ সালের আগেও অনেকগুলো বছর একই হালে অতিবাহিত হয়েছিলো। আমাদের দেখা মতে, কখনই সন্তোষজনকভাবে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালিত হয় নি। বলতে গেলে, বেশিরভাগ সময়ই অসাংগঠনিকভাবেই চলে আসছে।
সাধারণ সদস্য ( যারা জীবিত) বিষয়ে স্মারকলিপিতে বলা আছে , ২০১২ সালে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের পূর্বে যারা সাধারণ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন- এ যাবৎ তাদের নিয়ে কোন একটি সাধারণ সভা করার উদ্যোগ নেয়া হয়নি। ফলে এসব সাধারণ সদস্য বিষয়ে নিষ্ক্রিয়তার প্রশ্ন তুলে যাতে বাদ না যায় সে ধরনের সিদ্ধান্ত নিলে যথাযথ হবে ।
আরেক দফা প্রাথমিক সদস্য সংগ্রহ করার জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের জন্য স্মারকলিপিতে আহবান করেন।