
স্টাফ রিপোর্টার : সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে মানুষের জায়গা দখল লুটপাট ও ঘরবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটছে। তেমনি একটি সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটেছে চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ড বাখরপুর গ্রামের রহিজ উদ্দিন গাজীর বাড়িতে।
দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালিয়ে কলেজ পড়ুয়া ছাত্রীকে লাঞ্ছিত করে বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের মত অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড করেছে ভূমিদস্যু চক্ররা।
এই ঘটনায় সিরাজ গাজী বাদী হয়ে আরিফ গাজী, রাব্বি গাজী, খলিল গাজী, শাহ আলম খানসহ সাত জনকে আসামি করে থানায় একটি অভিযোগ করেন।
বাখরপুর গ্রামের সিরাজ গাজীর বাড়িতে দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানোর সময় দুটি বড় রামদা উদ্ধার করে এলাকাবাসী।
বাখরপুর গ্রামের সিরাজ গাজীর সাথে সম্পত্তি নিয়ে দীর্ঘদিন যাবত আরিফ গাজী গংদের নিরোধ চলে আসছিল।
বুধবার বিকেলে মৃত কাশেম গাজীর ছেলে আরিফ গাজী বহিরাগত সন্ত্রাসী রুহুল আমিন খানের ছেলে শাহ আলম খানকে সাথে নিয়ে ফিল্মি স্টাইলে অতর্কিত হামলা চালায়।
এ সময় হামলাকারীরা সিরাজ গাজীর কলেজ পড়ুয়া মেয়েকে শারীরিক লাঞ্ছিত করে বসতঘর ভাঙচুর চালিয়ে লুটপাট করে। তাদের হামলা শিকার হয়ে নাজমা বেগম ,রাবেয়া বেগম সহ ৫জন আহত হয়ে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নেয়।
এই হামলার ঘটনায় সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি জানান ভুক্তভোগীরা।
আহতরা অভিযোগ করে বলেন, ভূমি দস্যু চক্র দীর্ঘদিন যাবত এলাকায় রাম রাজত্ব কায়েম করে আসছে। তারা বিভিন্ন সময় মানুষের জায়গা দখল সহ বিভিন্ন অপরাধ কর্মকাণ্ড চালিয়ে যাচ্ছে। বহিরাগত সন্ত্রাসীদের এনে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ঘরবাড়ি ভাঙচুর করে লুটপাট চালিয়ে টাকা পয়সা ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
থানায় অভিযোগ করায় হামলাকারীরা জানে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছে। হামলাকারীদের ভয়ে নিরাপত্তায় হীনতায় দিন কাটাচ্ছে সকলে।