স্টাফ রিপোর্টার : হাতের মেহেদির রং শুকানোর আগেই বিয়ের দুই মাস পর প্রবাসীর স্ত্রী রজনী আক্তার অভিমান করে আত্মহত্যা করেছে। প্রবাসী আকবর ঢালীর বসতঘরের ভিতর থেকে নববধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
পরকীয়া প্রেমিক নাকি স্বামীর সাথে অভিমান করে নববধূর আত্মহত্যা করেছে এ নিয়ে এলাকায় ধুম্র জালের সৃষ্টি হয়েছে।
নববধূর মৃত্যুর ঘটনায় মা রুমা বেগম বাদী হয়ে চাঁদপুর মডেল থানায় প্রবাসী স্বামী আকবর ডালী ও দেবর মুসা ডালীর বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন।
ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুর সদর উপজেলার ১২ নং চান্দ্রা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ড মধ্য মদনা দুবাই প্রবাসী আলী আকবরের বসতবাড়িতে।
খবর পেয়ে চাঁদপুর মডেল থানার ওসি মহসিন আলম,পুরান বাজার পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ রাজীব শর্মা ও চাঁদপুর মডেল থানার এসআই মকবুল ঘটনাস্থলে গিয়ে নববধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে।
নববধূর পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকেই স্বামী আকবর ঢালী স্ত্রী রজনী আক্তারকে মানসিক চাপ দিতে শুরু করে। রজনীর সাথে তার স্কুল পড়ুয়া বন্ধুর যোগাযোগ ভালো ছিল সেই ঘটনায় তাকে স্বামী ও দেবর মিলে বিভিন্ন সময় মানসিকভাবে হেও প্রতিপন্ন করত। স্বামীর অত্যাচারে অতিষ্ট হয়ে ঘরের ভিতরে ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়।
এই ঘটনায় স্বামী ও দেবর কোনভাবেই দায় এড়াতে পারে না।
এদিকে দেবর মুসা ঢালির অভিযোগ, বিয়ের আগ থেকেই সহপাঠীর সাথে তার প্রেমের সম্পর্ক ছিল এ নিয়ে বেশ কয়েকবার সালিশী
বৈঠক হয়। তবে বিয়ের পর থেকে সেই বন্ধুর সাথে রজনী আক্তার যোগাযোগ করত। ঘটনার দিন কি কারনে সে আত্মহত্যা করেছে তা জানা নেই ।
গেল দুই মাস পূর্বে মদনা গ্রামের বাবুল পাটোয়ারীর মেয়ে রজনী আক্তারকে প্রেমিকের সাথে বিয়ে না দিয়ে প্রবাসী আকবর ডালির সাথে বিয়ে দেয়।
বিয়ের পরেও প্রেমিকের সাথে সম্পর্ক রাখে নববধু রজনী আক্তার । প্রেমিকের সাথে অভিমান করে আত্মহত্যার করেছে বলে অভিযোগ করেন শশুর বাড়ির পরিবার।
পুলিশ জানায়, গৃহবধূ অভিমান করে নিজেই আত্মহত্যা করেছে। এই ঘটনায় অপমৃত্যু মামলা দায়ের করা হয়েছে। পরবর্তীতে মেয়ের মা বাদী হয়ে থানায় স্বামী ও দেবরের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। তবে লাশটি ময়নাতদন্তর করার পর রিপোর্ট আসলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।