
চাঁদপুর খবর রির্পোট: চাঁদপুর পৌরসভাধীন বাবুরহাটে আপন ফুফাতো বোনের সাথে প্রেমের সম্পর্কের বিরোধে ইকবাল মাল নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। ওই যুবককে খবর দিয়ে নিয়ে রাতের আঁধারে মেরে গাছের সাথে ঝুঁলিয়ে রেখে ঘটনাকে আত্মহত্যা বলে চালিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছে।
অবশেষে স্থানীয়রা ঝুলন্ত অবস্থায় যুবককে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর তার অবস্থার অবনতি দেখে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইকবাল মালের মৃত্যু হলে ঘটনার ধামাচাপা দিতে উঠে পড়ে লাগে দালাল চক্র। ঘটনাটি ঘটেছে চাঁদপুর সদর উপজেলার ২নং আশিকাটি ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড রালদিয়া গ্রামের মমিন পাটওয়ারী বাড়িতে।
গত ৮র্মাচ (শুক্রবার) রাতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে ময়নাতদন্ত শেষে ইকবাল মালের মরদেহ বাড়িতে নিয়ে আসেন স্বজনরা।
এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িত মমিন পাটোয়ারী মেয়ে ফুফাতো বোন সামসি, পাখি, শিল্পী বেগম ও তার ছেলে ইয়ামিন এবং ফুফু মাফিয়া বেগম সহ অজ্ঞাত কয়েকজনকে আসামি করে চাঁদপুর সদর মডেল থানায় অভিযোগ দায়ের করেন নিহত ইকবালের চাচা দুলাল মাল। নিহত ইকবাল মাল চাঁদপুর পৌরসভার ১৫ নং ওয়ার্ড বাবুরহাট বাজার এলাকার মৃত বজু মালের ছেলে।
পরিবারের অভিযোগ লালদিয়া গ্রামের মমিন পাটোয়ারীর মেয়ে সামসি তার মামাতো ভাই ইকবালের সাথে প্রেমের সম্পর্কে জড়ায়। শামসির প্রবাসী স্বামীকে ছেড়ে মামাতো ভাই ইকবালকে বিয়ে করার প্রস্তাব দেয়। বিয়ের প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় ইকবালকে খবর দিয়ে নিয়ে শামসির বড় বোন শিল্পী বেগমের ছেলে ইয়ামিন সহ অজ্ঞাত কয়েকজন যুবক তাকে বাগানের ভিতর ঢুকিয়ে বেদম মারধর করে বাড়ির পাশের গাছের সাথে ঝুঁলিয়ে রেখে পালিয়ে যায়।
প্রতিবেশীরা ঝুলন্ত অবস্থায ইকবাল মালকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সুপরিকল্পিতভাবে ইকবাল মালকে হত্যা করে আত্মহত্যা নাটক সাজানোর চেষ্টা করে তারা। এই ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার জন্য একটি দালাল চক্র অপরাধীদের বাঁচানোর চেষ্টা করছে।
ফুফুর বাড়িতে ডেকে নিয়ে ইকবাল মাল কিভাবে হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। এই ঘটনায় অপরাধীদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবি জানানো এলাকাবাসী। নিহত ইকবাল মালের লাশ বাড়িতে আনার পর পরিবারের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। তারা এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। ঘটনার পর থেকে হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত অপরাধীরা বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে রয়েছে।