স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার বদরপুর গ্রামে পাগলা সোবহান শাহ্ এর মাজারে পিতার সাথে থাকা সাদিয়া নামে বাকপ্রতিবন্ধী ১০ বছর বয়সী শিশু হত্যা মামলায় অভিযুক্ত মো. সোহরাওয়ার্দী সালাউদ্দিন নামে যুবককে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছে আদালত।
সোমবার (১১ মার্চ) দুপুরে চাঁদপুরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মো. আবদুল হান্নান এই রায় দেন।
আটকাদেশ প্রাপ্ত ওই যুবক মতলব উত্তর উপজেলার বদরপুর গ্রামের ফকির বাড়ীর মো. সহিদ ফকিরের ছেলে।
হত্যার শিকার শিশু সাদিয়া নারায়নগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ থানার ভোলাবো ইউনিয়নের করাইডা গ্রামের বড় বাড়ীর মো. ডিপটি মিয়ার মেয়ে।
বাংলার বিবরণ থেকে জানাগেছে, ডিপটি মিয়া নারায়নগঞ্জের হলেও বদরপুর গ্রামে পাগলা সোবহান শাহ্ এর মাজারে ৫ থেকে ৬ মাস থাকেন। ঘটনার সময় ২০১২ সালের ২ ডিসেম্বর মেয়েকে নিয়ে ওই মাজারে আসেন। ওই দিন দুপুর ১২টার দিকে তার মেয়ে বাপা পিঠা খেতে গিয়ে নিখোঁজ হন। এর একমাস পর অর্থাৎ ২০১৩ সালের ৬ জানুয়ারি বদরপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে পরিত্যক্ত টয়লেটে অর্ধগলিত অবস্থায় ওই শিশুর মরদেহ পাওয়ার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসেন পিতা এবং মেয়ের মরদেহ শনাক্ত করেন। এই ঘটনায় অজ্ঞাতনামা আসামী করে মতলব উত্তর থানায় মামলা করেন। এরপর মতলব উত্তর থানা পুলিশ ২০১৩ সালের ২৮ জানুয়ারি আসামী মো. সোহরাওয়ার্দী সালাউদ্দিনকে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করেন।
মামলটি তদন্ত শেষে মতলব উত্তর থানার তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আবু হানিফ ২০১৪ সালের ৩০ জানুয়ারি আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
রাষ্ট্র পক্ষের আইনজীবী চাঁদপুর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইবুন্যালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) সাইয়েদুল ইসলাম বাবু জানান, এই মামলায় আদালত ১০জনের স্বাক্ষ্য গ্রহন করেন। মামলাটি দীর্ঘ প্রায় ১১ বছর চলাকালীন সময় স্বাক্ষ্য প্রমাণ, মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা এবং আসামী তার অপরাধ শিকার করায় এই রায় দেন। আসামী পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অ্যডভোকেট বিল্লাল হোসেন।
এই মামলার রায়ের দ্বিতীয় পেরায় বিচারক লিখেন-অভিযুক্তের বয়স বর্তমানে ১৮ বছরের উর্দ্ধে হওয়ায় বর্ণিত আইনের ৩৪ (৫) ধারার বিধান মতে তাকে সাজা ভোগের নিমিত্তে সাজা পরোয়ানাসহ জেল সুপার, জেলা কারাগার, চাঁদপুর বরাবর প্রেরণ করা হোক।