স্টাফ রিপোর্টার : চাঁদপুর সদর উপজেলার মৈশাদী ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাংকার মৃত রমজান আলী দেওয়ানের স্ত্রী ফয়জুন নেছা (৪৫) উপর হামলা করেছে শ্বশুর বাড়ির লোকজন।
গত রোববার (৩ মার্চ) সন্ধ্যায় ৩নং মৈশাদী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের দেওয়ান বাড়িতে এই হামলার ঘটনা ঘটে।
এসময় ঘরে থাকা অবস্থায় হামলার শিকার হন মৃত রমজান আলী দেওয়ানের স্ত্রী ফয়েজুন নেছা। তার দুই কন্যা সন্তান সুমাইয়া ও নাদিয়া ইসলাম হামলার ঘটনা দেখে ভয়ে কান্নাকাটি করে। পরে হামলার ঘটনার কথা শুনে তার বোন ফাহিমা বেগম (৪২) বাড়িতে আসলে তার উপরেও হামলা চালায় তারা।
হামলার ঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন একই বাড়ির মোঃ আনিছের ছেলে মোঃ জনি, তার স্ত্রী সাদিয়া বেগম, মোঃ আনিছের স্ত্রী জোৎস্না বেগম, ইউসুফ আলী দেওয়ানের ছেলে আলমগীর দেওয়ান।
ঘটনা সূত্রে জানা যায়, মৈশাদী ইউনিয়নের তালুকদার বাড়ির বাসিন্দা সরকারি ব্যাংকে চাকরিরত রমজান আলী দেওয়ান গত এক বছর পূর্বে মারা যান। স্বামী মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী ফয়েজুন নেছা দুই সন্তান নিয়ে একই বাড়িতে বসবাস করছেন। শশুর বাড়ির লোকজন ভাসুর আলমগীর দেওয়ান, ননদ জোৎস্না বেগম, ননদের ছেলে জনি ও ছেলের বউ সাদিয়া বেগম তাকে এবং তার সন্তানদের বাড়ি হতে বের করার জন্য বিভিন্নভাবে চাপ দিয়ে আসছিল। গত ৩ মার্চ সকালে তাকে উদ্দেশ্য করে পরিবারের অন্য সদস্যরা গালমন্দ করে।
এসময় তিনি বাধা দিলে তাকে বাস ও কাঠ দিয়ে এলোপাতাড়ি মারধর করে তারা। পরে একই বিষয় নিয়ে বিকেলে তার উপরে আবারও হামলা চালায় অভিযুক্তরা। এ সময় দেশীয় অস্ত্র দিয়ে ফয়জুন নেছাকে আঘাত করলে তার বাম হাতে মারাত্মক জখম হয়। পরে তারা পিঠে ও মুখে আঘাত করে তারা। আহত ফয়জুন নেছার ডাক চিৎকারে বাড়ি ও আশেপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করে।
ঘটনার বিষয়ে এলাকাবাসী ফাহিমা বেগম ও রফিক দেওয়ান বলেন, ঘটনার দিন দেওয়ান বাড়িতে হট্টগোল শুনে আমরা এগিয়ে আসি। এসে দেখি ফয়জুন নেছাকে ওই বাড়ির কয়েকজন মারধর করছে। পরে আমরা উভয় পক্ষকে শান্ত হতে বলি এবং সরিয়ে দেই। পরে ফয়জুন নেছার হাত থেকে রক্ত পড়তে দেখে আমরা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই।
এলাকাবাসী মমিন দেওয়ান বলেন, দীর্ঘদিন ধরে সম্পত্তির বিষয় নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে ঝগড়া বিবাদ হয়ে আসছে। বিষয়টি সমাধানে উভয়পক্ষকে এগিয়ে আসতে হবে। প্রশাসন যদি বিষয়টি সমাধানে কাজ না করে তাহলে আমার বড় ধরনের দুর্ঘটনার আশঙ্কা করছি।