ফারুক হোসেনঃ চাঁদপর মতলবের মেঘনা- পদ্মা – ধনাগোদা নদীবেষ্টিত চরাঞ্চলে ও বেড়িবাঁধের দুই পাশে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। কুয়াশায় ঢাকা পড়ছে এসব এলাকার পথঘাট ও ফসলি মাঠ। ফলে গবাদিপশু নিয়ে বিপাকে পড়েছেন চর এলাকার লক্ষাধিক মানুষ। শীতের কারণে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হচ্ছে।
এদিকে গত কয়েকদিন তীব্র শীত ও ঘন কুয়াশায় সন্ধ্যার পরই ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে স্থানীয় হাট-বাজার ও সড়কে কমছে জনসাধারণের চলাচল। অন্যদিকে পর্যাপ্ত শীতবস্ত্রের অভাবে চরম কষ্ট পাচ্ছেন চরাঞ্চলের দরিদ্র মানুষেরা।
সরেজমিন দেখা যায়, গত কয়েক দিন ধরেই বিকাল হলেই ঘন কুয়াশা পড়তে শুরু করে এসব চরাঞ্চলে। কুয়াশার প্রকোপ থাকে সকাল ১০টা পর্যন্ত। ভোরের দিকে কুয়াশার কারণে ঢাকা পড়ছে স্থানীয় সড়কে। ওইসব সড়কগুলোতে সকাল থেকেই তুলনামূলক যান চলাচল কমছে।
এছাড়াও উপজেল বিভিন্ন হাট-বাজারে সকালের ঠাণ্ডা ও কুয়াশার কারণে ক্রেতাদের উপস্থিতি না থাকায় ব্যবসায়ীরা বিপাকে পড়ছে।
হাসপাতাল সূত্রে জানা যায, শীতের তীব্রতায় দুর্ভোগে রয়েছেন বয়স্ক ও শিশুরা। শিশুদের ঠাণ্ডাজনিত রোগ বাড়ছে। এতে বয়স্ক ও শিশু রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বাড়ছে। মতলবে চরাঞ্চলের কয়েকটি আশ্রায়কেন্দ্রের ঘুড়ে জানা যায়, গত কয়েক দিন ধরে নদীর পাড়ে অনেক শীত পড়ছে। ঠাণ্ডার কারণে জমিতে চাষাবাদের কাজ করতে পারছেনা। দিনেও অনেক বেলা পর্যন্ত কুয়াশা থাকে।
চঞ্চলে মানুষেরা জানান, প্রতি বছর সরকারি ভাবে যে কম্বল দেয়া হয়, তাতে চরাঞ্চল মানুষের শীত নিবারণ হয় না। এখানে কম্বল বিতরন সঠিক হয়নী বলে তারা অভিযোগ তুলে।
প্রশাসন সূত্র জানা যায়, চলতি শীত মৌসুমে সরকারিভাবে উপজেলায় কম্বল এসেছে। ওইসব কম্বল স্হানীয় জনপ্রতিনিধি মাধ্যামে বিতরন করা হবে।