মোঃ মহসিন হোসাইন : চাঁদপুর চাঁদখার দোকান ও এম এম নূরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের পাশে অবস্থিত চাঁদপুর কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে সড়ক ও জনপদের জায়গা দখল করে চলছে অবৈধ স্থাপনা তৈরির মহোৎসব।
এ যেন ‘হাতের মোয়া’ বললেই চলে। সরকারের বিশাল এই মেগা প্রজেক্ট চালু হতে না হতেই স্থানীয় কিছু অসাধু চক্রের কার সাজিতে অবৈধ স্থাপনা তৈরি করতে দেখা গিয়েছে ইতোমধ্যে।
গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে সড়ক ও জনপদের জায়গা দখল করে অবৈধভাবে রাতের আঁধারে কাজ শুরু করে একদল অবৈধ স্থাপনা দখলকারীরা। দিনের বেলায় চটের বস্তার বেস্টনী দিয়ে কাজ চলাকালীন সময়ে, সেখানে অবৈধ স্থাপনা নির্মাণকারী মিস্ত্রীদের কাছে জানতে চাইলে, কে বা কারা সরকারী ভূমি দখল করে অবৈধ স্থাপনা তৈরিতে জড়িত রয়েছে জানতে চাইলে, তখন তারা কোনো ব্যাক্তির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রকাশ করেন।
তবে, সড়ক ও জনপদের উপ-বিভাগীয় প্রধান প্রকৌশলী মোস্তাফিজুর রহমান এর সাথে কথা বললে তিনি জানান, তিনি এই বিষয়ে অবগত আছেন। কাজ বন্ধ রাখতে সড়ক ও জনপদ কতৃপক্ষ আরো ২/৩ দিন পূর্বে মানা করেছেন। কিন্তু, এরপরেও গতকাল সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে কাজ চলমান অবস্থায় রয়েছে।
কে বা কারা এই অবৈধ স্থাপনা দখল করে তৈরি করেছেন প্রায় ১৫ থেকে ২০টি দোকানের মতো। এই অবৈধ স্থাপনা তৈরিতে জড়িত সংশ্লিষ্ট কাউকে না পাওয়া গেলে, এলাকার স্থানীয় কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা দৈনিক চাঁদপুর খবর’কে জানান, এখানে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আসা পুরো জেলা থেকে শত শত ছাত্র ছাত্রীদেরকে লক্ষ্য করে, তারা হয়তো কম্পিউটার দোকান থেকে শুরু করে যাবতীয় অনলাইন কাজ কর্ম সমাধানের উদ্দেশ্যে এই অবৈধ স্থাপনা তৈরি করতেছে।
তবে ধারনা করা হচ্ছে যে, কিছু অসাধু ও কু-চক্র মহল ভূমি দখলের জন্যই প্রাথমিকভাবে স্থাপনা তৈরি করে এগুলো ভাড়া দিয়ে মাসিক প্রায় লক্ষাধিক টাকার বেশি আয় করার সম্ভাবনা রয়েছে বলে ধারনা করছেন স্থানীরা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কেউ কেউ আবার বলেন, এখানে মার্কেট করার পরিকল্পনা রয়েছে । তবে, সরকারী ভূমি দখল করে অবৈধ ভাবে মার্কেট নির্মাণ করার একটা কু-পরিকল্পনা রয়েছে এই অসাধু চক্রের। জানান, স্থানীয় এলাকাবাসী।
কিন্তু, এই জায়গাটি সড়ক ও জনপদের হওয়ায়, স্থানীয়রা ধারনা করছেন এখানে হয়তো উপর মহলের কোনো হাত থাকতে পারে। নয়তো এতো বড় সাহস করে এই অবৈধ স্থাপনা দখল করে এতোগুলো দোকান উঠানোর সাহস কারো নেই। এছাড়াও এর সাথে জড়িত থাকতে পারে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের লোকজনও। তবে , বিষয়টি নিশ্চিত করে এখনও বলা যাচ্ছে না।
প্রায় কোটি টাকার বেশি মূল্যের সড়ক ও জনপদের সম্পদ দখল করে যারা অবৈধভাবে স্থাপনা তৈরি করতেছেন, এই সকল কু-চক্র মহলের হাত থেকে সরকারী এই অবৈধ দখলকারী ভূমি রক্ষা করার দায়িত্ব সড়ক ও জনপদের বলে দাবি করেন স্থানীয়রা । তাই কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের সামনে এই গুরুত্বপূর্ণ জায়গাটি যেন বিশেষ ভাবে দৃষ্টি গোচর দিয়ে সড়ক ও জনপদের এবং স্থানীয় সংসদ সদস্য কতৃপক্ষের জোর দিয়ে দেখা উচিৎ, বলে মনে করেন স্থানীয়রা বাসিন্দারা।