সাইদ হোসেন অপু চৌধুরী : দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের রেশ এখনো কাটেনি। এই নির্বাচন শেষ হতে না হতেই শুরু হয়েছে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন নিয়ে আলোচনা। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী মার্চ মাসে শুরু হতে পারে উপজেলা পরিষদের প্রথম ধাপের নির্বাচন।
চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হচ্ছেন বর্ণাঢ্য রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের অধিকারী, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী ও আইনজীবী, সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাড. হুমায়ুন কবির সুমন।
উপজেলা যুবলীগের লীগের দীর্ঘদিনের এই সভাপতির ক্লিন ইমেজ, সততা, নিষ্ঠা ও বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ও সর্বমহলে প্রশংসিত। উপজেলা চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবেও তিনি সর্বস্তরের জনগণের আস্থা অর্জনে সমর্থ হয়েছেন। দলের দুঃসময়-সুসময় সর্বদা ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতা হিসেবে রাজনৈতিক মহলে তার বিশেষ গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
জেলার অন্যতম একটি শক্তিশালী সংগঠন চাঁদপুর সদর উপজেলা যুবলীগ। যার সফল নেতৃত্বে ও অক্লান্ত পরিশ্রমে উপজেলা যুবলীগ সাধারণ মানুষের মনে আস্থার জায়গা করে নিয়েছে। আহবায়ক কমিটি গঠিত হওয়ার পর থেকে পুরো উপজেলায় যুব সমাজের কাছে যুবলীগ একটি প্রিয় সংগঠনে পরিণত হয়েছে।
অ্যাড. হুমায়ুন কবির সুমনের নেতৃত্বে দলের সকল কার্যক্রমে অংশগ্রহন ও দূযোর্গকালে মানুষের পাশে দাড়িয়ে দলের জন্য সুনাম কুড়িয়েছে উপজেলা যুবলীগ। কোন বিভেদ ছাড়া ঐক্যবদ্ধভাবে দলের কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে সংগঠনটি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেশব্যাপী উন্নয়ন একই সাথে চাঁদপুরের স্থানীয় সংসদ সদস্য, সাবেক পররাষ্ট্র মন্ত্রী ও সফল শিক্ষামন্ত্রী, বর্তমান সমাজকল্যাণ মন্ত্রী ডাঃ দীপু মনির উন্নয়নের চিত্র সাধারণ মানুষের মাঝে পৌঁছে দিচ্ছে যুবলীগ। ইতোমধ্যে হাজার হাজার কর্মী সৃষ্টি হয়েছে চাঁদপুর সদর উপজেলা যুবলীগে। যার নেতৃত্ব দিচ্ছেন উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক অ্যাড. হুমায়ুন কবির সুমন।
আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন প্রসঙ্গে অ্যাড. হুমায়ুন কবির সুমন বলেন, আমার রাজনৈতিক বিগত দিনের সকল কর্মকাণ্ড বিবেচনা করে আমাকে আসন্ন চাঁদপুর সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে দলীয় মনোনয়ন দিয়ে নির্বাচিত করবেন। ইনশাআল্লাহ আমি কথা দিচ্ছি, চাঁদপুর সদর উপজেলার প্রতিটি নেতা কর্মীকে সাথে নিয়ে উপজেলা বাসির সেবা করে করতে আমার সর্বাত্মক চেষ্টা থাকবে এবং দলের সন্মান অক্ষুণ্ণ রাখবো ইনশাআল্লাহ। উপজেলা আহবায়ক কমিটি গঠিত হওয়ার পর থেকে যুবলীগকে শক্তিশালী করতে নির্বিঘ্নে কাজ করেছি।
উপজেলার ১৪টি ইউনিয়নের ১২৬ টি ওয়ার্ডে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি ও সবকটি ইউনিয়নে পুর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
প্রতিটি গ্রাম-মহল্লায় এখন কর্মীর অভাব নেই। যুবসমাজের কাছে একটি প্রিয় সংগঠনে পরিণত হয়েছে সদর উপজেলা যুবলীগ। যেখানেই দলের কর্মসূচী সেখানেই যুবলীগ ভূমিকা রাখছে। গত ২০১৮’ ২০২৪ জাতীয় সংসদ নির্বাচনসহ প্রতিটি নির্বাচনে যুবলীগ গুরুত্বপুর্ণ ভূমিকা রেখেছে। দায়িত্ব নেওয়ার পরে দেশে করোনা মহামারির জন্য কার্যক্রম সীমিত করা হলেও থেমে থাকেনি যুবলীগের কার্যক্রম। ধান কাটাসহ ব্যক্তিগত উদ্যোগে অসহায় মানুষের পাশে দাড়িয়েছি।
তিনি বলেন, আজ রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অপ্রতিরোধ্য গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। বাংলাদেশ আজ উন্নয়নশীল দেশ। যুবলীগের সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা নিজেদের মেধা, যোগ্যতা, দক্ষতা দিয়ে আমাদের নেত্রীর এগিয়ে যাওয়ার পথকে মসৃণ করবে, এটাই আমার বিশ্বাস। সেই লক্ষ্য নিয়েই যুবলীগ কাজ করে যাচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধু শব্দটি এক ও অভিন্ন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ছাড়া আমরা স্বাধীনতা কল্পনা করতে পারি না। তার ২৩ বছরের সংগ্রাম, জেল-জুলুম, অত্যাচার আর নির্যাতন সহ্য করে তিনি আমাদেরকে দিক নির্দেশনা দিয়ে বাঙালি জাতিকে একত্রিত করে বিজয় অর্জন করেছে। তার ঐ ধারাবাহিকতায় তার সুযোগ্য কন্যা রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনা স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছেন।